মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, স্ত্রীর আত্মহত্যা
  •   ভারতকে কড়া বার্তা শ্রম উপদেষ্টার
  •   আধুনিক নৌ টার্মিনাল প্রকল্প পরিদর্শনে চাঁদপুরে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা
  •   ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপি অভ্যন্তরস্থ খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রাজনীতি করতে গিয়ে সংসার ও সন্তানদের ঠকিয়েছি, তারপরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, তবে এলাকায় পরিচিত শেফালী আপা নামে। দীর্ঘদিন রাজধানী ঢাকার রাজপথের পরিচিত মুখ তিনি। আন্দোলন-সংগ্রামে যুবনেত্রী হিসেবে রাজপথে দাবি আদায় করতে গিয়ে হামলা-মামলাসহ কারাবরণ করতে হয় তাকে। তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে মহানগর উত্তর যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকা, এরপর কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন। এর কিছুদিন পর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী নাসরিন জাহান চৌধুরী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে স্বামীর স্থলাভিষিক্ত হন। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের ৭ম চেয়ারম্যান হিসেবে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটাই তার প্রথম যাত্রা। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের ইতিহাসে প্রথম নারী চেয়ারম্যান তিনি।

প্রায় দুই বছর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মুখোমুখি হয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, শহরের রাজনীতি আর মফস্বল এলাকার রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে তিনি কখনো দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়নি।

১৯৬৪ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার হাট পুকুরিয়া গ্রামে জন্ম নেয়া নাসরিন জাহান বিয়ের পর স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। তিনি বলেন, আমার কাজের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও সকলের ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছি। এলাকার নোংরা রাজনীতি আমার পছন্দ নয়, তবে আমি এসব ভয় পাই না। কখনো সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। মানুষের জন্যে প্রকৃত সেবা দিতে পারলে আমি আত্মতৃপ্তি লাভ করি। শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দিনে আমাকে যেখানেই রাখবেন, আমি সেখানেই থাকতে চাই। আমি এলাকায় সুন্দরভাবে কাজ করতে পারছি।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী কিছু লোকের অসহযোগিতার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারেননি। অবস্থান ওনার বিপক্ষে ছিল। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থেকেও জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেননি। ওনার ওয়াদা পালনে আমি কাজ করছি। তাঁর স্বপ্ন ছিল তাঁর অবর্তমানে যেন আমি নির্বাচন করি। তিনি বলেন, আমি ভোটের রাজনীতি করছি না, আমার কাজ আমি শতভাগ করতে চেষ্টা করি। জনগণের পাশে থেকে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের সংসার, সন্তানদের ঠকিয়েছি। তারপরও কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হইনি। জননেত্রীর কারাবরণের সময় তাঁর পাশে থেকেছি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম জনগণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সকল কাজে সহযোগিতা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়