প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ০০:০০
শিক্ষার মূল কথা হলো স্থান-কাল-পাত্র ভেদে আচরণ করার কৌশল রপ্ত করা। এ কৌশল রপ্ত করার জন্যে শিক্ষকদের শাসন গ্রহণ ও অনুশাসন সহ্য করতে হয়। কারণ শিক্ষা শব্দের মূল ধাতু ‘শাস’ থেকে উত্থিত, যার অর্থ হলো শাসন করা। আদিকাল থেকে প্রকৃতিতে একটি সংস্কার প্রক্রিয়া অহরহ চলে আসছে, যার ফলে ঘাত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে একটি পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। এ পরিবর্তন মানব প্রকৃতিতে মানসিক চেতনা অনুরণন-অনুসরণ ও অনুকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধিত হলেও বাস্তব ও চাক্ষুষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একে অপরের মাঝে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন আত্মগত আন্তঃ¯্রােতে সৃষ্ট কৌশল প্রবল বেদনায় অপরের মাঝে আত্মতৃপ্তির স্বাদে পৌঁছে দিতে গিয়ে এক প্রকার অনুশাসনের আশ্রয়ে বাহিত ও তাড়িত হয়।
এভাবে পূর্ব পুরুষীয় কাক্সিক্ষত চলমান ধারাকে শানিত ও চলমান রাখার প্রক্রিয়াকে আমরা এক কথায় শিক্ষাদান বলে থাকি। পরিবর্তন ও পরিবর্ধন প্রক্রিয়া বলে মানুষের নব চেতনায় উত্থিত মানসিক চিন্তা ও গবেষণায় দৃশ্যমান ও আত্মস্থ ধারণা এবং জানাকে গতিশীল রেখে স্বীয় জীবনের জাগতিক বা বৈষয়িক জ্ঞানকে চিরন্তনী ধারায় অক্ষুণœ রাখার প্রচেষ্টা পরবর্তী বংশধরদের জীবনে আলোকবর্তিকাসম প্রয়োজনীয় উপাদান হিসাবে চালু রাখা।
তাই প্রকৃতিগত অসীম গুণাবলি থেকে প্রাপ্ত মানুষের অন্তর্নিহিত অসীম গুণাবলি ও প্রতিভা বা সুপ্ত সুকুমার বৃত্তির পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের এমন একটি মানবীয় প্রক্রিয়া যা কোনো মানুষের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে স্থান-কাল-পাত্র বিচারে কাক্সিক্ষত আচরণের দিকনির্দেশনা দান করে জগৎ ও জীবনের উপলব্ধির আলোকে কল্যাণমুখী করে গড়ে তোলে।
সুতরাং শিক্ষা হলো মানবজমিনে সভ্যতার চাষাবাদ করা যা ব্যক্তির অন্তর্নিহিত চাহিদা সহজাত প্রবৃত্তি বিকাশে সৃষ্টিবৃত্তিক কোষের উৎকর্ষতা ও বোধগম্যতার জন্যে প্রাচীন মনীষীগণ মানুষকে অন্যান্য সৃষ্টিকুলের মধ্যে মহাপ্রভুর অধীনে প্রভুত্ব দান করা হয়েছে বলে প্রমাণ করেছেন। তাই মানুষেরাই অন্যান্য প্রাণীর ওপর প্রভুত্ব ও আনুকূল্য লাভে সক্ষম হয়েছেন।
তাই অন্য প্রাণীরা সৃষ্টির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে ¯্রষ্টার সৃষ্টিকে সুনিয়ন্ত্রণে রেখে মানবজাতির উন্নতি ও কল্যাণ সাধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভবের জন্য মানুষের মাঝে প্রয়োজন ও কল্যাণানুভূতির চেতনা জাগরণের জন্য শিক্ষাদান প্রক্রিয়া একমাত্র মানুষ থেকেই প্রচলিত হয় সৃষ্টির সূচনা থেকে। শিক্ষাকে যে কোনো জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ আদিকাল থেকে চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা কার্যক্রমকে নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করে ভিন্ন ভিন্ন যুগে ভিন্ন ভিন্ন মতের অবতারণা করেছেন।
