প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:২৪
হাজীগঞ্জ রণক্ষেত্র : আহত ৩০
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে হাজীগঞ্জ বাজারসহ তৎসংলগ্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মকিমাবাদ ও টোরাগড় গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের পর থেকে থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সড়কে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মূলত টোরাগড় আর মকিমাবাদ গ্রামের মধ্যে হওয়া এ ঘটনার সূত্রপাত তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের সর্দার বাড়ির এক দোকানির সাথে টোরাগড় গ্রামের কয়েকজনের কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনা রাতেই সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে শান্ত হয়।
পরদিন শুক্রবার আগের রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরাে বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের এ অংশে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে অসংখ্যবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রাতের বেলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ স্টেশন রোডের মুখে ও ডিগ্রি কলেজ সড়কের মুখের প্রধান সড়ক তথা চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। বাজারে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ফারুককে ফোন দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।