রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে
অনলাইন ডেস্ক

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬৮ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার নন্দলালপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি এ কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১১ সালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে পিত্তথলিতে পাথর, হার্ট এনলার্জ ও ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। এ সময় এক হিতাকাক্সক্ষী তাঁকে আকুপ্রেশারের একটি বই দেন। বইটি পড়ে তিনি নিজের চিকিৎসা নিজেই করে সুস্থতা লাভ করেন। আকুপ্রেশার চিকিৎসার এ সুফল দেখে পরবর্তীতে তিনি এর গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ‘আকুপ্রেশার’ ও ‘আকু-থেরাপি’ নামে তাঁর দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ‘ন্যাচারাল থেরাপি’ নামে তাঁর একটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার চাঁদপুর কণ্ঠের পাক্ষিক আয়োজন ‘চিকিৎসাঙ্গন’ বিভাগের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নেন আল-আমিন হোসাইন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার চিকিৎসাপদ্ধতিটি আসলে কী?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আকুপ্রেশার একটি অতি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতবর্ষে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হয়। শুরুতে এর নাম কি ছিলো তা জানা যায় নেই। আকুপ্রেশার শব্দটি আকুপাংচার থেকে এসেছে। অ্যাকিউ শব্দের অর্থ সুচ এবং পাংচার শব্দের অর্থ বিদ্ধ করা। শরীরের বিশেষ বিশেষ বিন্দুতে সুচ বিদ্ধ করে চিকিৎসা করার পদ্ধতি হলো আকুপাংচার। আকুপ্রেশার হলো শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় বৃদ্ধাঙ্গুলী অথবা অন্য কোনো ভোঁতা বস্তু দ্বারা চাপ দিয়ে চিকিৎসা করা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার কীভাবে কাজ করে?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এদের সুইচ হাতের তালু ও পায়ের তালুতে। অসুস্থতা অথবা অন্য কোনো কারণে কোনো অঙ্গে বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘিœত হলে সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইড বা অন্য কোনো বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। ওই অঙ্গের সুইচে বার বার চাপ প্রয়োগ করলে উক্ত অঙ্গের সংযোগবিন্দুতে জমা হওয়া বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে রক্তের মধ্যে চলে আসে। ফলে ওই অঙ্গে বিদ্যুৎ প্রবাহ পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হয় এবং ধীরে ধীরে অঙ্গটি সুস্থ হয়ে উঠে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার ও আকুপাংচারের মধ্যে পার্থক্য কি?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আকুপাংচারের বিন্দুগুলো হাত-পায়ের আঙ্গুলের ডগা থেকে শুরু করে সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে। এদের সংখ্যা প্রায় ৯শ’ থেকে ৪ হাজার। যে কোনো আনাড়ি ব্যক্তির পক্ষে এ সকল বিন্দু নির্ণয় করে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আকুপ্রেশারের অধিকাংশ বিন্দু হাতের তালু ও পায়ের তালুতে অবস্থিত। এদের সংখ্যা মাত্র ৪৫টি। এ বিন্দুগুলোর অবস্থান জানা এতোই সহজ যে, কোনো ব্যক্তি এমনকি দশ বছর বয়সী শিশুও এ বিন্দুগুলোর অবস্থান জেনে নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার চিকিৎসা কীভাবে করতে হয়?