সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২২, ০০:০০

শিক্ষক সাক্ষাৎকার : মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম

পড়াশোনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে

পড়াশোনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে
মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

পারিবারিক শিক্ষা, আদর্শ ও মূল্যবোধের চর্চা বুকে লালন করে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় তিনি আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নস্থ বিঘা আহ্মদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় বাংলা প্রভাষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘শিক্ষাঙ্গন’ বিভাগের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি ব্যক্তিজীবন, শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতিসহ বর্তমান শিক্ষব্যবস্থার নানা বিষয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষাঙ্গন প্রতিবেদক।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ তা’য়ালার মেহেরবাণী ও দয়ায় ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কীভাবে এলেন?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : উত্তরটা মূলত ব্যাপক। সংক্ষেপে বলবো-আমার নানা, বাবা, চাচা শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন বেছে নিয়ে দৈন্যতায় দিনাতিপাত করলেও আদর্শের দিক থেকে ছিলেন মডেল। আমিও এমন পরিবেশে লালিত হতে হতে ছাত্রজীবনেই শিক্ষকতা পেশার স্বপ্ন লালন শুরু করে দিয়েছিলাম। এ মহৎ পেশায় আত্মনিয়োগ করা অত্যন্ত ত্যাগের। চাওয়া-পাওয়ার ঘাটতি লেগেই থাকতো। কিন্তু ফসল হিসেবে যখন জ্ঞানী-গুণী, আদর্শ ছাত্র তৈরিতে আত্মনিয়োজিত থেকে সফলতা দেখতেন, তখন বাবার মুখে হাসি ফুটতো। যখন দেখতাম ছাত্ররা বাবাকে, চাচাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতো তখন পারিবারিক চাওয়া-পাওয়ার হিসেবের কথা ভুলে যেতাম। এ পরিবেশে শিক্ষক হওয়ার বীজ নিজের অজান্তেই অঙ্কুরিত হয়েছিলো। আর বাংলা প্রভাষক হওয়ারও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস না বললে অতৃপ্তি থেকে যায়।

এক বড়ভাই (জনাব কামালুদ্দিন, সাবেক অধ্যক্ষ [১৯৯৭ সালে] আলিনুর হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা, সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর) আমার আলিম পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার খাতা পর্যবেক্ষণ করে অনার্স পড়ার জন্যে মোটিভেট করেন। যার ফলে চাঁদপুর সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ২০০০খ্রিঃ, মাস্টার্স ২০০১খ্রিঃ শেষ করার সাথে সাথেই একটা ফাযিল মাদ্রাসায় অতিথি শিক্ষক হিসেবে স্বল্প কয়েকটা ক্লাস নিই। খুব দ্রুতই ২০০৪ সালে বিঘা আহ্মদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় যোগদান করে অদ্যাবধি বাংলা বিষয়েই পাঠদান করছি। একজন শিক্ষক হতে পেরে আমি ধন্য ও গর্বিত। তাই জনাব কামাল উদ্দিন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : এখানে দুটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। প্রথমত, নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য যাচাইয়ের সুবর্ণসুযোগ পেয়ে কিছুটা চিন্তিতও বটে। ছাত্র-ছাত্রীকে কতটা সন্তুষ্ট করতে পারবো?

আলহামদুলিল্লাহ, অনুশীলন ও পূর্বপ্রস্তুতি থাকার কারণে চিন্তাটা আনন্দে রূপান্তরিত হতে খুব স্বল্প সময় লেগেছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকর্মীবৃন্দের অবর্ণনীয় ভালোবাসায় সিক্ত শিক্ষকতায় প্রথম দিন চির অম্লান হয়ে থাকবে।

