প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
রোমানিয়াতে ফুড ডেলিভারির কাজে সন্তুষ্ট বাংলাদেশিরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হাঙ্গেরির সীমান্তবর্তী রোমানিয়ান শহর তিমিসোয়ারা। শহরটিতে ফুড ডেলিভারি বা ক্রেতাদের পছন্দের খাবার তার পছন্দের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কাজ করেন অনেক বাংলাদেশি। এসব বাংলাদেশির কেউ কেউ লাখ টাকা খরচ করে এসেছেন সেখানে। আবার উচ্চশিক্ষার জন্যে আসা কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে নিজেদের যুক্ত করেছেন এই পেশায়।
তিমিসোয়ারায় জীবিকার সন্ধান আর উচ্চশিক্ষার জন্যে আসা এসব বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছে ইনফোমাইগ্রেন্টস।
বছরখানেক আগে কুমিল্লা থেকে এসেছেন মোঃ ইমরান খান। একটি এজেন্সির মাধ্যমে তিমিসোয়ারা পর্যন্ত আসতে এই তরুণকে গুণতে হয়েছে আট লাখেরও বেশি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে কিছু করার সুযোগ থাকলেও ইউরোপের স্বপ্নেই রোমানিয়ায় পাড়ি জমান ইমরান। তবে এতো অর্থ খরচ করে এসে ফুড ডেলিভারির কাজ করলেও আক্ষেপ নেই তার কণ্ঠে।
বরং সার্বিক পরিবেশ, পরিস্থিতি আর স্থানীয়দের আচরণে সন্তুষ্ট এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘মানুষ অনেক সুন্দর, মানুষ ভালোভাবে ব্যবহার করে, কথা বলে। ওদের আচরণ অনেক ভালো। তাই ভালো লাগে।'
ভিনদেশি একজন হিসেবে কখনও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। জবাবে ইমরান বলেন, ওরা সবাই ফ্রেন্ডলি, ফ্রেন্ডলিভাবে কথা বলে সবাই।
চার শতাধিক বাংলাদেশি তিমিসোয়ারা শহরে ফুড ডেলিভারি পেশায় নিয়োজিত বলে জানালেন ইমরান। তিনি নিজে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করেন। এতে তার আয় হয় এক হাজার তিনশ থেকে চার লিও (রোমানিয়ার মুদ্রা)। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ। তিমিসোয়ারায় জীবিকার সন্ধানে আর উচ্চশিক্ষার জন্যে এসেছেন তার মতো অনেক বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে চার শতাধিক বাংলাদেশি ফুড ডেলিভারির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।