বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অতিমাত্রায় প্রসাধনী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
অনলাইন ডেস্ক

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য একেকজন মানুষ একেক রকমভাবে রূপচর্চা করার চেষ্টা করে। এই রূপচর্চা করতে গিয়ে অনেকে চুলে রং থেকে রিবন্ডিং করা (চুল তাপ দিয়ে সোজা করা), হাতে ট্যাটু আঁকা, কানে একাধিক ছিদ্র করে থাকে। এতে দেখতে সাময়িক ভালো লাগলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। বেশির ভাগ সময় এ ধরনের প্রসাধনী আসে বিদেশ থেকে। ওখানকার আবহাওয়া, জীবনযাপন পদ্ধতি, খাদ্যাভ্যাস আমাদের দেশের তুলনায় আলাদা। সেসব দেশে পরিবেশদূষণও আমাদের দেশের তুলনায় কম। সেখানকার কিশোর-কিশোরী, তরুণ প্রজন্ম যে প্রসাধনী ব্যবহার করে, তা আমাদের দেশের মানুষের ত্বক, চুলের জন্য সব সময় উপযোগী না-ও হতে পারে। তাই অতিমাত্রায় প্রসাধনী ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত।

* অতিমাত্রায় প্রসাধনী শুধু কিশোর-কিশোরী নয়, সব বয়সের মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। কিশোর বয়সে ত্বক থাকে কোমল। তাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিমাত্রায় প্রসাধনী ত্বকের ওপর ফেলতে পারে বিরূপ প্রভাব, যা হয়তো কিশোর বয়সে বোঝা যাবে না, ৩৫ বা ৪০ বছরের পর থেকে তা ধরা পড়ে।

* অনেকে চুলে বিভিন্ন ধরনের রং করে। চুলে রং করলে চুলের আলাদা কিছু যত্ন থাকে। চুলে রিবন্ডিং, রং, সাময়িক তাপ দিয়ে চুল সোজা করলে একেক পরিস্থিতিতে একেক রকম যত্ন করতে হয়। কিশোর বয়সে চুলের এই ফ্যাশনগুলো করলে সে মোতাবেক যত্ন নিতে হবে। নয়তো চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়বে, চুল ঝরে যাবে।

* অনেক কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী আবার চুল সঠিকভাবে আঁচড়ায় না। চুলে জট বেঁধে থাকে। চুল নিয়মিত না আঁচড়ালে চুলের গোড়ায় ধুলাবালি, রোগজীবাণু জমে তৈরি হবে খুশকি। এসব খুশকি দিনের পর দিন জমতে জমতে রোগজীবাণু আরো বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত চুল আঁচড়াতে হবে।

* মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে, তাঁদের শরীরে বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন ধরনের হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। প্রয়োজনীয় কিছু হরমোনের অভাবে ত্বক ও চুল হয়ে ওঠে দুর্বল। তাই নিজের শারীরিক ক্ষমতা বুঝে রূপচর্চা বা প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। রূপচর্চার উপকরণ ভেষজ বা প্রাকৃতিক হলে আমাদের জন্য মঙ্গল।

* যেসব নারী-পুরুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নিতে হয়, তাঁদের চুলে ডাই দেওয়ার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাসার বাইরে যাঁদের নিয়মিত অতিমাত্রায় প্রসাধনী ব্যবহার করতে হয়, তাঁরা বাসায় মেকআপ ছাড়া থাকার চেষ্টা করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়