দ্বিতীয়ত, এ ব্যাপারটা আমাকে কিছুটা বিব্রত করেছে। যে কারণে সামান্য হলেও না বলে পারছি না। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী আমাকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস দেখিয়ে চলে যায়। শ্রেণিতে প্রবেশমাত্রই সামান্য সালামের সাউন্ডের মতো পেলাম, যা বোধগম্য হওয়ার পূর্বেই স্তব্দ হয়ে যায়। কোনো জন-প্রাণীর চিহ্ন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। কিছু খালি বেঞ্চের পর একটা পর্দা ঝুলে আছে। আমি কিছুটা নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। কিয়ৎকাল পর একটা সাউন্ড কর্ণকুহুরে ভেসে এলোÑ‘স্যার বসতে পারি?’ হ্যাঁ বলেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে পাঠদানের প্রক্রিয়া হিসেবে পরিচিতি পর্ব সেরে নিই। মাত্র একজন ছাত্রী। অনিবার্য কারণে হয়তো অন্যরা অনুপস্থিত ছিলো। যথারীতি পাঠদান শুরু করি। যেদিনটি আমার স্মৃতিতে আজও অম্লান হয়ে আছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : এককথায় বলা যায়, ছাত্রজীবনটা ভীষণ দুঃখ, ত্যাগ-তিতিক্ষার। আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়াবস্থায়ই পাঠদান কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হই। লজিং-টিউশনি করে অনেক উত্থান-পতনের ঢেউয়ে দুলতে দুলতে ১৯৯৮ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে ¯œাতক সম্মান কোর্সে ভর্তির অনন্য সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়। অনার্স কোর্সে ভর্তির ফলে আমার ক্ষুদ্র যে জগত তা এতোটাই সম্প্রসারিত করে দিয়েছেন তৎকালীন বাংলা বিভাগের শিক্ষাগুরু শ্রদ্ধেয় মনোহর আলী স্যার, মিহির কান্তি রায় স্যার, প্রণব চৌধুরী, মমতাজ ম্যাডামসহ প্রমুখ; যা সাতটি মহাদেশে সীমাবদ্ধ নয়। সপ্তর্ষীম-ল গ্রহ, নক্ষত্রের মাঝে পরিভ্রমণ করতে শিখিয়েছেন। মহান শিক্ষাগুরু যাঁরা এ দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

বিশেষ করে একটা কথা বলা জরুরি মনে হয়। অনার্স ১ম বর্ষে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ বিষয়ে ৪০ নম্বর পেয়ে হতাশ হয়ে মরহুম মনোহর আলী স্যারের স্মরণাপন্ন হই। স্যারকে বলি, ‘নম্বর কম পেয়েছি স্যার, অনার্স পড়া মনে হয় আমার কপালে নেই।’ স্যার মৃদু হেসে বললেন, ‘তুমি তো ভালো নম্বর পেয়েছো। (আমি ২য় মার্ক পেয়েছি। ১ম ছিলো ৪৪ নম্বর। যিনি শরীফ মাহমুদ চিশতি। এ বন্ধুবর এখন চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।) পড়া চালিয়ে যাও।’

স্যারের প্রেরণায় সর্বশেষ সফলতা নিয়েই বাংলা বিভাগ থেকে ছাত্রজীবনের সমাপ্তি ঘটে ২০০৪ সালে এম.এ. পরীক্ষার মাধ্যমে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পার্থক্য?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে সিলেবাসকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করা হয়েছে। নিরক্ষরতার হার উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার বিনিময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। (উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণ ইত্যাদি)। শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি ঘটেছে দেড় যুগ পূর্বে।

যে কথা না বললেই নয়, আমরা প্রচুর পড়াশোনা করেও ৮০ ভাগ নম্বর উঠাতে কষ্টকর হতো। তা-ও দুই-তিন বিষয়। এতে করে চারদিকে সুনাম-সুখ্যাতির কি ছড়াছড়ি! কিন্তু বর্তমান সময়ে একজন মাঝারি মানের ছাত্রও জিপিএ-৫ পেয়ে যায়। বোধহয় আমাদের সময়ের ৫০-৬০ নম্বর বর্তমান সময়ের ৮০-এর উপরে নম্বর। বেশি দিন আগে নয়, আমি ১৯৯৭ কিংবা ১৯৯৮ সালে শিক্ষাবর্ষে অনার্স পড়েছি। তখন তো ৬০ ভাগ নম্বর পাওয়া বা ফার্স্টক্লাস পাওয়া অলীকস্বপ্ন ছিলো। সে সময় শুধু বিষয়ভিত্তিক নম্বরের উপর ফলাফল নির্ধারণ হতো। সাবসিডিয়ারী বিষয়ের নম্বর মূল বিষয়ের সাথে ধর্তব্য হতো না। তাই ফার্স্টক্লাসও তেমন ছিলো না। আর পরবর্তীতে দেখা গেলো, মেজর, নন-মেজর সাবজেক্টের নম্বর কাউন্টেবল হওয়ার কারণে যত্রতত্র ফার্স্টক্লাস পাওয়া সহজলভ্য বলে আমার মনে হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলাধুলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : শিক্ষার্থী মানেই শিক্ষাজীবন। যে জীবনে পড়াশোনার গুরুত্বই বেশি। ‘ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ’। একজন ছাত্রের জন্যে পরিমিত খেলা প্রয়োজন। যা চিত্তের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। বিকেলের সময়টা খেলাধুলায় কাটাতে পারলে দেহ-মন সতেজ হয়। যার ফলে পাঠে আরো উদ্যোমী হতে সাহায্য করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বিদ্যানিকেতন সম্পর্কে কিছু বলুন।

