বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

উৎসবের দিনেও চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দেন
অনলাইন ডেস্ক

আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বরদিয়া গ্রামে। গ্রামের আলোছায়াকে সঙ্গী করে আমার বেড়ে ওঠা। তারপর পেশাগত জীবনে পদার্পণ। চিকিৎসার মতো মহান পেশায় আত্মনিয়োগ করি। একজন চিকিৎসক হিসেবে মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজের মনে প্রশান্তি অনুভব করি। এখন ঈদে গ্রামের বাড়িতে গেলেও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার মাধ্যমে সময় অতিবাহিত হয়। বাদবাকি সময় পরিবার-পরিজনের সাথে উদযাপন করি।

প্রতি বছর ঈদ এলেই শৈশবের কথা মনে পড়ে। ভীষণভাবে মনে পড়ে। আমি ফিরে যাই শৈশবে। শৈশবের ঈদ খুবই আনন্দদায়ক ছিলো। ঈদের নামাজ পড়ে বন্ধুদের সাথে পুরো গ্রাম চড়ে বেড়াতাম। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঈদের দাওয়াত দিয়ে আসতাম। বন্ধুদের সাথে দাওয়াত খেতাম।

শৈশবে ঈদেরর চাঁদ দেখা অনুভূতি আজও স্মৃতিতে জ্বল জ্বল করে। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর বন্ধু-সহপাঠীদের সাথে চাঁদ দেখার মজা ছিল ভিন্ন রকমের। চাঁদ দেখার জন্যে আমরা অধীর আগ্রহে থাকতাম। যখন চাঁদ দেখতাম তখন আমাদের আনন্দ দেখে কে!

যখন স্কুল এবং মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন বাবা-মা, চাচা-চাচি এবং বড় ভাইদের সালাম করলেই সালামি পেতাম। এখন খুব আফসোস লাগে, এখনো সালামি পেতে ইচ্ছে করে। যদিও এখন আমি সবাইকে সালামি দিই।

কোভিড-১৯ মহামারিকালে ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। হাসপাতালেই মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। এর বাইর যতোটুকু সময় পেয়েছি পরিবারকে সময় দিয়েছি। আসলে বাইরে যাওয়ারও সুযোগ ছিলো না।

একজন চিকিৎসকের কাছে রোগীর সুস্থতার মধ্যে নিজের সুখ লুকিয়ে থাকে। ঈদের সময় কোনো রোগী যখন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে তখন চিকিৎসক জীবনকে সার্থক মনে হয়। আসলে একজন চিকিৎসকের কাছে রোগীর মুখের হাসিও সবচেয়ে বড় সম্বল। কেননা চিকিৎসক পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে রোগীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ঈদের সময় যখন পরিবারের মায়া ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে সে সময়ও একজন চিকিৎসক পেশাগত অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন।

এবারের ঈদ বৈশাখের তপ্ত গরমে। তাই স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। স্যানিটাইজেশন মেনে চলতে হবে। এ সময় ঘোরাঘুরি হবে বেশি, তাই যাত্রাপথে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একমাস সিয়াম সাধনার ফলে প্রতিদিনকার জীবনের রুটিন ঈদ-পরবর্তী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। বাইরে ঘোরাঘুরি আর বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাঝে যদি পানি ঠিকমতো না খান তবে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আবহাওয়া গরম থাকলে, শরীরে পানির চাহিদাও বেশি থাকবে। ঈদে প্রায় সব বাড়িতেই তৈলাক্ত খাবার বেশি বানানো হয়ে থাকে, সেজন্যেও পানি বেশি করে খাওয়া দরকার।

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই ঘোরাঘুরি। সবারই নানা আয়োজন থাকে এই দিনটি ঘিরে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন, ঘোরাঘুরির আয়োজন। তবে সব কিছুর আগে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা শরীর ভালো থাকলেই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উপভোগ করা যাবে।

ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান : আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়