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : রোগ অনুসারে হাতের তালু এবং পায়ের তালুর ব্যথার বিন্দুর উপর এবং তার চারপাশে খাড়াভাবে চাপ দিতে হবে। তবে বেশিসংখ্যক চাপ ব্যথার বিন্দুতেই দিতে হবে। চাপ হবে আরামদায়ক পাম্প করার মতো থেমে থেমে এক নাগাড়ে নয়। যতোটুকু চাপ রোগী সহ্য করতে পারেন ততোটুকু জোরেই চাপ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে রোগীর স্বাস্থ্য, ধৈর্য্য ও বয়স ইত্যাদির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে যেহেতু অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলোর বিন্দু (৩, ৪, ৮, ১৬, ২৫, ২৮ এবং ৩৮) শরীরের গভীরে অবস্থিত সেহেতু এ সকল বিন্দুতে একটু জোরে চাপ দিতে হবে। আবার চামড়া পুরু হওয়ায় পায়ের বিন্দুগুলোতেও জোরে চাপ দিতে হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কতক্ষণ চাপ দিতে হবে এবং কতক্ষণ পর পর চাপ দিতে হবে?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : প্রতিটি ব্যথার বিন্দুতে ৫০ থেকে ৬০ বার চাপ দিতে হবে অথবা সর্বোচ্চ দু মিনিট চাপ দিতে পারেন। প্রতিদিন সকালবেলা ও রাত্রিবেলা চাপ দিতে হবে অথবা প্রয়োজনে তিনবারও চাপ দেয়া যেতে পারে। তবে দুবার চাপে মধ্যে ছয় ঘণ্টা ব্যবধান হওয়া প্রয়োজন। চাপ হবে আরামদায়ক এবং থেমে থেমে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশারের সাহায্যে কি কি রোগের চিকিৎসা করা যায়?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : রোগের হাজারও নাম আছে কিন্তু প্রতিটি রোগই শরীরের কোনো না কোনো অঙ্গ বা গ্রন্থির সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং আকুপ্রেশারের মাধ্যমে অঙ্গ ও গ্রন্থিগুলোর বিন্দুগুলো চিকিৎসা করে প্রতিটি রোগেরই চিকিৎসা করা সম্ভব।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার চিকিৎসার সুবিধা কি কি?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : যে কোনো সময় শরীরের যে কোনো অঙ্গের চেক-আপ করা যায়। কোনো অঙ্গে সমস্যা থাকলে সাথে সাথে চিকিৎসা করা যায়। অন্য যে কোনো চিকিৎসার সাথে এ চিকিৎসা করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ হয়। বিশেষ করে জরায়ু অপারেশন বা অন্য যে কোনো অপারেশনের পরে। এর সাহায্যে আমরা একই সাথে চেক-আপ, চিকিৎসা ও শরীরের অঙ্গগুলোকে সক্রিয় রাখতে পারি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এটি একটি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি, এটিকে কীভাবে আধুনিকায়ন করা হলো?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আকুপ্রেশার চিকিৎসাটি প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতে শুরু হয়। ভারতের মনি-ঋষিরাই এ চিকিৎসাটি চালু করেন। ভারত থেকে এ চিকিৎসাপদ্ধতি শ্রীলঙ্কায় প্রচলন হয়। শ্রীলঙ্কা থেকে চীনে গিয়ে এটি আকুপাংচার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ষাটের দশকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন চীন সফরে গিয়ে অসুস্থ হলে আকুপাংচার চিকিৎসা করে সুস্থ হন। তিনি দেশে ফিরে আমেরিকান ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক উইলিয়াম ফিটজেলকে এ চিকিৎসার গবেষণার দায়িত্ব দেন। তিনি গবেষণা দেখেন এর উৎপত্তিস্থল ভারত। তখন তিনি এটাকে গবেষণা করে আধুনিকায়ন করেন। জন-থেরাপি নামে তিনি আমেরিকাতে এ চিকিৎসা চালু করেন।