যেমন ভাববাদ, প্রকৃতিবাদ, জড়বাদ, বাস্তববাদ ও প্রয়োগবাদ ইত্যাদি। আমাদের এ উপমহাদেশেও এরূপ বিভিন্ন যুগের অতিক্রান্ত আজকের শিক্ষার স্বরূপ নির্ণীত হয়েছে। যেমন তন্ত্রের যুগ, মন্ত্রের যুগ, যন্ত্রের যুগ, বিজ্ঞানের যুগ এবং বর্তমানে বিজ্ঞাপনের যুগের ক্রান্তিকাল চলছে। আজকের যুগের চাহিদা বা দাবি হলো ‘প্রচারেই প্রসার’ এ ধরনের প্রলোভনের মাঝেই গুণগত বিচারের পরিবর্তে সংখ্যাগত মানের অবতারণা হচ্ছে বিধায় শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জনে যে সকল সোপান বা উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়ার কথা তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে মানুষের মনোজগতের সুপ্ত গুণাবলিকে সুস্থ রেখে মনকে অনুসন্ধিৎসু পথে পরিচালিত করে জীবন ও জগতের বিশাল ক্ষেত্র থেকে ব্যষ্টিক ও সমষ্টিক প্রয়োজনীয় উপাদানকে আবিষ্কার করে ব্যক্তির আচরণগত সংস্কৃতির উৎকর্ষতার কাজে লাগানোর উপদেশ, নির্দেশনা ও পদ প্রদর্শনের ব্যবস্থাকে শিক্ষা বলা হয়। শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষকতা এ তিন অন্তঃপ্রবাহ সঞ্চালনের ক্রিয়া ও বিক্রিয়ার প্রথম ও প্রধান মাধ্যম হলো শিশু।
তাই শিশুদের শিক্ষাকে এ প্রক্রিয়ার মূল স্রোত বা উৎসমূল বা বীজতলা বিবেচনা করা প্রয়োজন বিধায় শিক্ষাদানে উৎকর্ষতা ও সফলতা নির্ভর করে শিশুর বা বিদ্যার্থীর পারিবারিক অবস্থান থেকে-যাকে আমরা কৃষকের ফসলের জমি নির্বাচনের সাথে তুলনা করতে পারি। কোনো কৃষককে তার জমিকে ফলনোপযোগী করতে যেমন সময় ও শ্রমের বিনিয়োগ প্রয়োজন তেমনি সময় ও শ্রম দিয়ে একবার ফলনোপযোগী করলে তা পরবর্তী তিন পুরুষ পর্যন্ত আবর্তিত হয়, যাকে আমরা ‘জেনেটিক ফ্যাক্টর’ বা সভ্যতার মাপকাঠি বলে বিবেচনা করতে পারি।
ম্যান্ডেলস লতে শিশু জন্মের ইতিবৃত্ততে যেমন মাতৃপিতৃর তিন পুরুষীয় ধারার আকৃতির কথা বলা হয়েছে তেমনি মনোজগতের চিন্তা ও কল্পনার দৃশ্যাবলির ফলে আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। এজন্য পিতার মানসিক উৎকর্ষতার চেয়ে একজন মাতার মানসিক উৎকর্ষতার প্রভাব তার শিশুর ওপর বেশি বিস্তার লাভ করে। তাই বলা প্রয়োজন একজন জ্ঞানী মাতা এক হাজার শিক্ষকের চেয়েও শ্রেয়। কারণ জ্ঞানী ও বিদ্বান এক কথা নয়। যেমনি নয় শিক্ষক ও শিক্ষিত। সুতরাং শিক্ষকতার জন্য সম্মানী, চাকরির জন্য সেলারি।
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে পিতাণ্ডমাতার সুস¤পর্কই তার মৌলিক ভিত্তি। পৃথিবীতে কোনো শিশুই মেধাশূন্য বা বুদ্ধিবৃত্তিক কোষ ব্যতীত জন্মায়নি। প্রত্যেক শিশুই একই মাপের মেধা বা সমবুদ্ধাঙ্ক নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে থাকে। এখানেই স্রষ্টার সৃষ্টিতত্ত্বের মর্ম নিহিত। শিশুর অন্তর্নিহিত আন্তঃস্রোত থেকে গুণাবলি বা সুপ্ত প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর দায়িত্ব পরিবার ও সমাজের।
কারণ শিশুরা পৃথিবীতে আসার পরই দৃশ্যমান পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে আয়ত্ত করতে চায়। তার সামনে যে দৃশ্যের অবতারণা হবে সেভাবে তার মানসিকতা গড়ে উঠবে। তাই বলা প্রয়োজন ‘জš§ হোক ধনী দারিদ্র্যে, কর্ম হোক ভাল’। সুতরাং ক্রোমোজোমিক পরিচ্ছন্নতাই শিক্ষা ও সভ্যতার মূলস্রোত।
