প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
খবর নিও
থামিয়ে দিলে তো! এবার দূর হতেই তোমায় দেখিবো
তা তুমি যাই বলো
এইটা আমার
সচেতন মনের প্রমিজ।
লোক দেখানো কিছুতে আমি বিশ্বাস করি না,
অনন্ত অভিশাপে মানুষ দংশিত হয়
আমি তোমায় দিয়ে গেলাম অনন্ত ভালোবাসা
আর
দুর্বামিশ্রিত হরি ধানের
দু মুঠো আশীর্বাদ।
একদিন যদি প্রয়োজন হয়, খবর নিও নিঃসঙ্গ চিলের কাছে
মাঝরাতে ঘুমভাঙা রাত্রির কাছে
গোধূলি বসন্তে
মৃত বৃক্ষের কাছে
আজ হয়তো, আলো ঝলমলে শহরে তুমি থাকছো!
মাথা রাখছো
শিমুল তুলোর বালিশে, পাশে শুয়ে থাকা আমার চির হিংসুটে প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ!
কতই না এলোমেলো করে দেয়
তোমার সিঁথির সিঁদুর,
ভালোবাসার নজরানা তুলে দেয়
আড়ষ্ট ওষ্ঠে অধরে!
সুখ!
আহা! বুনিয়াদি সুখ!
আহা! উর্বশী
জানো তো, মানুষ কোনো না কোনো সময় একাকিত্বকে বরণ করে নেয়
আমি না হয়
কয়েক ক্রোশ আগেই করে নিলাম।
যদি প্রয়োজন হয় খবর নিও
অস্তমিত জোছনার কাছে, আমি তোমার কেউ ছিলাম,
কোনো দিন কেউ ছিলাম
এখন আমি অসীম আকাশে, এক
নিঃসঙ্গ চিল
তোমার ওষ্ঠে অধরে বুনিয়াদি সুখ!
আহা! রঙ্গিলা
আহা! সুখী মানবী
যদি মনে পড়ে আমায়
খবর নিও
এখন আমি অসীম আকাশে, এক নিঃসঙ্গ চিল...
একটা কুঠিরের গল্প শোনালাম তোমায়
আজ তোমায় একটা কুঠিরের গল্প শোনাবো
তুমি হয়তো কোনোদিনই জানবে না
বুকের ভেতর
জলরঙে আঁকা বায়ান্ন হাজার চিত্রকর্ম
সাগর তলের আদলে সুবিশাল মিউজিয়াম!
সেখানে নক্ষত্র রুপিনী
ছোট-বড় তোমার অবয়ব! সারি সারি ফ্রেমে দেয়ালে সাঁটানো
মায়ময় মুখের এফোঁড়-ওফোঁড় লাজুক হাসি
অনেকটা রাজর্ষী পদ্মিনীর মতো!
যার কাছে পৌঁছে সংবাদ
সেই ঠাট্টা করে
বলে, ভালোবাসার ভীমরতি হয়েছে বুঝি
আমি তো জানি
আর না জানুক কেহ
তুমি যে আমার কে!
এখানে জগৎ বিখ্যাতরা এসে থেমে যায়
অবিশ্বাস্য প্রেমের পাগলামি দেখে!
জলরঙা ছবিগুলো আরো জীবন্ত হয়
আমার ঘুম ভাঙা আলোয়
আমি কুঠিরে বসি সৃজন ধ্যানে ভ্যানগগের তুলি হাতে
তোমাকে ভালোবেসে
আমি বায়ান্ন হাজার প্লাস উতরে যেতে চাই!
একটা কুঠিরের গল্প শোনালাম তোমায়
একটা বুকের গহীনে
জলরঙে আঁকা, শুধু তোমার ছবি তোমার ছবি!