প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কচুয়ায় রাবেয়া বেগম (৩০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের বাইছারা সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাবেয়া উপজেলার সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়নের খিলমেহের গ্রামের সেকান্দর মিয়ার মেয়ে। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান
সরজমিনে গেলে নিহতের বাবা সেকন্দার মিয়া জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে বাইছারা সিকদার বাড়িতে প্রবাসী এরশাদ উল্লার সাথে রাবেয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে রাকিব হোসেন (১০), আবু রায়হান (৭) দুই ছেলে ও সুমাইয়া আক্তার (৪) নামের এক মেয়ে রয়েছে। আমার মেয়ে রাবেয়ার সাথে জামাই এরশাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে তারা স্বচ্ছল থাকায় জামাইয়ের বাবা, ভাই-বোনেরা সম্পত্তি ও টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে শাররিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এইকথাগুলো রাবেয়া প্রায়ই আমাকে বলতো। তার দাবী মেয়ের শ^শুর রোস্তম আলী সিকদার, দেবর ফরিদ সিকদার, বাসুর জামাল, কামাল সিকদার ও বোনরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগেও রাবেয়ার ভাসুর, দেবর ও শ^শুর আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে রাবেয়ার ভাসুর কামাল সিকদার আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে। শোনার পরেই রাতে ছুটে আসি মেয়ের বাড়িতে বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রতিবেদকের সামনে।
নিহত রাবেয়ার স্বামী এরশাদ উল্যাহ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে উপস্থিত সকলের সামনে স্ত্রী রাবেয়াকে আমার সম্পত্তির জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবী করেন। এবং তার স্ত্রীর হত্যাকা-ের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
নিহতের শ^শুর রোস্তম আলী সিকদার জানান, কি কারনে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে আমাদের কারো জানা নেই।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।