প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশের শিশুদের বড় একটি সমস্যা কৃমি। দূষিত ও অপরিচ্ছন্ন খাদ্যদ্রব্য, মলমূত্র এবং মাটি থেকে মূলত কৃমি ছড়ায়। কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মলমূত্র মাটিকে দূষিত করে এবং কৃমির ডিম মাটি থেকে মানুষকে আক্রান্ত করে। অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন, দূষিত পানি, অপরিচ্ছন্ন গৃহস্থালি, বড় নখ, শৌচাগার শেষে হাত সাবান দিয়ে না ধোয়া, খাবার তৈরি বা গ্রহণের আগে সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া, কাঁচা ফলমূল না ধুয়ে খাওয়া এবং যথেষ্ট রান্না না করা, খালি পায়ে শৌচাগারে যাওয়া এবং মাটিতে খালি পায়ে হাঁটা কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের কৃমির মধ্যে গুঁড়া কৃমি, গোলকৃমি ও ফিতা কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি। এগুলো পরজীবী।
কীভাবে বুঝবেন
১. অরুচি। ২. পেটব্যথা বা কামড়ানো। ৩. বমি বমি লাগা এবং পাতলা পায়খানা। ৪. মলদ্বারে চুলকানি। ৫. রক্তশূন্যতা, যা সাধারণত ফিতা কৃমি দিয়ে হয়। কারণ, ফিতা কৃমি অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাত ঘটায়। ৬. অনেক সময় কৃমি শিশুর নাক–মুখ দিয়ে বের হতে পারে বা শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে।
সমাধান
১. তিন মাস পরপর বাড়ির সব সদস্যকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
২. মলত্যাগের পর, খাবার তৈরি বা পরিবেশনের আগে এবং খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. কাঁচা ফলমূল ও সবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
৪. শৌচাগার ও বাড়িঘর পরিষ্কার রাখুন।
৫. খালি পায়ে হাঁটবেন না।
৬. বাড়ির সবার নখ কেটে ছোট রাখতে হবে।
৭. শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা রোধ করতে হবে।
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
অ্যালবেনডাজল, মেবেনডাজল আমাদের দেশে কৃমির ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়। এসব ওষুধ খালি পেটে খাওয়ানো ভালো, তবে প্রয়োজনে ভরা পেটে খাওয়া যেতে পারে। শিশুর মলদ্বার চুলকালে মলদ্বার পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্যান্ট ও জামা পরিবর্তন করে দিতে হবে।