বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সর্বপ্রথম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো এবং বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক পরিকল্পনা-কর্মকৌশল গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এ বাস্তবতার সামনে সরকারের নতুন লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার। ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী। অর্থাৎ সব কাজই হবে স্মার্ট।

ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি প্রেরণাদায়ী অঙ্গীকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেন। এ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে। যে গতিতে বিশ্বে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে তা সত্যিই অভাবনীয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ-এ রূপান্তরে কাজ শুরু হয়ে গেছে। চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্তম্ভ হবে চারটি হলো : ১। স্মার্ট সিটিজেন, ২। স্মার্ট ইকোনমি, ৩। স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং ৪। স্মার্ট সোসাইটি।

স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু সম্পন্ন হবে। সেখানে নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালনা করবে। ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী। স্মার্ট সিটি এমন নগরায়ণ হবে যেখানে ন্যূনতম পরিবেশগত প্রভাব নিশ্চিত করে কোনো একটি শহরের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য উন্নততর জনবান্ধব সেবা প্রদানের আধুনিক প্রযুক্তিগুলোকে কাজে লাগানো হবে। স্মার্ট সিটিতে অনেকগুলো উপাদান থাকলেও বাংলাদেশের জন্যে প্রস্তাবিত স্মার্ট সিটি কাঠমোতে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, জননিরাপত্তা, ইউটিলিটি এবং নগর প্রশাসনসহ মোট ৫টি উপাদান এবং পরিষেবাকে মোটাদাগে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্মার্ট ভিলেজ হবে এমন এক গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উন্মুক্ত উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় নাগরিকরা বিশ্ববাজারের সাথে যোগাযোগের সুযোগ পাবে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করা, খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বিকাশে স্মার্ট ভিলেজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে মাইন্ডসেট পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, আমাদের কার কোন জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে তার একটি সুনির্দিষ্ট ক্যানভাস তৈরি করতে হবে এবং প্রত্যেকের কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। আমরা বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ মানুষ তৈরি করতে চাই। যাদেরকে মানবিক ও সৃজনশীল হতে হবে।

ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই সরকারের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় দুই লাখ বিদ্যালয়, ভূমি অফিস, হেলথ কমপ্লেক্সকে ফাইবার অপটিকের আওতায় আনা হবে। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চালু হবে ওয়ান স্টুডেন্ট ও ওয়ান ল্যাপটপ। তরুণ প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশে কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। ইনকিউবেটরে বিটিসিএল এর মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইনকিউবেশন ভবনে একটি স্টার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্টর্মিং জোন, একটি এক্সিবিশন সেন্টার, একটি ই-লাইব্রেরি জোন, একটি ডেটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব এবং ভিডিও কনফারেন্সি রুম থাকবে। ৪ দশমিক ৭ একর জায়গার ওপর নির্মিত এ স্থাপনা ডিজিটাল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় অল্টারনেটিভ স্কুল ফর স্টার্টআপ এডুকেটরস অব টুমোরো (অ্যাসেট) করা হবে। বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় বাংলাদেশ নলেজ ডেভেলপমেন্ট পার্ক তৈরি করা হবে। অনআইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চালু হবে ওয়ান স্টুডেন্ট ও ওয়ান ল্যপটপ। ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ডেটা নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল সার্ভিস আইন, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফন্ট্রিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন, ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিওরশিপ অ্যাকাডেমি (আইডিয়া) আইন, এজেন্সি ফর নলেজ অন-অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস ইরাইজন (আকাশ) আইন, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি আইন ও জাতীয় স্টার্টআপ পলিসি প্রণয়ন। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ।

ডিটিটাল বাংলাদেশ রূপকার ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা তার পরবর্তী সময়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করতে ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির প্রয়োজন, সরকার তার অধিকাংশই সুসম্পন্ন করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। স্মাট বাংলাদেশ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী রূপকল্প, এবং সরকার এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সফল হলে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত জাতিতে রূপান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছুই নির্ভর করবে প্রযুক্তির ওপর। প্রযুক্তি ব্যবহারে নাগরিকরা দক্ষ হবে। সমগ্র অর্থনীতি প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করার ব্যাপক প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বিভিন্ন উদ্যোগও রয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পে অবদান রাখছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থাপন করছে এবং স্থানীয় প্রতিভা বিকাশে বিনিয়োগ করছে। এটি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। ভবিষ্যতে যাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকবে, তারাই ভালো কাজ পাবে। যাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকবে না, তারা কাজ হারাবে। তবে সবাই কাজের অযোগ্য হয়ে যাবে তা মোটেই নয়। অনেক বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানের চেয়ে ৫-১০ গুণও বাড়তে পারে। ‘ভবিষ্যতের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সবাইকে সামিল হতে হবে। আমাদের জনসংখ্যার বিরাট অংশ তরুণ জনশক্তি। তাদের দক্ষ ও যোগ্য করতে পারলেই দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্ম পাবে নতুন এক বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্ব প্রযুক্তি ব্যবহারে আজ যে পর্যায়ে এসেছে তার কাজটা শুরু করেছিল আজ থেকে তিনদশক আগে। তার পরও এখন দেশ যে শতভাগ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে এমন দাবি করার সময় এখনো আসেনি। সেই বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এখন প্রয়োজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই উদ্যোগকে সফলভাবে এগিয়ে নেয়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা নি¤েœাক্ত স্মার্ট সেবাসমূহ ইতোমধ্যে চালু করেছে যার ফলে সেবা গ্রহিতাগণ কম সময়ে ও খরচে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন। আরও কিছু সেবার ডিজিটাইজেশনের কার্যক্রম চলমান আছে। অনলাইনে ছাত্র/ছাত্রী নিবন্ধন, অনলাইনে ফরম পূরণ, অনলাইনে শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ, অনলাইনে পরীক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে স্বাক্ষরপত্র, রোল বিবরণী তৈরি ও প্রেরণ, অনলাইনে ফলাফল প্রদান, অনলাইনে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন, অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি, অনলাইনে পরীক্ষকদের সম্মানী প্রদান, অনলাইন দ্বিনকল/ফ্রেশের আবেদন, হিসাব শাখা অটোমেশন, অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের কমিটির অনুমোদন, অনলাইনে পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রদান, অনলাইনে স্বীকৃতি নবায়ন, অনলাইনে টিসি প্রদান, অনলাইনে নাম ও বয়স সংশোধন, অনলাইন ট্যাক্স সনদ প্রদান, অনলাইন রেজিঃ কার্ড সংশোধন।

প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম : বিদ্যালয় পরিদর্শক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়