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিঘা আহ্মদিয়া ফাযিল/ডিগ্রি মাদ্রাসা। ১৯৫৩ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সদ্যপ্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা খানের নিরলস প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠান একটি মডেল মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়। গ্রামবাসীর অসীম ভালোবাসা, দাতাগণের দানের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি স্বগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সব মিলিয়ে গ্রামবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় ছাত্র কারা?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : এ প্রশ্নের উত্তর দু ভাবে দেয়া যায়, সমষ্টিকভাবে আর এককভাবে। সমষ্টিকভাবে বলবো, ছাত্রদের মাঝে যারা আদর্শবান, সৎপথে নিজের জীবনকে পরিচালিত করেÑব্যক্তি, পরিবার, সমাজকে আলোকিত করে তারাই আমার প্রিয় ছাত্র।

এককভাবে বললে তো এর তালিকা অনেক দীর্ঘ। সংক্ষেপে দু-একজনের কথা না বললেই নয়। মোঃ আজহারুল ইসলাম। পূর্ব বিঘা, কাঞ্চনপুর, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর। ঢাবি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে সদ্যসমাপ্ত করা। যে নিজেকে আদর্শ, নীতি-নৈতিকতায় শিক্ষকম-লীর হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছে। বিশেষ করে আমার হৃদয়ে। সে ইতিমধ্যে ৪১তম বিসিএস প্রিলি উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রার্থী। তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।

মোঃ রাজীব হোসেন। গোল্ডেন জিপিএ-৫সহ ঢাবিতে আইন বিভাগে ফোর্থ ইয়ারে পড়াশোনা করছে। মেধা, আচার-ব্যবহার, নমনীয়তা সব মিলিয়ে যেনো এক সোনায় সোহাগা। ঢাবিতে তার ফার্স্ট ইয়ার রেজাল্ট ৩.১০, সেকেন্ড ইয়ার ৩.১৫, থার্ড ইয়ার ৩.২৭। আল্লাহ যেনো তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করেন। আমার শিক্ষকতা জীবনের অন্যতম এক মেধাবীমুখ মোঃ রাজীব হোসেন।

আরেকজন ছাত্রের কথা না বললেই নয়। যার মেধা, বুদ্ধি, লয়ালিটি সব মিলিয়ে এক আদর্শ ছাত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৩য় বর্ষ। শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-২০১৯ খ্রিঃ। ঢাকা কলেজ, ঢাকা। তার জীবন চলার পথ উত্তরোত্তর সাফল্যম-িত হোক।

এভাবে আরো অনেকেই আছে। কলেবর দীর্ঘ হবে তাই আর উল্লেখ করতে পারছি না। আশা করি, আমার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এ সাক্ষাৎকারে নিজের নাম না দেখে ব্যথিত হবে না। মোটকথা, আমার ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে যারা আদর্শবান, তারাই আমার প্রিয়। সবার প্রতি রইলো আন্তরিক আশীর্বাদ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা জীবনের একটি আনন্দের ঘটনা বলুন?

মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম : অনেক ঘটে যাওয়া আনন্দের মাঝে আবেগাল্পুত একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। যা আমাকে নিরবে-নিভৃতে আনন্দ দিয়ে যায়। কর্মজীবনের ২য় বছর ২০০৬ সালে ‘জাতীয় স্বাধীনতা দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে কলিগীয় ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলাম। ব্যাচেলর ছিলাম। তাই একান্ত বিনোদনকারী কলিগ, সহকারী মৌলভী মাওঃ নূরুন নবী আমার ভাবী গিন্নীর জন্যে আয়না-চিরুণী ইত্যাদি পুরস্কারের ব্যবস্থা করে মাইকে আমাকে আহ্বান করেন। আমাদের কলিগীয় এ হাসি-আনন্দ দীর্ঘায়িত হোক-এ কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়