প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
পাঠক হলো যে পড়ে, আর ফোরাম হলো ঐক্যবদ্ধতা। অর্থাৎ ঐক্যবদ্ধভাবে পড়া। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে জানাই হাজার সংখ্যার পাঠক ফোরাম প্রকাশ করায় অভিনন্দন।
পাঠক ফোরামের মাধ্যমে আমি মনে করি চাঁদপুরে অনেক কবি, লেখক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মাঝে আমি নিজেও একজন ক্ষুদ্র লেখক হতে পেরেছি। পাঠক ফোরাম পাঠকের দরজা। আমি এক সময় পাঠক ফোরামে ছড়া, কবিতা প্রেমের রোমন্থন গল্প পাঠিয়ে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষার প্রহর গুণতাম কবে আসবে শনিবার। সেই দিনটি আসলেই সকালে ছুটে যেতাম প্রয়াত নূরনবী পাটোয়ারীর সেই পেপার এজেন্সির স্টলে। প্রথমেই হাতে তুলে নিতাম দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি। কখনো যদি দেখতাম এ সংখ্যায় লেখা প্রকাশ হয়নি তখন মনে মনে ভাবতাম, হয়ত আমার লেখার মান নেই। পরের সংখ্যায় একটু ভালভাবে লেখার চেষ্টা করতাম। আবার যখন পাঠক ফোরামে দেখতাম আমার কাঁচা হাতের লেখা কবিতা, ছড়া ও গল্প ছাপা হয়েছে তখন আনন্দে বুক ভরে যেত। এমনিভাবে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরামে কম করে হলেও কয়েকশ’ অগুছাল কবিতা, ছড়া ও গল্প ছাপা হয়েছে। অনেকে আমাকে চিনতে পারেন একজন সংবাদকর্মী হিসেবে, কিন্তু পাঠক ফোরামে লেখার কারণে চাঁদপুরে যে কজন লেখক আছে তারা আমাকে চিনেছেন এ পাঠক ফোরামের মাধ্যমে। তবে আমি মনে করি, পাঠক ফোরামের মাধ্যমে চাঁদপুরে অনেক লেখকের সৃষ্টি। তাদের মাঝে থেকে ২/১ জন বর্তমানে বিরোধিতা করেন। আরে বলতে হয় যে, মোল্লার কারণে সিন্নি খাইলি, সেই মোল্লাকে চিনলি না।
পরিশেষে, কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইকে। তিনি আমাকে সেদিন আমার কাঁচা হাতের লেখা পাঠক ফোরামে প্রকাশ করার সুযোগ করে না দিতেন তাহলে আমরা লেখার আগ্রহ আজ হারিয়ে ফেলতাম। তাই আজ হাজারতম সংখ্যায় পাঠকদেরকে জানাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।