বীজতলাই প্রকৃত কৃষকের মূলধন। শিশু শিক্ষার জন্য পারিবারিক কাঠামো ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাব মুখ্য তবে পারিবারিক অবস্থার জন্য সমাজ বা সমাজপতিদেরই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হয়। নতুবা শিশুরা যথাযথ পরিচর্যায় গড়ে না উঠলে পুরো সমাজের জন্যই একটি বিপজ্জনক উপাদান হিসাবে সংক্রমিত হয়ে থাকে। শিষ্ট না হলে দুষ্ট হয়ে সমাজকে কলুষিত করে। তাই সুন্দর সমাজের প্রয়োজনে শিশুদেরকে সুশিক্ষা দানের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া প্রয়োজন।
আমাদের সমাজে সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে শিশুরা পারিবারিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত। পরিবেশ ও পারিবারিক অজ্ঞতা ও চেতনাবোধের অভাবে একজন পিতাণ্ডমাতার অপরিকল্পিত প্রথম সন্তান সভাবতই মেধার বিকাশ ধীরগতি স¤পন্ন হয়। সচেতন পরিকল্পনা বহির্ভূত কোনো পরিবারে প্রথম সন্তানের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটে কম। অন্যদিকে দ্বিতীয় সন্তানের চেতনা ও পরিকল্পনার প্রভাবে মেধার বিকাশ হয় দ্রুত। শিক্ষা মনোজগতের কল্পনার বিষয় আলপনায় পরিণত হয়।
শিশুকে সাড়ে তিন বছর বয়সে মানব সম্পদের পরিশোধনাগারে পরিচিতি লাভ করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ওই সময়ে পিতাণ্ডমাতা অতি মাত্রায় আদর-¯েœহ দিয়ে আত্মনির্ভরতা নামক শক্তি বিকাশের সুযোগ থেকে শিশুকে বঞ্চিত করেন। তাই বলা প্রয়োজন ‘অনাদর একটি মস্তবড় স^াধীনতা সুশিক্ষাই প্রকৃত মমতা’। প্রাথমিক শিক্ষা হলো, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষালয়, কাগজ-কলম, বর্ণ ও পরিচিতি পর্ব সমাপ্ত করা। তারপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা মানে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি লাভ।
পারিবারিক শিক্ষা উত্তরণের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র বিদ্যাগ্রহণ বা অনুকরণ। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মস্তবড় অসঙ্গতি হলো শিক্ষার বীজতলার প্রতি কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না থাকার ফলে দুর্বল চারা অনুর্বর ভূমিতে বপন করার মতো বোকামি। ফলে পুরো জাতি ধীরে ধীরে প্রকৃত ফসল হতে বঞ্চিত হচ্ছে, মেধাহীন জনসংখ্যার সৃষ্টি হচ্ছে, জবাবদিহিতার মনোভাব তিরোহিত হচ্ছে, যোগ্য প্রশাসকের সঙ্কট সৃষ্টি সর্বোপরি সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এক ধরনের কাগজে শিক্ষিতের প্রাধান্য বৃদ্ধি।
এক সময় একজন কলেজ প্রধান তার চতুর্পার্শ্বের দশটি হাইস্কুলের তদারকি করতেন, একজন হাইস্কুল প্রধান তার চারিপার্শে^র পনেরোটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদারকি করতেন। ফলে, শিক্ষা একটি চেইন অব কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হতো। এভাবে শিক্ষার বীজতলার প্রতি যত্নবান থেকে দেশে জনশক্তির সৃষ্টি হতো।
