বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ২০:৪৮

হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে

মিজানুর রহমান
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দেখা যাচ্ছে।

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। চাঁদপুরেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে পাঁচজন ও পুরুষ ওয়ার্ডে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকে বেড না পেয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে অন্য রোগীদের সাথে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শহরের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার জন্যে আসছে বলে জানা যায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১১ জুলাই পর্যন্ত ১৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতালের ডিউটি নার্স সোনিয়া আক্তার জানান, পুরুষ ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ১৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার ১দিনে ৫ জন ভর্তি হয়। প্রতিদিনই ৫-৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। অপর দিকে, মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৫ জন ভর্তি আছেন বলে এ ওয়ার্ডের ডিউটিরত নার্স নাজনীন জানান। শিশু ওয়ার্ডে ১ জন শিশু ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।

সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীর স্বজন নানুপুর স্লুইস গেট এলাকার আমেনা বেগম বলেন, তার বোনের ছেলে রোমান খান (২২) ঢাকায় একটি দোকানে কাজ করত। দুদিন জ্বরের পর ঢাকাতে ডাক্তার দেখিয়ে নমুনা পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সেখানেকে দেখাশোনা করবে এজন্যে বাড়িতে চলে আসে।

এরপরই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন অবস্থা একটু ভালো। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিয়েছে। বাকিগুলো বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিউটি ডাক্তার সৈয়দ আহমদ বলেন, এখন এডিস মশার বংশ বিস্তারের সিজন। এই সময় বংশ বিস্তার করছে এডিস মশার লার্ভা।

তবে এ নিয়ে শহরের নালা, ড্রেন পরিষ্কার রাখতে হবে। মশক নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিতে হবে জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ। তা না হলে এডিস মশা বৃদ্ধি পাবে এবং গণহারে ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়তে থাকবে। আমরা হাসপাতালে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, আমরা পুরো এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে মশার ওষুধ দিচ্ছি, সাথে দিচ্ছি মশার লার্ভার ওষুধও।

তিনি আরো বলে, পৌর এলাকার ড্রেন, নালা পরিষ্কার রাখা, মশক নিধনের ওষুধ ছিটানোর এ কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ এবং শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়