শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মালয়েশিয়ায় আবারো বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

এক সপ্তাহে ১৩ হাজার আক্রান্ত, আবারও মাস্ক পরার আহ্বান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া ॥
মালয়েশিয়ায় আবারো বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

মালয়েশিয়ায় পুনরায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত এক সপ্তাহে ১৩ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরোধের জন্যে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো পুনরায় শুরু করার জন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাগিদ দিয়েছে। বিশেষ করে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে জমায়েতের সময় মুখোশ পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতুক ডাঃ মুহাম্মদ রাদজি আবু হাসান জানান, ৩ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯তম মহামারী সপ্তাহ (এমই৪৯) বেশ উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে, যেখানে এমই৪৮-এ ৬,৭৯৬টি থেকে বেড়ে এমই ৪৯-এ ১২,৭৫৭টি সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়েছে।

ডাঃ রাদজি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ বিশেষ করে কোনো অনুষ্ঠান, ভ্রমণ এবং জমায়েতের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশঙ্কা করেছে যে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া আসন্ন স্কুল ছুটি, ক্রিসমাস এবং ইংরেজি নববর্ষের সময় করোনা ভাইরাসের নতুন করে বিস্তারের সম্ভাবনা আছে। ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসাধারণের কাছে আবেদন করছে, যাতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বাইরে বের হবার সময় এবং কোনো জনসমাগম স্থলে গমনের সময় মাস্ক পরিধান করে।

নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে শুধু নিজেকেই নয়, পরিবার, প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও রক্ষা করার জন্যে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক দাতুক ডাঃ মুহাম্মদ রাদজি আবু হাসান জানিয়েছেন।

এমই ৪৮-এর তুলনায় এমই৪৯-এর সংক্রমণ গুরুতর এবং হাসপতালে ১.৪ শতাংশ রোগী ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার উপর উদ্বেগজনক চাপ সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ)-এ শয্যার ব্যবহার ১.৪ শতাংশ বেড়েছে এবং কোভিড-১৯ রোগীদের ভেন্টিলেটর ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ড. রাদজী উদীয়মান কোভিড ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ২৬টি নতুন কেস শনাক্তকরণ নিশ্চিত করেছেন, যার মধ্যে ২১টি উদ্বেগের (VOC) হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার প্রধান ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্টগুলো হলো XBB .1.16, XBB .1.5 এবং EG .5.5। নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের মালয়েশিয়া সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশাবলি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়