প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০
সাক্ষাৎকার : অধ্যক্ষ শাহ মোঃ মকবুল আহমদ
আমাদের প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখি
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ। তিনি চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সাথে নানা বিষয়ে কথা হয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের। সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কিভাবে এলেন?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : ছাত্রজীবন থেকেই ইচ্ছে ছিলো শিক্ষকতা করবো। তা থেকেই ১৯৯৪ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা প্রভাষক হিসেবে চান্দ্রা ছামাদিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসায় প্রথম যোগদান করি। তখন থেকেই চান্দ্রা ইমামআলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে একই পদে খণ্ডকালীন হিসেবে যোগদান করি। পরে ১৯৯৭ সালের ১০ নভেম্বর এ প্রতিষ্ঠানে এমপিভুক্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে বর্তমানে কর্মরত আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন অত্যন্ত আনন্দ-উদ্দীপনার সাথে কেটেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেনো প্রিয়?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক ৩ জন। অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও ড. শাহজাহান মুনির। তাঁদের পাঠদান ছিলো সহজ-সরল, প্রাঞ্জল এবং রসে ভরপুর। আর মাওলানা আব্দুল হামিদ, যিনি বাল্যশিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত স্নেহ ও নজরদারি দিয়ে আমাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : শতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অগণিত জ্ঞানী-গুণী ও দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান তৈরি করে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে সেক্টর কমান্ডার, শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশখ্যাত শিল্পী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সেবক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি। বিশেষ করে যাঁদের নাম উল্লেখ করতেই হয়, তাঁরা হচ্ছেন : সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, দেশখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান, সাবেক এবং বর্তমান সচিব উপ-সচিবের মধ্যে আছেন মোঃ শফিকুর রহমান পাটওয়ারী, মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, নাছিমা বেগম, মোঃ এরশাদ হোসেন, ফরিদ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। চিকিৎসকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন প্রফেসর একেএম মোস্তাফা হোসেন, সৈয়দ মোঃ মজিবুর রহমান মোহন, আব্দুল গফুর, ফাতেহা আক্তার, হারুন অর রশিদ সাগর, নূরুল হুদা, সাইফুল ইসলাম সোহেল, কামরুল আনাম প্রমুখ। প্রকৌশলীগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মঞ্জুর আহমেদ, ড. আহমেদ হোসেন, শাহাবুদ্দীন পাটওয়ারী, আহসান হাবীব তপাদার, এনায়েত হোসেন, শাহআলম পাটওয়ারী, ড. মাসুদুজ্জামান বকাউল, নাসিরউদ্দিন মোস্তান, মমিনুল হক প্রমুখ। আরও আছেন সাব সেক্টর কমান্ডার বজলুল গণি পাটওয়ারী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহিদ উল্লা তপাদার, প্রফেসর এ ডব্লিউ এম তোয়াহা মিয়া, প্রফেসর আব্দুর রহিম, ড. এবিএম শাহজালাল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সংগঠক আমির হোসেন খান, লুৎফুর রহমান তপাদার, সৈয়দ আহম্মদ মিজি এবং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট মোঃ মনির হোসেন ও মোঃ শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : লেখাপড়া খেলাধুলা এবং স্কাউটিংসহ সর্বদিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি একটি মডেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : যেসব প্রতিবন্ধকতা দূর হলে এ প্রতিষ্ঠানটি আরও ভালো করতো বলে আপনি মনে করেন?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিলো অবকাঠামোগত! বর্তমান ৩টি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। অচিরেই অবকাঠামোগত সমস্যা দূর হবে। এলাকার অধিকাংশ অভিভাবক দরিদ্র হওয়ায় ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে অক্ষম। তাই এলাকার ধনী ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন।
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : এ বিদ্যানিকেতনটির সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হয়। যেমন : প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শ্রেণিভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় প্রতিবছর গণিত অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত রাখছে। প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। স্কাউট ও গালর্স্ গাইডে যে কোনো অনুষ্ঠান ও জাম্বুরীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনি কী স্বপ্ন দেখেন?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময় কী করেন?
শাহ মোঃ মকবুল আহমদ : পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করি, কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করি।