প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ইলিশ দেখা দুষ্প্রাপ্য
চাঁদপুর নাকি ভরপুর
জলে আর স্থলে
রূপালী ইলিশ চলে
পদ্মা-মেঘনার জলে।
দেখেছি কত বছর আগে
বাবা আর দাদা নাকে দড়ি বেঁধে
ইলিশের হালি নিয়ে
আসতো বাড়ি ফিরে।
মা আর বোনকে দেখেছি ইলিশ কাটতে
টাটকা ইলিশ ভাজা গন্ধে
পুরো বাড়ি মৌ মৌ করে
পাড়ার লোকে বুঝতো কেউ ইলিশ ভাজে।
এমন ইলিশের চিত্র
চোখে এখন নাই পরে
এক টাকায় নাকি হালি ইলিশ মিলত
এখন প্রজন্মের কাছে রূপকথার গল্প লাগে।
বড়স্টেশন মাছঘাট
পদ্মা-মেঘনার ইলিশে
জমতো নাকি হাট
সেই ইলিশের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
রচনা কাল ২৮/৮/২০১৯
বেলা শেষে ফিরে নাতো
বেলা শেষে সন্ধ্যা এলো
পোরালৌহ রং সূর্য
পশ্চিমাকাশে হেলে পড়লো
বোঝা গেলো দিন শেষে সন্ধ্যা ঘনালো।
পাখিরা দিবা শেষে
দলবেঁধে অজানার পথ
পাড়ি দিয়ে নীড়ে ফিরে
শুধু তুমি ফিরলে না।
ভোরের আলো দৃষ্টিপাতে
শালিক-ময়না-টিয়া-বক
দলবেঁধে ছুটে চলে
সন্ধ্যার পূর্বাভাসে নীড়ে ফিরে।
সেই যে কতেক ফাগুন কেটে গেলো
সুউচ্চ লাল-পাহাড়ে শেষ দেখা
বলেছিলে তুমি ছাড়া আমি একা
ফাঁকি দিয়ে সেই যে গেলে আর ফিরলে না।
আজও তোমার পথ চেয়ে
বসে আছি আসবে বলে
পাখিরা নীড়ে ফিরে
তুমি তো আর ফিরলে না।
রচনাকাল ১১/৫/২০১০