বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে কৃষি ব্যাংকের ঋণ পাচ্ছে না আখ চাষিরা

‘কৃষি কার্ড দিয়াতো আর কৃষক হয় না, আমাদের জমি নেই বিধায় কৃষি ব্যাংক টাকা দেয় না’

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক ॥
ফরিদগঞ্জে কৃষি ব্যাংকের ঋণ পাচ্ছে না আখ চাষিরা

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও ও লোহাগড় গ্রামের আখ চাষিরা কৃষি ব্যাংকের ঋণ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ গ্রামে চাষকৃত ২০৮ জাতের আখ চিবিয়ে খেতে সুস্বাদু হওয়ায় চাঁদপুর জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

বালিথুবা ইউনিয়নের দুটি গ্রামে ১৭ শ'হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে বলে কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

কৃষকরা বলেছেন, তাদের প্রতিটি আখ ক্ষেত হৃষ্টপুষ্ট দেখা যাচ্ছে। এবার দামও বেশি পাবেন বলে আশা করেন চাষিরা। তাদের আখ চাষের পুরো মূলধনই ঋণের টাকার। কৃষি ব্যাংক থেকে অনেকে আবেদন করেও ঋণ পাননি। আর যারা ঋণ পেয়েছেন, তাদের এ টাকায় কৃষি কাজের কিছুই হয়নি। কৃষকের চাহিদামত স্থানীয় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেছেন তারা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সুদমুক্ত কৃষিঋণ পেলে তারা আরো বেশি পরিমাণ জমিতে আখ চাষ করতে পারতেন। ফলে এ অঞ্চলের আখ চাষিরা লাভবান হতেন এবং বিভিন্ন জেলায় চালান দিতে সক্ষম হতেন।

মদনেরগাঁওয়ের কৃষক নেছার আহমদ সুমন ( ৩৫) জানান, আমি টানা ৮/৯ বছর আখ চাষ করছি। এ বছর ১০৫ শতাংশ জমি ৪২ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে আখ চাষ করেছি। সাথে সাথী ফসল হিসেবে আলু, ফুলকফি, লালশাক চাষ করি। আমার নিজের সার ব্যবসা আছে বিধায় মুনাফাটা বেশি পাবো। তিনি জানান, এ গ্রামের আখ সুস্বাদু। আখ খেতেও খুব মিষ্টি। আখ বিক্রি করতে কোনো ধরনের বেগ পেতে হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের ক্ষেত থেকে গড় হিসাব করে পিচ প্রতি ১৫/২০ টাকা করে আখ কিনে নেয়। বিক্রিতে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হয় না।

লোহাগড় গ্রামের কৃষকরা জানান, এ এলাকার সবারই কৃষি কার্ড আছে। কৃষি কার্ড দিয়াতো আর কৃষক হয় না। আমরা যারা প্রকৃত কৃষক তাদের অনেকেরই নিজস্ব জমি নেই। আমরা অন্যের জমিতে সোনা ফলাই। আমাদের জমি নেই বিধায় কৃষি ব্যাংক টাকা দেয় না। টাকা দেয় যাদের জমি আছে। অথচ তারা কৃষির কিছুই বোঝে না। বর্তমানে ৫০ শতাংশের একটি জমিতে আখ চাষ করতে খরচ লাগে ৩০/৩৫ হাজার টাকা। যাদের জমি আছে ১৫ শতাংশ, তাদের কৃষি ব্যাংক ঋণ দেয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। তাও আবার হাঁটতে হাঁটতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। স্যারদের এই টাকা থেকে দেওয়া লাগে এক/দেড় হাজার টাকা। এই মিলে কৃষিঋণ নিলে কি জমিতে ফসল হবে? ৫০ শতাংশ জমির আখের চারা কিনতে লাগে ৪ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে এই চারা আনতে খরচ লাগে ২ হাজার টাকা। জমি তৈরি করতে এবং আখের চারা রোপণ করতে লাগে ১৫ হাজার টাকা। আর আমাদের কৃষিঋণ দেয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এটা ঋণ নয়, এটা একটা তমাশা। আমরা চাই যারা প্রকৃত কৃষক, তাদের জন্যে সরকার সহজ কিস্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করুক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়