প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ০২:০৩
প্রযুক্তি ব্যবহার এবং উদ্ভাবনে দক্ষ নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনিএমপি
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুরু হয়েছে দুইদিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২। ২০ নভেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভার্চ্যুয়ালি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপুমনি। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
|আরো খবর
এসময় বেলুন উড়িয়ে এ মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। পরে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএমবার, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ,চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান,চাঁসক অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ,পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন ও প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন প্রমুখ।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল-আমিন একাডেমীর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া রহমান আরিশা, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল আবরার ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাইশা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনিএমপি বলেন,আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ হিসাবে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তারুণ্যের অন্যতম শক্তিই হচ্ছে প্রযুক্তি। তবে প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে যেন গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোন বৈষম্য না থাকে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে যত সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে নিজেরদেরকে তৈরি করতে হবে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশকে শুধুমাত্র শহর কেন্দ্রিক নয়, প্রযুক্তিকে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃতি করেছেন।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু বেদ বুনিয়া ভূ- উপকেন্দ্র করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে মহাকাশে আমাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন। আমাদের দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। এখন স্মার্ট বাংলাদেশে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন,
আমরা যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে ডিভাইসের পণ্য না হয়ে যাই সেদিকটায় খেয়াল রেখে এর খারাপ দিক পরিহার করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সতর্ক করতে হবে। আমাদেরও একই খেয়াল থাকতে হবে।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,১৯৭২সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথ্য প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তৎকালীন সময়ে আমাদের জাতীয় পাঠ্যক্রম কারিগরি শিক্ষা কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন্ ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে ছিলেন বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে।
তিনি জানান, প্রযুক্তি-বান্ধব নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরো সহজ, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট করে গড়ে তুলতে এবং সারাদেশের উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে এ মেলার আয়োজন। ৪০টি স্টলে ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া চারটি প্যাভিলিয়নে উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং স্টার্টআপ, ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা এবং শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শন করানো হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় সমাপ্ত হবে মেলাটি।