প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
দুই হাজার একুশের ডিসেম্বরে
ভর্তি হয়েছি আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
উপজেলার স্বনামধন্য গৃদকালিন্দিয়া কলেজে
সেদিনই প্রথম কথা হয়েছিল জাবেদের সাথে।
সে যে আমার কলেজের প্রথম বন্ধু
সারাক্ষণ পড়বে তাকে মনে
সে একজন সংবাদকর্মী, চলে সমাজের আয়না হয়ে।
দুই হাজার বাইশের পহেলা জানুয়ারি প্রথম ক্লাসে
প্রবেশ করলাম আমি বিশ মিনিট দেরি করে।
সাইফুল ইসলাম বুলবুল স্যার ছিলেন শ্রেণীকক্ষে
প্রধান প্রধান বৈদেশিক সরকার বইটি ওনার হাতে।
প্রথম দিনের প্রথম ক্লাসে অনেকের সাথে হয়েছি পরিচয়।
তাদের মধ্যে উম্মে সালমা উল্লেখযোগ্য রয়।
সে অনেক ভালো মেয়ে পড়াশোনায়ও বেশ মনোযোগী।
সংসারে লক্ষ্মী বউ, কলেজে মেধাবী ছাত্রী।
তারপর আছে জয়শ্রী
মিলেমিশে চলে সবার সাথে হয়ে লক্ষ্মীটি।
এবার বলি সাহানা ম্যামের কথা
যিনি শিক্ষার্থীদের আগলে রাখেন দিয়ে মায়া মমতা।
এ হৃদয়ে জমে আছে লিমন,তানভীরের কথা
এ দুজন হয়ে থাকবে স্মৃতির পাতা।
নিপা আর সুমা
তারা কোথাও গেলে ছবি তুলতে তুলতে চলে যায় ক্রোমা!
আবার নিপা তো টিকটকেও সেরা।
নিশি, মুনিয়া
একসাথে সামলান সংসার আর পড়াশোনা
ইসরাত মিম, নাদিয়া
ওরা যে কতজনের ক্রাশ
দেখে যাই শুধু চোখ মেলিয়া।
মিম আর নিলা
তারা চলে বলতে গেলে একলা একলা।
জাকারিয়া, রাকিব, অনিক
তাদের খুঁজে বেড়াই দিগ্বিদিক।
এবার বলি দুই মামুনের কথা
একজন বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার সুযোগ খুঁজছেন।
অন্যজন বেঁচে নিয়েছেন শিক্ষকতা।
সালমা আর জ্যামি
তারা যেন দুটি দেহে একই আকৃতি।
সাহেদ, নূর আলম
তাঁরা ক্লাস ফাঁকিবাজ একদম!
ফারিয়া,জান্নাত,লাভনী
তারা আমাদের বিভাগের এতটুকুই জানি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখি তানজিনা কামরুল
তাকে খুঁজতে খুঁজতে হয়ে গেছি ব্যাকুল।
আরও আছে জান্নাত পাঠান
সে তো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
তারপর একটু বলি ইয়াছিনের কথা
যার সাথে রয়েছে হাই স্কুল থেকে হৃদ্যতা।
সে আবার করে থাকেন সাহিত্য রচনা।
সব মিলিয়ে চলছে বেশ আমাদের পথচলা
পড়াশোনা আর বন্ধুত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগই সেরা।
যে বিভাগে আছে অনেক জ্ঞানী গুণী