বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |  
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

এক বসন্তের চিতা
আবু সাঈদ

মলাটে আবৃত খয়েরি রঙের পুরানো ডায়েরিটা হাতে নিয়ে ছাদে গিয়ে দোলনা চেয়ারে বসলো প্রান্ত। প্রকৃতি যেনো গোধূলির হলদে-লাল আলোয় মেশানো শাড়ি পরেছে তখন। ঝাঁপসা চোখে ডায়েরির পাতা উল্টাতেই রক্তজবার গুটিকয়েক শুকনো পাপড়ি বেরিয়ে এলো। পাপড়িগুলোতে হাত বুলাতেই প্রান্তের চোখে ভেসে এলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রাণবন্ত, রঙিন এবং জীবন্ত হাজারো স্নিগ্ধ স্মৃতি।

আজ প্রান্তের জন্মদিন। শতসহস্রফুলের মাঝে রক্তজবা তার সবচেয়ে প্রিয়। প্রান্তিকা সাদা-কালোমিশ্রিত পেকেটে মোড়ানো একটি শার্ট আর একটি রক্তজবা নিয়ে এসেছে প্রান্তকে উপহার দেয়ার জন্যে। প্রান্তিকা প্রান্তের ঠিক দুবছরের জুনিয়র। কিন্তু তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে ওরা ক্লাসমেট নয়। আজ প্রান্তিকা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে এসেছে ক্যাম্পাসে। কলাভবন থেকে সরাসরি তারা কার্জন হলের সামনে এলো একটি রিকশায় করে। সারা ক্যাম্পাস সেজেছে জারুল ফুলের মায়াবী মুর্ছনায়। শত শত গাছে ফুটে রয়েছে স্নিগ্ধ মন-মাতানো সব ফুল। শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে তারা বসলো কিছুটা সময়। তারপর দুজন হাতে হাত রেখে হাঁটলো অনেকক্ষণ। প্রান্তিকার একটি অদ্ভুত সখ আছে। তা হলো মহাসড়কের পাশ-ঘেঁষা ফুটপাতের উপর দিয়ে প্রান্তের হাত ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটা। প্রান্ত প্রথমদিকে বিরক্ত হলেও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। মেয়েটাকে সে যতোই দেখে ততোই মুগ্ধ হয়। হাঁটতে হাঁটতে অনেক কথা হলো দুজনের। পড়াশোনা শেষ করে তারা দুজন একটি ছোট সংসার পাতবে। পাখির বাসার মতো ছোট একটা ঘর থাকবে। একটি ছোট কন্যাসন্তান থাকবে। তাকে আদর করবে। দূরে সমুদ্র আর পাহাড়ে বেড়াতে যাবে। মাঝে মাঝে বসন্তের কোনো জোছনাভরা মধ্যরাতে তারা বেরিয়ে পড়বে গাড়ি নিয়ে। শহর থেকে দূরের কোনো গ্রামে, যেখানে সারি সারি নারিকেল আর সুপারি ঘেরা পথ, পাতার ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাবে প্রাণবন্ত রূপালি চাঁদ। প্রান্ত পরবে হলুদ পাঞ্জাবি আর প্রান্তিকা পরবে নীল শাড়ি। গাড়িতে বাজবে রবীন্দ্র সংগীত ‘আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে...’ এমনি হাজারো কথার ফুলঝুরি। তাদের যেনো আজ কথা ফুরোচ্ছে না। এর মধ্যে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলো। প্রান্ত ভার্সিটির হলে আর প্রান্তিকা ফিরলো বাসায়।

কেনো যেনো আজ ঘুম হচ্ছে না প্রান্তিকার। কে যেনো চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে মাঝরাতে। কেনো ফুরিয়ে যায় মধুর সময়গুলো! কী হতো আজকের গোধূলিটা আর একটু দীর্ঘ হলে? প্রান্তকে ছুঁয়ে আর একটু হাঁটলে কী এমন ক্ষতি হতো?

