সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২২, ০০:০০

প্রিয় বিদ্যাপীঠ প্রিয় কর্মস্থল
অনলাইন ডেস্ক

২০০৪, সারাদেশে বন্যা। চারদিকে অথই পানি। বিলের মাঝে বাড়িগুলোকে দ্বীপের মতো মনে হয়। চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাঁটু নয়, কোমর পানি। বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি শুরু করি। প্রস্তুতি বলতে টঈঈ গাইডটি আপাদমস্তক ১/২ বার রিভাইজ দেয়া। বিধি বাম, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হলো না। চবিতে ভর্তি পরীক্ষার সময় একটা ফোন নম্বর নিয়ে আসি। ওই নম্বরে কল দিয়ে জানতে পারলাম চান্স হয়নি। অপেক্ষমান তালিকায় নাম আছে, তবে শেষের দিকে। ভর্তির সুযোগ হবে না- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়ারা এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিলো। ছয় মাস পর জানতে পারলাম আমার পরের অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি হয়েছে। মেঝো ভাইয়ের বকাঝকা শুনতে হবে, তাই কাউকে কিছু বললাম না।

অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরম উঠালাম। পরীক্ষা ভালো হলো। আবারো বিধিবাম। ভালো সাবজেক্ট পেলাম না। এদিকে মেঝো ভাইয়ের ব্যাংকে চাকুরি হয়। প্রথম পোস্টিং চট্টগ্রাম। ঢাকা থাকতে অসুবিধা হবে চিন্তা করে চলে আসি চাঁদপুর সরকারি কলেজে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মায়াজালে ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবদ্ধ হই। শুরু হয় নতুন পথচলা। নতুন পথচলা নানা হতাশা এবং নিরুৎসাহে বাধ সাধে। প্রিয় শিক্ষক জনাব মোঃ আসাদুল হাসনাত, ড. সুশীল কুমার নাহা, জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন খান, জনাব মোঃ মাহফুজুর রহমান খান স্যারের ভালোবাসায় সেই বাধা অতিক্রম করি। মায়াজালে জড়ানোর কারণে প্রিয় বিদ্যাপীঠকে প্রিয় কর্মস্থলে পরিণত করি।

মোঃ জাকির হোসেন খান : সাবেক শিক্ষার্থী, অনার্স শিক্ষাবর্ষ ২০০৪-২০০৫; প্রদর্শক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়