প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ দূতাবাস, স্পেন
মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস শনিবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩) মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে। বিজয় দিবসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন । তারপর দূতাবাস মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সভায় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্পেন প্রবাসী সকল বাংলাদেশীকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে বাঙালি জাতির দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 'রূপকল্প ২০২১' সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ইতোমধ্যে 'রূপকল্প ২০৪১' ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলি নদীর নিচ দিয়ে টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। আলোচনা সভায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানশেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে দুপুরের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।