এই মদির মধ্যরাতে তোমার হাতে হাত রেখে অনেক দূর হারিয়ে যেতে চাই সখা। দূরে ঝিঁঝিঁ পোকারা ডাকবে। সেখানে তোমার আমার স্বপ্নিল দিনগুলোর ঘটবে না অবসান। রয়ে যাবে অবসারির অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশা, সাগরের নোনা জলে, কখনো বীণার অনিন্দ্য সুর লহরীতে। আমার এ আকুল প্রাণের ভাষা তোমাকে জনম জনম খুঁজবে প্রান্ত- অবচেতন মনে বিড় বিড় করতে ভোরবেলা চোখ বন্ধ হয়ে আসে প্রান্তিকার।

ঘুম ভাঙতেই সে দেখে ঘড়িতে সকাল নয়টা বেজে পনের মিনিট। আজ আর ভার্সিটিতে যাওয়া হবে না তার। ক্লাস ছিলো সকাল আটটায় ও দশটায়। বনশ্রী থেকে ভার্সিটি যেতে প্রান্তিকার অনেক সময় লেগে যাবে। ক্লাস পাওয়া যাবে না আজ। তাই প্রান্তকে আজ আর দেখা হলো না। কাল শুক্রবার, ভার্সিটি বন্ধ। এই দুটা দিন অসহ্য যন্ত্রণায় গেলো প্রান্তিকার। এই দুদিন জীবনানন্দ দাশের কবিতার বই পড়ে কাটালো সে। একটা কবিতা তার বার বার মনে দোলা দিচ্ছিলো।

‘আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি!

আবার বছর কুড়ি পরে-

হয়তো ধানের ছড়ার পাশে

কার্তিকের মাসে- ’

এদিকে প্রান্ত দুদিন খুব ব্যস্ততায় দিন কাটালো। ভার্সিটির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকায় কাজের চাপ ছিলো অনেক বেশি। আগামী সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারি। শহিদ মিনার সাজানো থেকে শুরু করে কতো কাজ প্রান্ত ও তার বন্ধুদের। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দেশে। শতাব্দী শেষ হতে চলেছে। আর মাত্র চার বছর। নতুন শতাব্দীতে মানুষের কর্মপরিকল্পনা কেমন হবে তা নিয়ে চলছে নানা চিন্তা। প্রান্ত ও তার বন্ধুরা নতুন শতাব্দীতে নতুন তারুণ্য-ভরা ভাবনা নিয়ে হাজির হবে। চোখভরা স্বপ্ন তাদের। অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততা গেলো প্রান্তের। এর মধ্যেও প্রান্তিকাকে ভুলেনি সে। প্রান্তকে সে কথা দিয়েছে আগামী চার বছর পর অর্থাৎ ২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করবে তারা। চার বছর পর পর বিবাহবার্ষিকী পালন করবে তারা।

এভাবেই কাটছিলো তাদের দিনগুলো। প্রকৃতি তার নতুন আলোয় সাজে নব ঋতুতে। গ্রীষ্মের শুরুতে তাপদাহ তখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। ফাগুনের রেশ রয়ে গেছে প্রকৃতির বুকে। দেয়ালের পাশে টবে এক জীবন্ত ক্যাকটাস ডানা মেলে ছড়িয়েছে চারপাশ। মাঝে মাঝে আকাশে বজ্রপাত আর শিলাবৃষ্টিতে কেঁপে কেঁপে উঠে বুকের ভেতর। দূরে নদীর দুপাড় ভাঙে, আবার তার বুকে জন্মায় নতুন কোনো চর। সেই চর নিয়ে স্বপ্ন দেখে এক অজানা বালক। কূলে বসে সে ভাবে, পৃথিবীর এই কোলাহল ছেড়ে সে চলে যাবে স্বপ্নমাখা ওই ছায়া-শ্যামল আর মায়ায় ঘেরা চরে কিংবা দূরের কোনো মায়াবী দ্বীপে। কিন্তু যখনই সে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, তখনই দেখে ঐ চর অন্য কেউ দখল করে নিয়েছে। এমনি চলছে বিশ্ব চরাচর।

