প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ০০:০০
ওজন বাড়াতে জেলি পুশ
কোস্টগার্ডের অভিযানে আড়াইশ’ কেজি চিংড়ি জব্দের পর মাটিচাপা
চাঁদপুরে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছের একটি চালান জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। গত বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম সাদিক হোসেনের নির্দেশে পেটি অফিসার মইনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হরিণা ফেরিঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় হাইস গাড়িতে থাকা পাঁচটি ককসিটের বাক্সভর্তি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। যার ওজন হবে আড়াইশ’ কেজি। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই মাছগুলো মাটিচাপা দিয়ে নষ্ট করা হয়। খুলনা থেকে মাছের এই চালানটি আসে বলে জানা যায়।
|আরো খবর
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ জানান, মূলত ওজন বাড়ানোর জন্যে একশ্রেণির বিক্রেতা চিংড়ি মাছে জেলি পুশ করে থাকে। জব্দকৃত প্রায় আড়াইশ’ কেজি চিংড়ি মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে জেলিণ্ডযুক্ত এই চিংড়ি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আগে চিংড়ি মাছের ভেতর সাগু ঢুকানো হতো, এখন জেলি দেয়া হচ্ছে। সাধারণত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট যেখানে বেশি চিংড়ি উৎপাদিত হয়, সেখান থেকে চিংড়ি বাজারে আনার আগেই সেগুলোতে এই জেলি পুশ করা হয়।
মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, মূলত মোটাণ্ডতাজা এবং ওজন বাড়ানোর জন্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে এক ধরনের জেলি পুশ করে বিক্রি করছে। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ পরিষদের অভিযান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেলণ্ডজরিমানাতেও চিংড়িতে এই বিষাক্ত জেলি মেশানো বন্ধ করা যাচ্ছে না। চিংড়িতে সিরিঞ্জের মাধ্যমে জেলি পুশ করা হয়। তারপর চিংড়িগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় যাতে জেলি জমাট বেঁধে যায়। আর এই পুশ করা জেলি চিংড়ির সারাদেহে ছড়িয়ে যায়। যেগুলো কিনে প্রতারিত হন সাধারণ মানুষ। তাই বাজারে জেলিযুক্ত চিংড়ি বিক্রি বন্ধ করতে আইনণ্ডশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখা দরকার বলে অভিমত সচেতন মহলের।