আমরা বলে থাকি শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আসলে এ কথাটির মর্মার্থ হলো একটি রাষ্ট্র তার নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক গ্যারান্টি দিতে হয়। যেমন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান। এ পাঁচটি মৌলিক গ্যারান্টির মধ্যে মধ্যমণি হল শিক্ষা। যার শিক্ষা আছে তাতে ওই চারটি মৌলিক চাহিদার চিন্তা করতে হয় না। সেজন্য শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে।
আসলে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড নয়-সুশিক্ষকই জাতির মেরুদণ্ড। কারণ সুশিক্ষা দেয়ার জন্য সুশিক্ষক প্রয়োজন। তাই, শিক্ষকতা চাকরি নয়, বেতনও নয় তবে সম্মানী। একজন সুশিক্ষকের কাছে কর্মই মুখ্য, অর্থ বা টাকা মুখ্য নয়। অর্থ তাঁর কর্মের পিছনে ধাবমান। এ জন্য শিক্ষা-দীক্ষার মহান নায়ক সুশিক্ষক। অপরদিকে একজন চাকুরের বেতন বা মজুরি তার কাছে প্রধান বিবেচ্য হওয়াতে কর্মক্ষমতা অর্জনের চেয়ে অর্থ অর্জন মুখ্য বিষয় হয়ে পড়ে। ফলে প্রকৃতি প্রদত্ত কর্মস্পৃহা অলসতার আবর্তে তলিয়ে যায়। বিদগ্ধ রসিকজনেরা বলে থাকেন বেত থেকে বেতন। বেতন শব্দের অর্থ হলো, যিনি বেত দিতে জানবেন বা ক্ষমতাবান হবেন তিনি বেতন পাবেন। এখানে বেতন শব্দের অর্থ হলো ক্রোধবিহীন সুশাসন, অনুশাসন বা দৃষ্টান্তমূলক শাসন।
একজন শিক্ষকের পেশাগত উৎপাদন হলো শিক্ষা যার প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ণের ব্যক্তিক বা বৈষয়িক প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে তার নেশাগত উৎপাদন হলো দীক্ষা, যা ব্যক্তির নৈতিক, মানসিক ও চারিত্রিক উৎকর্ষতা লাভে সক্ষম হয়। তাই বলা হয় কোনো ব্যক্তির প্রতিষ্ঠা লাভের স্থপতি হলো তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষক। এরাই কোনো ব্যক্তির অর্থ উপার্জনের মাপকাঠির সনদ প্রদান করে থাকেন। অনেক সময় বলা হয় অহঙ্কার পতনের মূল।
আসলে প্রকৃতি প্রদত্ত গুণাবলির অহঙ্কার পতনের মূল হলেও স্বীয় কষ্টার্জিত বা শ্রমার্জিত গুণের অহঙ্কার ব্যক্তি বা সমাজের উন্নতির মূল। কারণ এটা অন্যের অনুকরণীয়। শিক্ষকরা মসি শক্তিতে শক্তিশালী বা বিশ্বাসী যা চিরঞ্জনী আবেদনের অমরতা দান করে। আজকের সমাজে শিক্ষকরা মূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ পায় না। হয়তো বা শিক্ষকরা মূল্য পাওয়ার যোগ্যতা লাভে ব্যর্থ বা ব্যক্তিত্ব বিসর্জিত, শুধু অর্থের পিছনে ধাবিত অথবা সাময়িক বা খুচরা শিক্ষক সেজে দুয়ারে দুয়ারে করাঘাতে রত দণ্ডায়মান, ফাইল হাতে কমিটি প্রধানের কৃপা দৃষ্টির অপেক্ষায় প্রতিষ্ঠান প্রধান। কৃতজ্ঞতার অভাবে মানব ইতিহাস কলঙ্কিত।
ইতিহাসের ধারায় পৃথিবীর কোনো ভালো কাজ বা মানুষকে নিষ্কলুষ থাকতে দেয়নি প্রচলিত সমাজ। তারপরও সভ্যতার স্থপতিরা থেমে থাকেনি। তারা নির্বিবাদে অগোচরে অলক্ষ্যে শত প্রতিরোধের মুখে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো অপ্রতিরোধ্য। তাই বলতে হয়, ‘সবার উপরে শিক্ষক সত্য, তার উপরে নেই’। যারা প্রকৃতির সার্বভৌম ক্ষমতার ধারক ও বাহক, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম ক্ষমতার বাহক তৈরির অদৃশ্য শক্তি তারা সর্বোচ্চ সম্মান লাভের সুযোগ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমন্বয়েরও সাধক।