আজ প্রান্তিকার মন ভালো নেই। টিএসসিতে প্রান্তের কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে সে। প্রান্ত জিজ্ঞাসা করতেই তার মন খারাপের কারণ বললো। গতকাল প্রান্তিকাকে দেখতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক ছেলের পরিবার। প্রান্তিকা বিয়ে করতে চায় না এখন। কারণ প্রান্তকে ছাড়া তার সবকিছু এক অপ্রাপ্তির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীর সমস্ত জল আর স্থল মিলেও সে অপূর্ণতা পূরণ করতে পারবে না। এদিকে প্রান্ত এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি। একটি ভেঙে যাওয়া পরিবারের ছেলে সে। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের অন্য একজনের সাথে বিয়ে হয়েছে। ফলে তাকে নানির কাছে বড় হতে হয়েছে। নানিও গত হয়েছে প্রায় বছর দুয়েক হলো। তখন থেকে ভার্সিটির হলই তার আবাস। দুটো টিউশনি করে কোনো রকমে দিন চলে যায় তার। তাই এখন সে প্রায় একা বললে ভুল হবে না। এই পরিস্থিতিতে তার বিয়ে করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রান্তিকার বাবা কোনোভাবেই তাদের বিয়ে দিবে না। সবদিক ভেবে প্রান্ত বিয়ে করার অপারগতা প্রকাশ করলো। কিন্তু প্রান্তিকারও যে কোনো উপায় নেই। এ অসময়ে সে কোনোভাবেই বিয়েটা ঠেকাতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলো প্রান্তকে।

তখন চৈত্রের প্রচণ্ড খরায় রুদ্ধশ্বাস চারপাশ। প্রকৃতির বুকে অনাবৃষ্টির খটখটে শুষ্কতা, বালুচরে চাতক পাখির হাহাকার। মাটির বুক চিরে শতসহস্রফাটলের আঁকিবুঁকি। চৈত্র-সংক্রান্তির দুপুরে হঠাৎ শুরু হলো এক দমকা হাওয়া, প্রচণ্ড ঝড়ে প্রান্তিকার বারান্দার টবে পরম যত্নে জন্মানো রক্তজবার বড় ডালটি ভেঙে গেলো। শিলাবৃষ্টির আঘাতে সদ্য ফোটা রক্তজবার ফুল দুটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে।

প্রায় সপ্তাহখানেক পেরুলো। কিন্তু প্রান্তিকার কোনো খবর নেই। ক্যাম্পাসেও আসছে না কেনো জানি। তার বান্ধবী অর্পাকে দিয়ে একটি ছোট চিরকুট পাঠালো প্রান্ত। তাতে ছোট একটা বাক্য লেখা ছিলো, ‘তোমার সাথে আগামী শুক্রবার শেষবারের মতো লেকের পাড়ে দেখা করতে চাই’। শুক্রবার বিকেল, দুজন হাতে হাত ধরে অনেক পথ হাঁটলো। হাঁটতে হাঁটতে অনেক কথা, জীবনের কথা, বিচ্ছিন্নতার কথা, পরিবারকে না মানাতে পারার কথা, বাবাকে বোঝাতে না পারার কথা ইত্যাদি। প্রান্তিকা চিরদিনের জন্যে ঘর ছেড়ে চলে এসেছে প্রান্তের কাছে। কিন্তু প্রান্ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে খুব ক্লান্ত হয়ে উঠেছে। এ যুদ্ধে হয়তো সে প্রান্তিকাকে হারাতে চলেছে। তার পক্ষে এখন কোনোভাবেই প্রান্তিকাকে নিয়ে সংসার করা সম্ভব নয়। সব যুদ্ধে যে জয়ী হওয়া যায় না। কিছু জয়ের হিসেব ছেড়ে দিতে হয় প্রকৃতির অমোঘ নিয়তির হাতে। প্রান্তিকাও বড় ক্লান্ত, যে বাবা এতো আদর-যত্নে বড় করলো তাকে, সে বাবাই কিনা তার জীবনে সুখের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। সে আর সহ্য করতে পারছিলো না। একদিকে বাবাকে বোঝানোর ব্যর্থতা, অন্যদিকে প্রান্তকে হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা। প্রান্তের হাত ছেড়ে সে মহাসড়কের মাঝখানে ছুটে চললো। সাথে সাথে আচমকা একটা বড় মাল-বোঝাই ট্রাক এসে চাপা দিয়ে গেলো প্রান্তিকাকে। কয়েক সেকেন্ডের জন্যে নিস্তব্ধতা নেমে এলো প্রান্তের বুকে। যেনো তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। সে দৌড়ে ছুটে গেলো প্রান্তিকার কাছে। কিন্তু প্রান্তিকা তখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য কোনো প্রান্তে চলে গেছে...

