প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
নতুন বছরকে করতে বরন দ্বারে এলো ডাক
পুরাতন সব ধুয়ে মুছে এলো রে বৈশাখ।
গ্রাম বাংলায় বর্ষ বরণের আমোদ বেশি খুব
মায়ের হাতের রান্না খেতে লাগে ভীষণ লোভ।
ভোর বেলাতে শুরু হয় চিড়া, মুড়ি, খই
সাথে থাকে দুধ, কলা, মিষ্টি আর দই।
সকাল বেলার ইলিশ পান্তার নেই কোন জুড়ি
আরও থাকে চালে ডালে শুকনা খিচুড়ি।
কাটা কুটি, রান্না বাটায় বউ-ঝিয়ের বাড়ে ক্লেশ
হরেক রকম ভর্তা খেতে লাগে দারুণ বেশ।
এঁচোড় কাটে রসুইঘরে রাঁধতে নিরামিষ
শাক সবজিতে ভরে হাঁড়ি থাকে না আমিষ।
লাল সাদা শাড়িতে সাজে পল্লী গায়ের নারী
সরু হাত ভরিয়ে তোলে কাঁচের রেশমি চুড়ি।
তরুণ সাজে পায়জামা আর পাঞ্জাবিতে সাদা
লুঙ্গি আর পাঞ্জাবিতে সাজেন বুড়ো দাদা।
শিশুরা নাচে নতুন জামায়, মনে বেজায় খুশি
মেলায় যাবে বলে তাদের মুখে ফুটে হাসি।
বিকাল বেলা মেলা বসে বটবৃক্ষের তলে
একতারা আর দোতারার সুরে মনের দুঃখ ভুলে।
সুর তুলেছে বাসরিয়া বাঁশের বাঁশির সুরে
ভাসছে তা এ গ্রাম থেকে ঐ গ্রামের ও দূরে।
পাকা কলার কাঁদি ঝুলে মেলার দোকানে
কদমা, বাতাসা, খোরমা, নাড়ু আছে এখানে।
ঘানি টানছে কলুর বলদ, ঝরছে সর্ষে তেল
তরমুজ, বাঙ্গি, কাঁচা আম আরও আছে বেল।
শিশুরা সব উঠছে মেতে মাটির খেলনা নিয়ে
কেউবা আবার খাচ্ছে দোল নাগর দোলায় গিয়ে।
দড়ি দিয়ে নাড়িয়ে পুতুল দেখায় পুতুল নাচ
কেউ আবার ধ্যান চিত্তে হেলে, দেখে বায়োস্কোপ।
বৈশাখি উৎসবে হিন্দু - মুসলিম নির্বিশেষে সমান
দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে চির কল্যাণ করে প্রমাণ।