প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বৃষ্টি হলেই চাঁদপুর স্টেডিয়ামের মাঠটি পানিতে থাকে টইটম্বুর
প্রথমত, চাঁদপুর জেলাতে মাঠ এতো বাজে, এ রকম মাঠ অন্য কোনো জেলা স্টেডিয়ামে আছে কিনা জানা নেই। একে তো মাঠটি উঁচু- নিচু, তার ওপর আবার বিভন্ন ধরনের ঘাস। কিছু ঘাস রয়েছে যে, এগুলো পায়ের সাথে লাগলে কেটে যায় পা। স্টেডিয়ামের মাঠটিতে ভালো মানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টি হলে মাঠ পানিতে টইটম্বুর হয়ে থাকে। খেলাধুলা আয়োজনের জন্যে সবার আগে মাঠ সংস্কার করা উচিত। ঘাসগুলো কাটার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরাসহ যখন অনেকেই খালি পায়ে খেলি, বড় বড় ঘাসের জন্যে তখন খেলা যায় না।
মেশিন স্বল্পতার কারণে নাকি ঘাস কাটতে পারছে না স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। ৩/৪টা আধুনিক ব্যাটারি চালিত ঘাস কাটার মেশিন আনলে আমার মনে হয় একদিনে সব ঘাস কাটা সম্ভব হবে। এতো দাম না এগুলোর। আর যদি আনা সম্ভব না হয় তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ধার এনে ঘাসগুলা কাটা হোক। ক্রিকেট পিচসহ সব কিছু সামঞ্জস্য রেখে করা উচিত। দক্ষিণ পাশে যেহেতু অব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাই ঐখানে খেলার জন্যে কিছু করা হোক। মিনি টার্ফ বসানো হোক, আর না হলে কোমলমতি বাচ্চাদের জন্যে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হোক স্টেডিয়ামে। যাতে প্রতিদিনই অনেক লোকের সমাগম হয়। এতে মাঠে আসা-যাওয়ার দর্শনার্থীও বেড়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, ভালো মানের Led screen board লাগানো হোক। দর্শকদের সুবিধা হবে। যে কোনো খেলা সহজেই দেখতে পারা যাবে স্কোরে। দাম খুবই কম, এগুলো চাইলে সম্ভব। খেলোয়াড়দের বসার জন্যে ১০ সিট বিশিষ্ট রিজার্ভ বেঞ্চ বানানো যেতে পারে, যাতে যে কোনো খেলায় পক্ষ বিপক্ষ দলগুলা মাঠে অনায়াসে বসতে পারে। বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে না। লোকালি বানানো যায়। এগুলোর খরচও কম। জেলা ক্রীড়া সংস্থা চাইলে পারতো এবং আশা করি ভবিষ্যতে যারা আসবেন এ বিষয়টির প্রতি বেশি খেয়াল রাখবেন। এসএস দিয়েও চেয়ার খুব সহজে বানানো যায়। এ ব্যাপারটা ভেবে দেখা হলে খেলার মাঠে ক্রীড়ামোদী দর্শক এমনিতেই ভিড় জমাবে।
তৃতীয়ত, মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে মাঠ কর্মীদের বেতন বাড়ানো হোক। তাহলে তারা বেশি করে কাজে মনোযোগী হবে। মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে। কেউ যেন মাঠ নষ্ট না করে। কোনো প্রকার মেলা/অনুষ্ঠান মাঠে না করার ব্যবস্থা করা হোক। এতে মাঠ নষ্ট হয়ে যায়। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা হলে মাঠের পরিবেশও ভালো থাকবে।
চাঁদপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম চালু করা হোক। জেলা শহরে এর কার্যক্রম নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের আমলে দেখা গেছে, দলীয় নেত্রীদের দায়িত্ব দিলে জেলার নারীদের খেলাধুলাকে নিয়ে যায় অনেকটা কবরে। ঠিকমতো গত কয়েক বছর মেয়েদের তেমন কোনো খেলাধুলার আয়োজন হয়নি। আমাদের দাবি, দ্রুত মহিলা ক্রীড়া সংস্থার খেলাধুলার উন্নয়নের জন্যে নতুন কমিটি দেয়া হোক, যাদের মাধ্যমে চাঁদপুরের ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। আলাদা মহিলা ক্রিকেট ক্লাব চাই চাঁদপুরে, যা পরিচালনা করবে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। অন্যান্য জেলায় যে রকমভাবে পরিচালনা করা হয়, সেরকমই আমাদের পরিচালনা করতে হবে। অর্থ খরচ ও বহন করবে সরকার। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নতুনভাবে যারা দায়িত্বে আসতেছেন, তারা এগুলো সকল কিছুই পরিবর্তন করলে খেলাধুলায় চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা আবারো পূর্বের চেয়ে ভালো কিছু করবে বলে আশা করি।