হঠাৎ পেছন থেকে কেউ প্রান্তের কাঁধে হাত রেখে বললো, ‘বাবা তোমার চশমা ঘরে রেখে চলে এসেছো।’ পিছন ফিরতেই দেখল প্রান্তের বাইশ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সৃজন। জন্মের সময় মাকে হারিয়েছে ছেলেটি। সময়, সভ্যতা আর নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে প্রান্ত ঘরে তুলেছিলো সৃজনের মা অবন্তিকাকে। বিয়ের পর শত চেষ্টা করেও প্রান্তিকার জায়গাটি দিতে পারেনি তাকে। কিন্তু অবন্তিকাও তাকে একা করে চলে গেলো সময়ের পথ ধরে। মা মারা যাওয়ার পর বাবাই সৃজনের একমাত্র আরাধ্য। সৃজন জানে না মা কেমন হয়, কেমন করে আদর করে। কিন্তু সে জানে বাবা কেমন হয়, কতটা ঠাণ্ডা হয়, কতটা ভালো হয়, কতটা বুক উজাড় করে ভালোবাসতে পারে। অথচ সে জানে না এই বাবার বুকে বয়ে চলেছে এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভা। যার ভেতর প্রবেশ করতে পারেনি পৃথিবীর কোনো প্রাণি। বছরের পর বছর ধরে তার বুকে জ্বলছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ এক প্রলয়ঙ্করী দাবানল। যে দাবানল কখনো থামার নয়।

দিন যায় আর প্রান্ত কেবলই ভাবে জীবনের কতো বাঁক, কতো রঙ, কতো ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে আমাদের টিকে থাকতে হয় জগতসংসারে। অপরাধবোধ আর যন্ত্রণার গ্লানি নিয়ে সে কেবলই ভাবে, সে কী তার সেই সাতাশ বছর আগের বাইশ বছর বয়সী সেই দুরন্তপনা ছেলেটি! না, সে পুরোপুরি তার সেই পুরানো চরিত্রের বিপরীত। এক সময় তার সবুজ ভালো লাগত, মাঠের সবুজ, গাছের সবুজ। আর এখন নীল, আকাশের নীল, বেদনার গাঢ় নীল। একসময় মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যেতে চাইতো, কাউকে বোঝানোর আকাঙ্ক্ষায় কেটে যেত সময়। এখন একা থাকতেই ভালো লাগে তার। নির্জনতাকে ভীষণ উপভোগ করে সে। একদিন ভালোবাসবে বলে সে কী তীব্র কামনা ছিলো এই বুকে! মায়াদেবীর হাত থেকে নীল পদ্ম ছিনিয়ে আনার সে কী উদগ্র বাসনা। তীব্র প্রচেষ্টা! আজ সে ভালোবাসতে চায় না কিছুই, আঁকড়ে ধরতে চায় না কোনো খুঁটি, যেনো শত শত চিতা তার বুকে দাউ দাউ করে জ্বলছে অবিরত। সেদিন বৃষ্টি হলেই ডায়েরি আর কলম নিয়ে বসে পড়তো জানালার পাশে, সাথে এক কাপ রঙ-চা। আজ-কাল বৃষ্টির শব্দে ভীষণ বিরক্তি তার।

জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে প্রান্ত পুরো সময় প্রান্তিকার স্মৃতির মধ্যেই ডুবে থাকে। সে কেবল ভাবে কবে প্রান্তিকার মতো সে-ও অন্য এক প্রান্তে চলে যাবে, সে প্রান্তে হয়তো প্রান্তিকা তার জন্য এক অকৃত্রিম অপেক্ষায় আছে। মাঝে মাঝে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হলে তার মনে হয় প্রান্তিকা চিৎকার করে ডাকছে তাকে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়