প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুরে উদীয়মান উপস্থাপক হিসেবে একটি নাম ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠছে। আর সেটি হচ্ছে তাবিতা ইসলাম। একজন চিত্রশিল্পী ও আবৃত্তিকার হিসেবেও রয়েছে তার পরিচিতি। মতলব দক্ষিণ উপজেলার আশি^নপুর এলাকার দক্ষিণ বারগাঁও গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও চাঁদপুর শহরে পিতা-মাতার সাথে তার বসবাস। তার পিতা চাঁদপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক মোঃ তাজুল ইসলাম মিয়াজী, আর মাতা দিল আফরোসা হচ্ছেন মতলব দক্ষিণের মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
তাবিতা নিজ সম্পর্কে নারীকণ্ঠকে বলেন, আমার জন্ম ২০০৪ সালের ৭ নভেম্বর। চাঁদপুর খ্রীস্টিয়ান মিশন স্কুলে আমার লেখাপড়া শুরু। আমার মায়ের সাহায্য সহযোগিতায় ও প্রেরণায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় কো-কারিকুলার একটিভিটিজের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আমার প্রথম পুরস্কার ছিল সুন্দর হাতে লেখায় প্রথম স্থান অর্জন। এই স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকনে প্রথম স্থান অর্জন করি। প্রথম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির হাত থেকে পুরস্কার পাই। আমি তৃতীয় শ্রেণি শেষ করে ৪র্থ শ্রেণিতে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। পড়ালেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে আবৃত্তি ও চিত্রাংকনে ভর্তি হই, যখন শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি অজিত দত্ত, আকরাম খান ও অভিজিত দত্ত স্যারকে। তারপর থেকে আমি বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি এবং বিভিন্ন স্থান অর্জন করি। যেমন : বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাই পর পর দুবার। সেই সংগঠন থেকে পর পর তিনবার সুযোগ পাই জাতীয় পর্যায়ে। জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সম্মাননা স্মারক পাই। আমি চাঁদপুর রোটারী ক্লাবসহ আরো বিভিন্ন ক্লাবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিজয় টেলিভিশনে আবৃত্তি ও উপস্থাপনা করেছি। চাঁদপুরে বিজয় মেলায়ও ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত উপস্থাপনা করেছি শিশু একাডেমি ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার অনুষ্ঠানে। আমি এগুলোর পাশাপাশি এসএসসিতে খুব ভালো ফলাফল করে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হই একাদশ শ্রেণিতে। আমি আমার কলেজের বিএনসিসিতে যোগ দেই। আমি এক বছরের মাথায় বিএনসিসির ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) পদে নির্বাচিত হই। আমি বর্তমানে সিইউও ৮নং ব্যাটেলিয়ন, বিএনসিসি। আমি সিইউও থাকাবস্থায় সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে পর পর তিনবার উপস্থাপনার সুযোগ পাই ঢাকায় সাভার ক্যান্টনম্যান্ট ও কুমিল্লা লালমাই কলেজে। আমি বিএনসিসি থেকে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার কারণে যেতে পরিনি। আমি এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে বোর্ড ও জেলার বৃত্তি পেয়েছি। আমি আল্লাহর রহমতে ও মা-বাবার দোয়ায় চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোমো ইকোনোমিক্সের ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছি। ভালো সাবজেক্ট পেলে আমি আমার অনার্স লাইফের যাত্রা শুরু করবো। আমি বর্তমানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্প, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আবৃত্তি শিক্ষক। আমার ইচ্ছা প্রশাসনিক লাইনে কর্মজীবন শুরু করা। আমার সব সফলতার পেছনে আমার প্রিয় মা-বাবা পাশে ছিলেন। আমি শৈশব থেকে ৬৩টি সনদপত্র অর্জন করি। আমি বর্তমানে চাঁদপুর সেন্ট্রাল গার্ডেন রোটার্যাক্ট ক্লাবের প্রফেশনাল সার্ভিস ডিরেক্টর । আমার একটি শখ আছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চ্যানেলগুলোতে খবর পাঠ করার।