সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২২, ০০:০০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : প্রথম দিনের আখ্যান

সরকার আবদুল মান্নান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : প্রথম দিনের আখ্যান
অনলাইন ডেস্ক

১৯৮২ সালে সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছিলাম। সেই পাসটাকে পরীক্ষায় পাস না বলে জীবনযুদ্ধের ভয়াবহ একটি পর্ব অতিক্রম করা বলা যেতে পারে। কপর্দকশূন্য একটি বালক গ্রাম থেকে আত্মীয়-পরিজনহীন নারায়ণগঞ্জ শহরে এসে যে দুটি বছর অতিক্রম করেছে ওই দুটি বছরের পর তার আর পড়াশোনা করার সাধ থাকার কথা নয়। কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে শুধু যে রক্তক্ষরণ থাকে, শুধু যে ধ্বংস আর বিপর্যয় থাকে তা নয়, ভেতরগত এক উন্মাদনাও থাকে। ওই উন্মাদনা জয়ের, সৃষ্টির। নারায়ণগঞ্জে আমার প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে, চুরমার করে, ধ্বংস করে এবং তার ভেতর থেকে তিলে তিলে নিজেকে তৈরি করে। থাকা-খাওয়ার জন্য পরের বাড়িতে থেকেছি। তা-ও এক বাড়িতে নয়- কয়েক বাড়িতে। সেই পরেরা না-বুঝত নিজের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা, না-বুঝত আমার শিক্ষা। কারণ তারা কিংবা তাদের কোনো পূর্বপুরুষেরা কোনো দিন স্কুলের গণ্ডি মাড়ায়নি। সুতরাং এইচএসসি পাস করলাম বটে তারপর কী করবো তার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আর পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন কেউ তখন ছিল না যাকে জিজ্ঞাসা করব কী করা যায় কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী কেউ এসে বাতলে দেবে পথ। তোলারাম কলেজের কোনো শিক্ষকের সঙ্গেও আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়নি যার কাছ থেকে জেনে নেব ভবিষ্যৎ করণীয়।

চিরকাল অতি স্বল্প শিক্ষিত বাবাই ছিলেন আমার শিক্ষক, আমার প্রেরণার উৎস। সুতরাং বাড়িতে গিয়ে বাবার সঙ্গে কথা হলো। তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, কয়েক দিন থাক। একটা কিছু হবে।

আমার দরিদ্র বাবাকে দশ গ্রামের মানুষ মান্য করতেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, বিচারবোধ ও সাহসিকতা তাঁকে দশ গ্রামে অপরিহার্য করে তুলেছিল। গ্রামের মানুষেরা যে কোনো বিপদে-আপদে, উৎসবে-অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে আসতেন, পরামর্শ নিতেন। ফলে জন্মের পর থেকে আমরা দেখেছি, সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমাদের ঘরে, বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন সময়ে লোকজন লেগেই আছে। আর কেরোসিনের চুলার উপর কেতলিতে পানি ফুটছে। বাবা পান খেতেন না, তামাক-বিড়ি-সিগারেট খেতেন না। সারা দিন চা খেতেন। দিনে পনের থেকে বিশ কাপ।

আমি তার ছোট ছেলে। আমার জন্য তিনি নিশ্চয়ই একটি পথ বের করবেন। তা তিনি করবেনই। পরামর্শ আর পথ নির্ধারণ তিনি করে দিতে পারবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আমি জানি, টাকা দিতে পারবেন না। যেটুকু জমিজিরাত তাঁর ছিল, বড়ো ছেলে রুহুল আমিনকে পড়াতে গিয়ে বেচে দিয়েছেন। এখন বিক্রি করার মতো তাঁর কোনো জমি নেই। সংসার চলে বুদ্ধির জোরে। আর আমার প্রতি এই বিশ্বাস তাঁর ছিল যে, একবার যদি কোথাও ভর্তি হতে পারি তা হলে বাকিটা পথ চালিয়ে নেয়ার সামর্থ্য আমার আছে।

অনেক সময় তিনি নিজের জ্ঞান-গরিমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারতেন না। তখন চলে আসতেন ঢাকায়। আমরা ঠিক জানতাম না, ঢাকায় কার সঙ্গে তিনি কথা বলেন, কার পরামর্শ নেন। অনেক পরে জেনেছি, এলাকায় শিক্ষিত লোকের অভাব না থাকলেও তিনি ঢাকায় গিয়ে কাশেম খানের সঙ্গে কথা বলতেন, তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন। সোনার চামিচ মুখে দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কাশেম খান। এমন সুদর্শন মানুষ আমেদ দেশে খুব একটা দেখা যায় না। ৪৭-এর পর তাঁর পিতা কলকাতার ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে পূর্ব বাংলায় চলে আসলে তারা দরিদ্র হয়ে পড়েন। কিন্তু ওই পরিবারটির আভিজাত্য কোনো দিন কমেনি। তখন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা যুবক কাশেম খান বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখায় কাজ করার সূত্রে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তাতেই তিনি বুঝেছিলেন যে, ওই সময়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারই সময়। তখন দেশে চারটি মাত্র সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর। ঢাকা থেকে দুদিন পরে ফিরে বাবা আমাকে বললেন, তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।

