প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০
মানবজীবনের প্রধান অনুষঙ্গ কাজ। কাজ ছাড়া মানুষ হয় না। আর সেই কাজের সাথে যখন যুক্ত হয় সৃজনশীলতা, তখন তা কেবলই কাজ থাকে না, রূপান্তর হয় শিল্পে। কর্মক্ষেত্রে এমনি এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ‘কুঞ্জ’। আর দশটা টি-স্টল যেখানে শুধু চা খাইয়ে ক্ষান্ত হয়, কুঞ্জ সেখানে ব্যতিক্তম।
বাঁশ-কাঠে তৈরি নান্দনিক ফুডকার্ট, উপরে ছনের শীতল ছাউনি। পাশে ঝুলন্ত বইয়ের সারি, শত বাণিজ্যিক বিপণনের ভিড়ে এক টুকরো কারুশিল্প। এই সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে, কুঞ্জ কর্ণধার মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী) বলেন, আমরা চার বন্ধু মিলে কুঞ্জের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বাকিরা হলো মনিরুল তাসনীম, মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ রিয়াজ।
‘কীভাবে কুঞ্জের আইডিয়া এলো’ জিজ্ঞেস করলে কুঞ্জ কর্ণধার জানান, ‘রোজকার মত বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতেছিলাম, হঠাৎ কথায় কথায় বিষয়টা উঠে এলো, যেই ভাবা সেই কাজ। তারপর ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দরনগরী চট্টলার সি.আর.বি. চত্বরে কুঞ্জের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে চলছে দীর্ঘ দেড় বছর। আমরা চাইলেই ওয়ার্কশপ থেকে ডিজাইন করে একটা ফুডকার্ট বানিয়ে আনতে পারতাম। কিন্তু সেখানে তো শৈল্পিক ছোঁয়া থাকবে না। তাই নিজেরাই বাঁশ, কাঠ, ছন পাতার মিশ্রণে চেষ্টা করলাম অন্যমাত্রা যোগ করার। শুধুমাত্র ফুডকার্টের ক্ষেত্রে যে ভিন্নতা অবলম্বন করেছি, তা কিন্তু নয়, আমরা চায়েও আনার চেষ্টা করেছি নতুনত্ব। চার রকমের চা আছে কুঞ্জে। প্রণয় উপাখ্যান, মালাই চা, গরু দুধ ও পাউডার দুধের চা। মূলত প্রণয় উপাখ্যান কুঞ্জ স্পেশাল। কড়া লিকারের চা, যারা বাস্তবে চা-প্রেমি তাঁরাই মূলত এ রেসিপিটা পছন্দ করেন। শুরুতে পরিবারসহ কাছের মানুষজন বিষয়টি নেতিবাচকভাবে নিলেও এখন সুনজরেই দেখছেন।
কুঞ্জকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান? এই প্রশ্নে কুঞ্জ কর্ণধার মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মুচকি হাসলেন। দৃঢ় গলায় উত্তর দিলেন, আমরা কুঞ্জকে একটা সৃজনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চাই, এই যাত্রায় মানুষ যে অভাবনীয় সাড়া দেবে ভাবিনি। আমরা ইতিমধ্যে কুঞ্জের আরেকটি ব্রাঞ্চ উদ্ভাবন করেছি, চট্টগ্রাম হালিশহর বিডিআর প্রাঙ্গণে।
এভাবেই কুঞ্জের কোলাহল ছড়িয়ে দিতে চাই দিগ হতে দিগন্তরে।