প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বৃষ্টির ঠিক পরের রোদের উজ্জ্বলতা দেখেছো?
ঠিক কান্নার পরের সুখের হাসির মতো সুন্দর।
আমার পরিচিত অনুভূতি,
এক বিকেল বৃষ্টির পরেও
এক চিলতে রোদ ছিলো মনে, ভরসার রোদ।
ভোরে সদ্য ফোটা ফুলে সূর্যের আলো পড়তে দেখেছিলে?
আমার স্বপ্ন ছিলো, একটা স্নিগ্ধ ভোর
আর সেই সদ্য ফোটা ফুল হবে আমাদের নতুন করে শুরু করা।
আর সূর্যের সেই স্নিগ্ধ আলোর মতো উদ্দীপ্ত হবে
আমাদের একসাথে পথচলার জীবন।
অথচ তা জন্ম জন্মান্তরের অমাবস্যা হয়ে রয়ে গেলো।
তুমি কী মধ্যরাতে পরিচিত হাহাকারে জেগে উঠেছো কখনো?
শুকনো গলায় জলের তৃষ্ণার মতো,
হৃদয়ের তৃষ্ণা, দুটো কথা বলার
সাথে হারানোর প্রচণ্ড ভয়
কখনো অনুভব করেছিলে?
কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে কেঁদেছিলে কী?
ভয়ের তীব্রতা অদৃশ্য শক্তিতে নড়তে দিচ্ছিলো না
অজান্তেই গাল বেয়ে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিলো
অথচ সেই জল মোছার শক্তিটুকুও ও ছিলো না
আবার সেই দুঃস্বপ্ন দেখার ভয়ে না ঘুমিয়ে থেকেছিলে?
হ্যাঁ, আমার বহুরাত এভাবে কেটেছে
কারণ তুমি ছিলে সেই জীবন্ত দুঃস্বপ্ন।
কখনো আবার স্বস্তির নিঃশাসও ছিলে বটে
তা ছিলো ছলনা
আমি যত্ন আর আগলে রাখার প্রতীক ভাবতাম যেটাকে
বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছিলো সেটা
অথচ আমি কুয়াশা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতাম প্রতিনিয়ত
হাহাকার ডেকে এনে চুপচাপ পালিয়ে যেতে
আর সেই হাহাকার পরিনত হতো
আমার ঘুম খেকো এক অদৃশ্য রাক্ষুসে অনুভূতিতে।
আমি সেই হাহাকার আগলেই বাঁচতাম
সেই অনুভূতি কেই ভালোবাসতাম।
মনে হতো জীবনের মানে আছে
অনুভূতিশূন্য হয়ে তো বাঁচা যায় না
আমার বাচার রসদ হয়তো এই খারাপ অনুভূতিই।
আমি তোমায় আগলে বাঁচতাম।
আর তুমি আমায় খারাপ অনুভূতি উপহার দিতে।
যতো যাই হোক, আমি জানি সে আমায় ভালোবাসে,
এই তো অনেক।
অথচ তীরে এসে তরী ডুবে গেলো
সেই ভালোবাসার তরী।
কারণ সেই ভালোবাসা ছিলোই না কখনো।
ছিলো শুধু ক্ষণিকের মোহ
আমি যাকে ভালোবাসা বলে জানতাম
পরে তা ছলনা রূপে প্রকাশ পেলো
আকাশ ভেবে তোমায় ছুঁতে গিয়েছিলাম
আমার আকাশ ছোয়ার অভিলাষ
আর পূর্ণ হলো না।
কারণ তুমি আকাশের ভাসমান মেঘ ছিলে
আকাশ ছিলে না কখনোই
আমি সেই মেঘ কে ভুল করে আকাশ ভেবেছিলাম
আকাশ ছুঁতে গিয়ে আমি মেঘের ছলনায় মজেছিলাম।