প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মিশরে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন
কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য গুরুত্ব ও তাৎপর্যের সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩’। অনুষ্ঠানে দেশটির বিভিন্ন শহরের পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রবাসী, ব্যবসায়ী, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বাংলাদেশি কমিউনিটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠন 'ইত্তেহাদ'-এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনীতি ও সামাজিক পরিমণ্ডলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রথমবারের মতো উদ্ যাপিত জাতীয় প্রবাসী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রবাসীর কল্যাণ মর্যাদা আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার'।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শিশির কুমার সরকারের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসীকল্যাণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, দূতালয় প্রধান আতাউল হক, তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার ও রেজাউল করিম।
ঢাকা থেকে পাঠানো প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবাসীদের কর্মসংস্থান ও তাদের কল্যাণবিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে প্রস্তুতকৃত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে মিশরে কর্মরত প্রবাসী অভিবাসী কর্মী, তাদের সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন কার্যক্রম ও কল্যাণে যুক্ত সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে। দেশের সার্বিক এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদেরও অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস সবসময় সচেষ্ট রয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ ভূমিকা রেখে চলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মিশরে কর্মরত প্রবাসীদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে দূতাবাসের শ্রম উইং কর্তৃক প্রদানকৃত সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে বাঙালি ঐতিহ্যে রাতের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।