প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সরকারি কলেজ দেশের পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যানিকেতনের অন্যতম বিভাগ ‘উদ্ভিদবিজ্ঞান’। যার বর্তমান বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইকবাল হোসেন খান স্যার। অন্য শিক্ষকরা হলেন সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান, প্রভাষক মোঃ মহসিন আরাফাত, মোঃ শেখ সাদী, প্রদর্শক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন খান।
ক্যাটালিয়া অর্কিড, হয়া, ডেন্ড্রোবিয়াম এফাইলাম, মোকারা (লাল), বাস্কেট বাইন, ঘটি বাঁশ, গ্রীন লিফ, ডেন ফরমোসাম, ঝুমকো লতা, ফার্স্ট লাভ, ড্যান্সিং লেডি অর্কিড, কালো মেঘ, লাকি ব্যাম্বো, বাসক, তুলসী, শ্বেতদ্রোণসহ অনেক জানা-অজানা উদ্ভিদরাজির মিলনমেলা হলো আমাদের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এ বিভাগের আনাচণ্ডকানাচ। আর তারই মাঝে আমরা শিক্ষা লাভ করি। পড়াশোনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেকটা এগিয়ে। এ বিভাগ থেকে কোনো না কোনো শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন, পুলিশে যোগ দিচ্ছেন। সফল হচ্ছেন যার যার কর্মক্ষেত্রে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণার উৎস।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমদিন আমার ভালোই কেটেছে। প্রথম দিনের অনুভূতি আসলেই অন্যরকম। সত্যি কথা বলতে, আমার খুব প্রিয় বিষয় উদ্ভিদবিজ্ঞান। যখন ভর্তি প্রক্রিয়া চলছিলো তখন আমি প্রথম পছন্দের বিষয় দিয়েছিলাম উদ্ভিদবিজ্ঞান। অনেকে শুনে বলেছিলো, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয় পেয়েছে, এ বিষয়ে পড়ে কি-ই-বা করতে পারবে। কিন্তু প্রথমদিন যখন বিভাগে আসি, স্যারদের সাথে পরিচিত হই। স্যারেরা যেভাবে বুঝিয়েছিলেন, তাতে অনেকটা সাহস ও স্বস্তি পেলাম। জীবনে একটা ভালো পর্যায়ে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রেরণা পেতে কার না ভালো লাগে। শুধু দরকার অনুপ্রেরণাময় মানুষের। এবং আমি তা পেয়েছি আমার উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের কাছ থেকে। আসলেই মনে রাখার মতো একটি দিন ছিলো।
উদ্ভিদবিজ্ঞানে আমার প্রিয় শিক্ষক হচ্ছেন মোহাম্মদ কামরুল হাছান স্যার। স্যার খুবই ভালো মানুষ। তিনি নিজে যেমন একজন আদর্শ মানুষ, তেমনি শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হতে উৎসাহ দেন। পিতামাতার পরই শিক্ষাগুরুর অবস্থান। আমাদের শিক্ষাগুরু কামরুল স্যার এমন একজন মানুষ বলতে পারেন যে, তিনি যেন জাদু জানেন। এ বিভাগে এসে অনেক শিক্ষার্থীর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভালো থেকে আরো ভালো হচ্ছে তারা। এটা সম্ভব হচ্ছে স্যারের প্রচেষ্টায়। শুধু বই-খাতাণ্ডকলমের মধ্যে স্যার আমাদের শিক্ষা দেন না, বরং এ পুরো পৃথিবীতে কিভাবে নিজের কিছু অবদান রাখা যাবে, একজন ভালো মানুষ হওয়া যাবে তারও শিক্ষা পেয়ে থাকি স্যারের কাছে। তাই তিনি আমার কাছে অনেক প্রিয় শিক্ষক।
আমার সহপাঠীরা অনেক বন্ধুসুলভ ও বিনয়ী। তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করে। কোনো একজন একটি ক্লাসের তথ্যাদি না পেলে অন্যজন সেটা তার জন্যে রেখে দেয়। টিমওয়ার্ক খুবই সুন্দর আমাদের।
কলেজ জীবনের অনেক স্মরণীয় ঘটনাই রয়েছে। তার মধ্যে আমার অনেক মনে থাকে যে ঘটনাটি তা হলো কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাণ্ড২০১৯-এ আমি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি স্যারকে বিএনসিসির ক্যাডেট সার্জেন্ট হিসেবে গার্ড-অব-অনার দিই।
আফসানা আক্তার তন্নি : শিক্ষার্থী,
অনার্স শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-২০১৮।