প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২১, ১৫:০৫
চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক
আমরা কাউকে অবৈধ ড্রেজার চালানোর অনুমতি দেইনি
তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজীগঞ্জে ড্রেজার জব্দ ও ধ্বংস, ড্রেজার মালিকের ২ মাসের কারাদণ্ড ও জমির মালিককে লাখ টাকা জরিমানা
আমরা কাউকে অবৈধ ড্রেজার চালানোর জন্যে কখনো কোনো অনুমোদন দেইনি। অবৈধ ড্রেজার বন্ধসহ সকল অবৈধ ড্রেজারের ওপর ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিতভাবে চলে আসছে। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্যে ইতিমধ্যে জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে নির্দেশ দেয়া আছে। যার কারণে প্রায়শই কোনো না কোনো উপজেলায় সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং ড্রেজার জব্দ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় হাজীগঞ্জে ড্রেজার সম্পর্কিত প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ চাঁদপুর কণ্ঠকে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর মঠে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনকালে ড্রেজার মালিক মুনাব্বার নামের একজনকে ৫০ হাজার টাকা ও জমির মালিককে আরো ৫০ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট ১লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ড্রেজার মেশিনটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের কাছে জিম্মা হিসেবে রেখে দেয়।
এর দুইদিন পরেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে জেলা প্রশাসক থেকে অনুমতি নেয়ার মিথ্যে তথ্য দিয়ে জোরপূর্বক সেই ড্রেজার নিয়ে সেটি চালানো শুরু করেন ড্রেজার মালিক।
সর্বশেষ মঙ্গলবার চাঁদপুর কণ্ঠে ‘জেলা প্রশাসকের কথা বলে চালানো হচ্ছে অবৈধ ড্রেজার’ শীর্ষক সংবাদটি দেখে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সকালে সেই ড্রেজারস্থলে হাজির হয় একই ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফের ড্রেজার চালানোর বিষয়ে ড্রেজার মালিক মুনাব্বার মজুমদার ও জমির মালিক মর্জিনা তাদের দোষ স্বীকার করে লিখিত দেন আদালতের কাছে। এরপরেই ড্রেজার মালিককে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আর জমির মালিককে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ও ড্রেজারটি ধ্বংস করা হয়।
‘ড্রেজার মালিক মুনাব্বার আমাকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সংক্রান্ত মিথ্যে তথ্য দিয়ে গত প্রায় ১ মাস ধরে ড্রেজার পরিচালনা করেছে’ বলে জিম্মাদার ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লিখিত দেন। যার ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ সহজ হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান মীর জানান, আগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে ফের ড্রেজার চালানোর দায়ে ইউএনও মহোদয় আজ ড্রেজার মেশিনটি নষ্ট করে মালিককে জেল ও জমির মালিককে নগদ টাকা জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, সরকারি আদেশ অমান্য ও পুনরায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট করার দোষ স্বীকার করায় ড্রেজার মালিককে ২ মাসের বিনাশ্রম জেলসহ তার ড্রেজারটি ভাঙ্গা হয়েছে। জমির মালিক আগে জরিমানা দেয়ার পরেও ফের ড্রেজারের মাধ্যমে নিজ জমি ভরাটের দায়ে তাকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে হাজীগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার পরিচালনা করা হলে এর মালিকদেরকে জেল-জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।