১৯৭৭ সালে ভারতের ব্যবসায়ী দেবেন্দ্র ভোরা ব্যবসায়িক কাজে আমেরিকাতে গিয়ে অসুস্থ হন এবং এই চিকিৎসা করে আরোগ্য লাভ করেন। এ চিকিৎসার উৎপত্তিস্থল ভারত জানতে পেরে তিনি এটি শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। দেশে ফিরে তিনি ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মেরাজী দেশাইকে চিকিৎসা দিয়ে সুনাম অর্জন করেন। বর্তমানে আকুপ্রেশার চিকিৎসাটি ভারতে একটি জনপ্রিয় চিকিৎসাব্যবস্থা।

২০০০ সালে সাংবাদিক সাগর ছগির সর্বপ্রথম বাংলাদেশে এ চিকিৎসা শুরু করেন এবং ২০০৪ সালে ‘বঙ্গজ স্বচিকিৎসা পরিবার’ নামে একটি সংগঠন করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেমিনারের মাধ্যমে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট এ চিকিৎসার প্রতি অনুরক্ত হয়ে জান এবং জাতীয়ভাবে এ চিকিৎসা চালু করার চিন্তা-ভাবনা করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সংগঠনটি ভেঙ্গে যায়। ফলে এটি আর আলোর মুখ দেখতে পায় না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ কেমন?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আসলে আকুপ্রেশার চিকিৎসাটি একটি অপরিচালিত চিকিৎসাপদ্ধতি। আমাদের দেশে এখনো এক ভাগ মানুষের আকুপ্রেশার চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা নেই। কিন্তু যারা মোটামুটি আকুপ্রেশার সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করছেন এবং বুঝছেন তারাই এ চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছেন। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো মেডিসিন নেই। যার কারণে এখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। আকুপ্রেশারের মাধ্যমে একই সাথে শরীরের একাধিক রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। যার কারণে আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মানুষ এ চিকিৎসা কেনো গ্রহণ করবে?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : বর্তমানে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থাটা অনেক জটিল একই সাথে ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। তাই অনেকের ক্ষেত্রে সুচিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ থাকে না। আমার কাছে অনেক রোগী এসেছেন যারা আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণ করে বর্তমানে সুস্থ জীবনযাপন করছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এতে ব্যয় কেমন?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আকুপ্রেশার চিকিৎসায় ব্যয় তেমন নেই। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীই হলো এ চিকিৎসার প্রধান যন্ত্র। বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়েই আমরা রোগ নির্ণয় করি এবং এটি দিয়েই চিকিৎসা করি। কিন্তু দেখা যায় বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়ে শক্ত জায়গায় চাপ প্রয়োগ অনেক সময় সম্ভব হয় না তাই কাঠের শক্ত বস্তু দ্বারাও চাপ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা যায়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এটি কি পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা?

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : অবশ্যই আকুপ্রেশার একটি পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা। যদিও আমি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক চিকিৎসার সাথে আমার তেমন সম্পর্কও নেই কিন্তু আকুপ্রেশার নিয়ে ১০ বছর কাজ করার ফলে আমি বলতে পারি শরীরের প্রায় সকল প্রকার চিকিৎসা আকুপ্রেশার ধারা সম্ভব। কিছু চিকিৎসা আছে যেগুলো সময়সাপেক্ষ। আবার কিছু চিকিৎসার ফল দ্রুতই পাওয়া যায়। যেমন : হাই-প্রেসার ও মাথা ব্যথা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : আমাদের সমাজে কিছু মানুষ অল্প পরিশ্রমে দ্রুত ফল পেতে চায়। অধিকাংশই পরিশ্রম করতে চান না। কিন্তু আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণ করতে হলে সকাল-বিকেল কমপক্ষে আধাঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। এ সময় দেয়াকে অনেক মানুষ বিরক্তবোধ করেন, তারা মনে করেন ওষুধ খেয়ে নিলেই তো হয়। কিন্তু তারা এটা বুঝে না ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আকুপ্রেশার চিকিৎসার কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রচলিত চিকিৎসাগ্রহণের পাশাপাশি আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। ফলে একজন রোগী খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তাই এটাকে আমরা বলি ‘বন্ধু-চিকিৎসা’। আমাদের সমাজের মানুষ যদি আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে একদিকে যেমন চিকিৎসার ব্যয় কমে যাবে অন্যদিকে রোগমুক্ত কাক্সিক্ষত সমাজ গঠন আমাদের জন্যে সহজ হয়ে যাবে।

আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার গ্রহণ করছি এর ফলে কিন্তু আমাদের শরীরে টক্সিন জমা হয়। এর ফলে আমাদের জীবনীশক্তি দিন দিন কমে আসছে। তাই মানুষ এখন আর কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন না। যদি আকুপ্রেশার চিকিৎসা গ্রহণ করে তাহলে কিন্তু শরীরে টক্সিনের মাত্রা কম থাকবে। ফলে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে। আমার প্রত্যাশা-সরকার আকুপ্রেশার চিকিৎসাটি সমাজে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ উদ্দিন : ধন্যবাদ।

* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে লেখা পাঠানোর

ই-মেইল : [email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়