প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ০০:০০
মায়ের প্রতিটি নিশ্বাস আর সংগ্রামী কণ্ঠে বলে উঠলো-
আমাকে শৃঙ্খলমুক্ত করো হায়েনাদের অশুভ কবল থেকে,
আর্তনাদ করে বলে উঠলো
আমাকে প্রতিষ্ঠিত করো বিশ্বদরবারে,
আমার সংস্কৃতিকে নিজের করে ফুটিয়ে তোল
ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে,
আমার আত্মাকে স্বাধীন ভাবে জাগিয়ে তোল
অসুরের বিষাক্ত কালো থাবা থেকে,
আমার স্বকীয়তাকে ছড়িয়ে দাও সারা বিশ্বে
নরপিশাচদের হিংস্রতা থেকে মুক্ত করে,
আমাকে সাজিয়ে দাও স্বর্ণালি একটি সূর্য দিয়ে
হানাদারদের পশুত্বকে নিঃশেষ করে।
মায়ের বুকের মন-বাসনা বোঝাতে গিয়ে হঠাৎ থমকে যায়,
কারণ অনেকগুলো প্রেতাত্মার বিষাক্ত চোখ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
মায়ের স্বপ্নগুলো ধ্বংস করার মানসে,
ছিনিয়ে নিতে চায় মায়ের অধিকারগুলোকে
তাদের বিষাক্ত ছোবলে,
ভয়ংকর
কণ্ঠরোধ করতে চায় তাদের হিংস্র পশুত্বে।
তাই আজ মায়ের চোখে পানি নেই,
শুকিয়ে গেছে নরঘাতকদের তর্জন গর্জনে
কিন্তু মা আজ আর নির্বাক নন,
অধিকার আদায়ে মত্ত তার শানিত দৃষ্টি
হৃদয়ের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার নতুন-
এক বিদ্রোহী স্পৃহা।
মায়ের এই তেজোদীপ্ততায় গর্জে উঠলো সন্তানেরা,
মা আর কান্না নয়,
তোমার অধিকার রক্ষায় উত্তাল তরঙ্গ আমাদের বক্ষ,
লাখো প্রাণ বিলিয়ে দিবো তোমার ইজ্জত রক্ষায়,
তবুও তোমায় নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দিবো না,
দেবো না ওই প্রেতাত্মাদের অশুভ স্বপ্নপূরণ হতে,
দেবো না তোমায় ছিনিয়ে নিতে,
দেবো না তোমার ভাষা কেড়ে নিতে,
দেবো না স্বাধীন পথচলাকে কেড়ে নিতে,
দেবো না বাক্স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে,
তাই আজ আর ঘৃণা নয়,
প্রতিবাদ প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের নেশায়
আমাদের চোখ আজ আগুনের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,
প্রেতাত্মাদের অশুভ চক্রান্ত বিনাশে দীপ্ত শপথে
স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া।
আজ আর নীরব নয়
উত্তাল বাংলা মায়ের রাজপথ
উত্তাল মাতৃভূমির প্রতিটি অলিগলি,
একটাই আওয়াজ স্বাধীনতা চাই,
চাই স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রাখতে,
বিজয় চাই,
চাই বিজয়ের জন্য আত্মোৎসর্গ করতে,
তাই আজ মাতৃভূমির পদধূলির শপথ নিলাম-
মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে
প্রেতাত্মাদের তাড়িয়ে দিব অতল গহ্বরে
যেখান থেকে আর ফিরে আসবে না
আমার মায়ের সোনার বাংলাতে।
লাখো প্রাণের বিনিময়ে
বিজয়ের তেজোদীপ্ত ও তৃপ্ত হাসির মাঝে
ফিরে আসবো একটা লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে
বলবো- এসেছি মা ফিরে
প্রেতাত্মাদের বুক ছিড়ে
তোমার স্বপ্নপূরণ করে
তোমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের নীড়ে
অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা
তোমার পবিত্র গায়ে জড়াবো বলে।