১৯৮২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ২১% পাস করা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যে খুব কঠিন কিছু হবে না, সে আমি জানতাম। কিন্তু জানাটা যে সঠিক ছিল না এবং ভর্তি হওয়া যে খুব কঠিন ছিল সে আমি বুঝেছিলাম পরে। আর সমস্যা ছিল টাকার। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে-একবার নয়, কয়েকবার। যে যে বিষয়ে পরীক্ষা দিতে চাই সেসব বিষয়ে দরখাস্ত করার জন্য যেতে হবে। প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হতো। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগে পরীক্ষা দেয়ার জন্য যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কীভাবে যেতে হবে, কোথায় থাকতে হবে, কোথায় খেতে হবে-কিছুরই কোনো নিশ্চয়তা ছিল না, ঠিক-ঠিকানা ছিল না। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে পড়াশোনা করেছি তাই সম্বল। ওই সম্বলও অতি সামান্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল না, কোনো কোচিং সেন্টারও তখন ছিল না। ভর্তি পরীক্ষায় কী ধরনে প্রশ্ন আসে তার সঙ্গে কোনো পরিচই আমার ছিল না। সব মিলিয়ে অবস্থা মোটেই সুবিধার নয়।

তখনো ঢাকা আমার কাছে অপরিচিত একটি শহর। কলেজে পড়ার সময় আমি কখনো ঢাকয় আসিনি। নাইনে পড়ার সময় বাবার সঙ্গে একবার ঢাকা এসেছিলাম। সেই স্মৃতির কিছুমাত্র তখন সঞ্চয়ে ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়, কলেজের মতো একটি-দুটি বিল্ডিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কি না-এসব বিষয়ে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কলেজে দু-একজন পরিচিত সহপাঠী ছিল। পাস করার পর তাদের সঙ্গে আমার আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। সুতরাং সব কিছু করতে হবে একা।

৮২-র কোনো এক সকালে শীতলক্ষ্মা নদী পার হয়ে পায়ে হেঁটে চাষাড়ার মোড়ে এসে বাসে উঠলাম। এখন যেমন চাষাড়ার মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত বাইপাস হয়েছে এবং চিটাগাং রোড দিয়ে ঢাকার দিকে কিছু দূর এগোলেই ফ্লাইওভারে অতি অল্প সময়ে ঢাকা পৌঁছা যায়, তখন এমন ব্যবস্থা ছিল না। লক্করঝক্কর মার্কা লোকাল বাসগুলো ফতুল্লা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পাগলা, শ্যামপুর, মেম্বার বাড়ি, পোস্তগোলা, জুরাইন হয়ে গুলিস্তান আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত। এর মাঝে কত যে মোড়-মহল্লা, হাট-বাজার, পাড়া-পল্লিতে থেমে থেমে ঢাকা অবধি পৌঁছাত তার হিসাব দেয়া সম্ভব নয়। চলার জন্য গাড়ি নাকি না-চলার জন্য-তা বোঝা কষ্টকর ছিল। হেলপার/ড্রাইভারা ভুলেই যেত যে, ঢাকা পৌঁছোতে হবে। কোনো পথিকের গাড়িতে উঠার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে তা বুঝতে চেষ্টা করত হেলপার। কিংবা ওই পথিকের ঢাকা যাওয়ার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, ইচ্ছাও নেই। হেলপারা চেষ্টা করত তাকেও বলে-কয়ে গাড়িতে উঠানো যায় কি না, ঢাকায় নিয়ে আসা চলে কি না। কাজ নেই তাতে কি। এভাবে চলতে চলতে কিংবা না-চলতে না-চলতে গাড়িটি এক সময় সত্যি যখন ঢাকায় এসে পৌঁছাত তখন যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামার শক্তিও লোপ পেত। কিন্তু শক্তি লোপ পেলে তো চলবে না। সুতরাং নতুন শক্তি সঞ্চয় করে যাত্রীগণ এমন হুড়মুড় করে, ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি করে গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করতেন যেন গাড়িতে আগুন লেগে গেছে। সবার আগে নামতে না পারলে পুড়ে মরতে হবে। কিংবা ঢাকা শহর মুহূর্তের মধ্যে কোথায় চলে যাবে, এখনই নামতে হবে, নইলে সব শেষ। আমিও ওইভাবে গাড়ি থেকে নেমে বোকার মতো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। সেই সময় গুলিস্তানের হকাররা, টাউটরা, বাটপাররা এমন গেঁও বোকা একজনকে পেলে কী যে করে ছাড়ত তা আর এখানে না বলি। কিন্তু আমি যাব কোথায়? ভদ্রগোচের একজন পথিককে জিজ্ঞাসা করলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন দিকে? তিনি বাংলা বুঝলেন না। বললেন, ইনবারসিটি? বললাম, জি। তিনি পথ বাতলে দিলেন। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি হাঁটতে শুরু করলাম।

