প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
মোঃ আবু সায়েম। তিনি চাঁদপুর শহরের আলিমপাড়াস্থ লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত। সম্প্রতি তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের শিক্ষাঙ্গন বিভাগের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
মোঃ আবু সায়েম : মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কীভাবে এলেন?
মোঃ আবু সায়েম : আমি মূলত এম.এ. পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট বের হওয়ার আগে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন থেকে ডিপ্লোমা-ইন-হোটেল ম্যানেজমেন্ট করেছিলাম। আমাদের সময় পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হতো এক/দেড় বছর পর। তো একবার ফরিদগঞ্জ কেরোয়া গার্লস্ স্কুলে চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখে ইন্টারভিউ দিয়ে প্রথম হই। তারপর যোগদান করে থেকে গেলাম সেখানে। এরপর নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিষ্ণুদী মাদ্রাসায় যোগ দিলাম। সেখানে থেকেই আবার ফরিদগঞ্জে একটি স্কুল এন্ড কলেজে যোগ দিই। তারপর লেডী দেহলভী স্কুলে আসলাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথম দিন কেমন কেটেছে?
মোঃ আবু সায়েম : শিক্ষক হিসেবে প্রথম দিন খুব ভালো লেগেছে। নিজেকে বক্তা আর সবাইকে শ্রোতা ভেবে নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
মোঃ আবু সায়েম : আমি ১৯৯১ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হই। ছাত্রলীগ থেকে আমি ১৯৯২ সালে ক্লাস কমিটির প্রেসিডেন্ট হই। তারপর ইন্টার পাস করে ১৯৯৪ সালে জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হই। এর এক বছর পর ব্যক্তিগত ও শারীরিক কারণে চাঁদপুরে এসে পাস কোর্সে ভর্তি হই। ১৯৯৬ সালে বি.এ. পাস করি। ১৯৯৮ সালে এম.এ. পাস করি। সাথে সাথে শহর ছাত্রলীগের সদস্য হই। এছাড়াও ললিতকলা, কচি-কাঁচার মেলা, বনানী খেলাঘর ইত্যাদি সংগঠনের সাথে যুক্ত হই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান সময়ের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে কী পার্থক্য লক্ষ্য করেন?
মোঃ আবু সায়েম : আমাদের সময়ে শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি-নৈতিকতা, আদর-শাসন সবটাই ছিলো। এখন নীতি-নৈতিকতা যা-ই আছে, শাসন নেই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলাধুলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
মোঃ আবু সায়েম : শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলাধুলা শতভাগ গুরুত্বপূর্ণ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বিদ্যানিকেতনটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
মোঃ আবু সায়েম : লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি খুবই চমৎকার। এটি মেয়েদের স্কুল। মেয়েরা শিক্ষকদের কথা শুনে। সহকর্মীরা সবাই কো-অপারেটিভ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষার্থী কারা? কেনো প্রিয়?
মোঃ আবু সায়েম : যারা সহ-পাঠক্রমিকে ভালো, পড়ালেখায় মোটামুটি ভালো হলেও তারাই আমার কাছে প্রিয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা জীবনের একটি আনন্দের ঘটনা বলুন।
মোঃ আবু সায়েম : একবার সীতাকুণ্ডে শিক্ষাসফরে গিয়েছিলাম। তো সেখানে কয়েকটি ছেলে আমাদের কয়েকটি মেয়ের সাথে ইভটিজিং করতে লাগলো, তখন আমি বললাম, তোমাদের মা-বোন নেই? তখন তারা ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চাইলো, আমি ক্ষমা করে দিলাম। শিক্ষক বলেই, বখাটে ছেলেগুলো ভুল বুঝে ক্ষমা চাইলো।