প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
কবিতা হলো একটা যাবতীয় জীবনের সংক্ষিপ্ত পটভূমি। কবিতা বহন করে জীবনের গান। কবিতা যেন একটা নারীর ভাস্কর্য। নারীর অপলক চাহনী আর সিগ্ধ হাসি যেমনি পুরুষকে দৌলা দেয় ঠিক তেমনি ভাবে কবিতা কবির জীবনকে নাড়িয়ে দেয়। যে নদী ও নারীর মর্ম বুঝে তার জন্য কবিতাকে চেনা দুষ্কর।
মূলত নারী ও কবিতা এবং জীবন ও নদীকে বুঝতেই কবিতা লিখি।
দেশের নিপুণ সত্য ও সুন্দর কথাগুলো ক্ষমতার প্রভাবে অনুচ্চারিত। তাই কলমের ডগায় উচ্চারিত করতে কবিতা লেখার প্রয়াস। তাছাড়া কবিতার মাঝে খুঁজে পাই আমাকে। কেননা কবিতা ভাবকে রূপে পরিবর্তন করে। কবিতা নাকি রহস্যময়তার প্রাণ। আমার ভিতরের আমিত্বের রহস্যকে জাগিয়ে তোলার জন্যই কবিতা লেখা। বলতে পারেন কবিতা আমার অর্ধাঙ্গিনী।
মাটির সা¤্রাজ্য
প্রজাপতি মালিকের ঘাসের ডগায়
বসার অভিযোগ আনা হলো।
বনের প্রজাপতি ধরতে সহজ।
অভিযোগ পাওয়া মাত্র,
মামলা নিয়ে কোর্টে চালান দিলো।
মশাদের মতো এক থাপ্পড়েই
মৃত্যুদণ্ডের রায় দিলো।
আইন হয়ে উঠলো ডিমের কুসুম।
অন্যদিকে আদল কেঁচো বিষ ঢেলে ফড়িংকে হত্যা করছে জনসমুখে!
মামলাটি তদন্ত চলছে কুড়ি বছর!
অভিযোগ পত্রটি কচু পাতায় রাখা হয়েেেছ।
জনগণের দাবি এটি যেন ভোরের শিশির।
রৌদ্র বা বাতাস এলেই
মামলাটি মাটিতে নিঃশেষ হয়ে যাবে।
ঐদিকে আদল কেঁচো পিঁপড়ে, ঘাসপোকা,সাধারণ কেঁচোর ভোেেট
মাটি সম্রাজ্যের প্রধান!
লবণাক্তার হত্যা
চিনাজোঁক,
সুপ্ত করে বডেছিলো ঘাসের লাবণ্যে।
ঘাসফুলে নীলফড়িং ভ্রমণে এলে
শুষে নেয় সবটুকু রক্ত।
যুগল নীল ফড়িং তখন
উর্বর জমি চাষে ছিলো ব্যস্ত।
প্রণয় থেকে ফিরে এসে,
নীল ফড়িং নজর দিলো জোঁকের দিকে
তড়িঘড়ি লবণাক্ততা পানি ঢেলে
হত্যা করলো জোকের জীবন।
ঠিক কিছু সময় পূর্বে
তেপান্তরের বনে,
এমনি একটা হত্যা করে এসেছে।
বুকপকেট
নীলাতা তোমার নীলাভ চোখ
অধরে বেলিফুলের আভা
প্রতিনিয়ত উষ্ণ করে।
বেমালুম ভুলে যাই,
তুমি ছিলে ভোরের শিশির।
সূর্যোদয় হওয়া মাত্র
আকাশ হয়ে উঠে নীলাকার।
রৌদ্দুর ভরা নীলাকাশ থেকে
এক মুঠো আলো বুক পকেটে নেই।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে বুকে হাত রেখে,
দীর্ঘশ্বাসে শান্ত¡না খুঁজে পাই।