পায়ে হেঁটে গুলিস্তান অতিক্রম করে ফজলুল হক হলের ক্যাম্পাসে গিয়ে উপস্থিত হলাম। গুলিস্তান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে এত কাছে, আমি ভাবতেই পারিনি। এখানেই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমার বৃত্তান্ত শুনে সে বলল, চিন্তা কইর না, হবে অনে, চা খাও। আমি কলা-বিস্কুট খেলাম, চা খেলাম। এই বড় ভাইটি তখন রসান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। নাম সোহেল।

সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে আমি বিজ্ঞান অনুষদ থেকে কয়েকটি ফর্ম তুললাম এবং তার সহযোগিতায় ফিলআপ করে জমা দিয়ে সোজা নারায়ণগঞ্জ চলে আসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি বোটানিতে টিকে ছিলাম। কিন্তু এই সাবজেক্টটি কখনোই আমার প্রিয় ছিল না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেষ্টা করলাম।

ঢাকার আরেক নাম জাহাঙ্গীর নগর। সুতরাং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যে ঢাকার ভেতরেই কোথাও হবে-এ বিষয়ে আমার কোনো দ্বিধা ছিল না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শেরে বাংলা নগরের কাছাকাছি কোথাও হবে বলেই নিজে থেকে আমি ধারণা করে নিয়েছিলাম। সব বিষয়েই মানুষের কিছু পূর্ব ধারণা তৈরি হয়। তার মনের আয়নায় একটি চিত্র তৈরি করে নেয় সে। ওই ধারণা যে ধারণাই সে কথাও ভুলে যায় সে। আমার অবস্থা হয়েছিল তাই। সুতরাং নারায়ণগঞ্জ থেকে যথারীতি গুলিস্তান গিয়ে বাসে চড়লাম। কন্ট্রাকটরকে বললাম, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। শুনে কন্ট্রাকটর তো রেগে ফায়ার। আমনে এই গাড়িতে উঠছেন কিলিগা। নামেন নামেন। গাবতলি গিয়া সাভারের গাড়িত উডেন। এর মধ্যে বোদাই, কইতিগা আইছে এবং আরও গালাগাল যা করল তা আর কহতব্য নয়। কিন্তু ওইসব গালাগাল আমার কানে গেল না। আমি শুধু শুনলাম গাবতলি গিয়ে সাভারের গাড়িতে উঠতে হবে। সুতরাং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শহরের মধ্যে অবস্থিত-আমার ভাবনার এই আর্কেটাইপ ভেঙে গেল। এখন আমাকে ভালো করে জানতে হবে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় এবং কীভাবে যেতে হবে।

এই বোধ আমার ছিল যে, আদার বেপারি যেমন জাহাজের খবর রাখার প্রয়োজন বোধ করে না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবরও সবাই রাখে না। তখনো যে দেশের সত্তর ভাগ পরিবারে প্রথম প্রজন্ম স্কুলে যায়নি, সে দেশের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ রাখবেন তা ভাবা ঠিক নয়। সুতরাং পথচারীদের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম শিক্ষিতের অবয়ব। জিজ্ঞাসা করলাম একজনকে। একদম অব্যর্থ। প্রবীণ বয়সের ওই ব্যক্তি আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, সাভার পর্যন্ত যে গাড়ি যাবে তাতে উঠবে না। সাভারের পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তুমি উঠবে নয়ার হাঁটের গাড়িতে অথবা আরিচার গাড়িতে। জাহাঙ্গীরনগরের সীমানায় দুই-তিনটি স্টপেজ আছে। যে-কোনো একটিতে নেমে পড়বে। তবে প্রান্তিক মাঝামাঝি গেট। ওখানে নামলেই তোমার ভালো হবে। বুঝতে পারলাম, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভালো জানেন। তাঁর পুত্র-কন্যা বা আত্মীয়-স্বজন নিশ্চয়ই জাহাঙ্গীরনগরে আছে।

(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়