রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সেবার মানে আমূল পরিবর্তন

মন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি : তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সেবার মানে আমূল পরিবর্তন
এএইচএম আহসান উল্লাহ ॥

যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি কাজপাগল হন, কর্মঠ হন, সে প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন আসবেই। যার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান। তাঁর কর্মোদ্দীপনা এবং প্রচেষ্টায় এ হাসপাতালটিতে সেবার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নিজস্ব উদ্যোগে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর এসব পরিবর্তন এবং সেবার মান বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন তত্ত্বাবধায়ক মাহাবুবুর রহমান। তবে এই কৃতিত্ব তাঁর একার নয় বলে তিনি জানালেন। তিনিসহ একটা টিম হাসপাতালটিতে কাজ করছেন, চেষ্টা করে যাচ্ছেন মানুষকে সেবা দিতে।

হাসপাতালটির সামনে দিয়ে যেতে চোখে পড়লো ভবনের পূর্ব অংশে ১নং গেটের সামনে ইপিআই টিকা কেন্দ্রের একটি ব্যানার ঝুলছে। ভেতরে দেখা গেলো অনেক নারী বাচ্চা কোলে নিয়ে আছেন। বুঝা গেলো এখানে বাচ্চাদের টিকা দেয়া হয়। এর আগে ছিলো হাসপাতালের পশ্চিম অংশে। এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় চাঁদপুর পৌরসভা থেকে।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমানের অফিস কক্ষে গিয়ে দেখা মিলে আরো দুই কর্মকর্তার। তাঁরা হচ্ছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন ও আবাসিক সার্জন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম। তাঁদের সাথে হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কথা হয়। তখন তাঁরা হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তনের বিষয় জানালেন। টিকা কেন্দ্র আগের জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে আনার বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক বললেন, এটি আগে ছিলো হাসপাতালের পশ্চিম অংশে। সেখানে জরুরি বিভাগ, টিকেট কাউন্টারসহ অন্যান্য সকল বিভাগের রোগীর ভিড় থাকতো সবসময়। তার মধ্যে আবার ছিলো টিকাদান কেন্দ্র। ভবনের পশ্চিম অংশেই সব চাপ পড়তো। এই ভিড়ের মধ্যেই মায়েরা কোলের বাচ্চা নিয়ে আসতেন টিকা দিতে। পরিবেশটা ছিলো খুবই ঘিঞ্জি। এ অবস্থা থেকে মায়েদের এবং কোলের বাচ্চাদের স্বস্তি দিতে আমরা টিকাদান কেন্দ্রটি সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করলাম। পরে হাসপাতাল ভবনটির পূর্ব অংশে প্রথম গেটের (যেটি বর্তমানে ১নং গেট) ভেতরে একটি রুম প্রস্তুত করলাম টিকাদান কেন্দ্রের জন্যে। এই রুমটি আগে খালি পড়েছিলো। এটিকেই কাজে লাগানোর চিন্তা করলাম। এ চিন্তা থেকেই এই রুমটিকে টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হলো এবং এখানেই এখন ইপিআইর টিকা কার্যক্রম চলছে। গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে টিকা কার্যক্রম চলছে। মায়েরাও বেশ খুশি এমন নিরিবিলি পরিবেশে বাচ্চাদের টিকা দিতে পেরে।

এরপর তত্ত্বাবধায়ক হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ আরো কিছু চলমান সংস্কার কার্যক্রম দেখালেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাথরুম সংস্কার কাজ চলছে। হাসপাতাল ভবন আঙিনায় ফুলের বাগান তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া আরো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ হাতে নিয়েছেন তাঁরা। সেটা হলো ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’। অর্থাৎ রোগী তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা এক জায়গা থেকেই পাবে। এখনকার মতো এক জায়গায় টিকিট, আরেক জায়গায় ডাক্তার, ঔষধ কাউন্টার আরেক জায়গায় এভাবে ঘোরাঘুরি করতে হবে না। এক জায়গা থেকেই রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রয়োজনে ভর্তি হবেন, না হয় বাড়ি চলে যাবেন। এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম চালু করতে হলে হাসাপাতালের অভ্যন্তরে কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর সাথে কথা বলে এবং তাঁদেরকে সরজমিনে এর সম্ভাব্যতা দেখিয়ে বাস্তবায়ন কাজে হাত দিবেন বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান। তিনি জানান, এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম চালুর জন্যে তাঁরা দেশের মডেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম দেখে আসবেন।

ডাঃ মাহাবুব দৃঢ়তার সাথে জানান, মন্ত্রী মহোদয় যে আশা এবং প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে এখানে এনেছেন, তাঁর আশা যেনো ভঙ্গ না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমি এবং আমার টিম কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শ ও তাঁর দিকনির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই হাসপাতালটিকে চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে জেলার মডেল হিসেবে যেনো গড়ে তোলা যায় সে সহযোগিতা তিনি জেলাবাসীর কাছে চেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়