রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রমজানে গাজায় পৌঁছালো বাংলাদেশের ত্রাণ

আফছার হোসাইন ॥
রমজানে গাজায় পৌঁছালো বাংলাদেশের ত্রাণ

পবিত্র রমজান মাসের তৃতীয় দিনে অসহায় গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে 'হেল্প গাজা' প্রচারাভিযানের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২ হাজার টন খাদ্য সহ ১শ' ট্রাকের একটি বহর মিশরের রা'ফা সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। এ সকল ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে : চাল, পাস্তা, মটরশুটি, চিনি, তেল, চা, খেজুর, পনির, শিশুদের জন্যে দুধ, জুস ছাড়াও শীত নিবারণের কম্বল, পরিচ্ছন্ন ও ব্যক্তিগত ব্যাবহারিক সামগ্রী।

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হোজাইফা খান জানান, আল-আজহার কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ঞযব ডড়ৎষফ ঙহব টসসধয ঋড়ঁহফধঃরড়হ চ্যারাটি ফান্ড- এর মাধ্যমে রমজানের শুরুতেই বাংলাদেশি টাকায় মোট ৩৫ লক্ষ টাকার ত্রাণ পাঠিয়েছি গাজা'র অসহায় মানুষের জন্যে। এই অর্থ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ঐঁসধহ ভরৎংঃ, অুযধৎ বিষভধৎব ংড়পরবঃু ইধহমষধফবংয ও ডযরঃব ঢ়রমড়হ নামের ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে।

তাছাড়াও বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেভারেজ কোম্পানি ৪৮ লক্ষ টাকার ত্রাণ পাঠানোর জন্যে উপায় বের করতে ডড়ৎষফ ঙহব টসসধয ঋড়ঁহফধঃরড়হ-এর সাথে যোগাযোগ করছে।

মিশরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি ফান্ড জানায়, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, তার মধ্যে রমজানের চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো— ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।

গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত প্রতিরোধ হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী হামাসের যোদ্ধারা। হামলাকালে ইসরাইলী বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। হামাসের যোদ্ধারা জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। কার্যত গাজায় ইসরাইলী বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে এ পর্যন্ত নিহত করেছে ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে। আহত করেছে আরও প্রায় ৭২ হাজারকে। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে এই তিন দেশের উদ্যোগে গাজায় রমজান মাস থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বহু আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি আর হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়