প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
নওশাদ হোসেন নিহাল। সে চাঁদপুর শহরের উদয়ন শিশু বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বড় হয়ে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। শিশু কণ্ঠ বিভাগে দেয়া তার সাক্ষাৎকার হুবহু তুলে ধরা হল।
শিশু কণ্ঠ : কেমন আছো?
নিহাল : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
শিশু কণ্ঠ : কোন ক্লাসে পড়ো?
নিহাল : আমি চাঁদপুর উদয়ন শিশু বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি।
শিশু কণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তার সম্পর্কে কিছু বলো।
নিহাল : সব ম্যামকেই আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু ফাতেমা ম্যাম আমার খুব বেশি প্রিয়। তিনি আমাদের খুব আদর করে পড়া বুঝান, অনেক সুন্দর করে কথা বলে। তাই ফাতেমা ম্যাডাম আমার অনেক প্রিয়।
শিশু কণ্ঠ : স্কুলে তোমার বন্ধু কে?
নিহাল : মোঃ রেজওয়ান হোসেন মাহির।
শিশু কণ্ঠ : তার সম্পর্কে কিছু বলো।
নিহাল : সে খুব ভালো। ক্লাসে অনেক চুপচাপ থাকে। কাউকে বিরক্ত করে না। আমাকে শ্রেণিকক্ষে অনেক সাহায্য করে।
শিশু কণ্ঠ : কী কী খেলাধুলা করো?
নিহাল : আমি শুধু ছুটির দিনে ক্রিকেট খেলি। এছাড়াও বাসার সামনে সরু গলিতে মাঝে মাঝে খেলতে যাই। ভালো মাঠ না থাকার কারণে সেভাবে খেলাধুলা করা হয় না।
শিশু কণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী কী করো?
নিহাল : অবসর সময় আমি আমার প্রিয় লেখক আহসান হাবিবের বই পড়ি। গল্পের বই পড়ি। টিভিতে কার্টুন দেখি। শিশুতোষ গল্প আমার খুবই ভালো লাগে।
শিশু কণ্ঠ : বড় হয়ে কী হতে চাও?
নিহাল : আমি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।
শিশু কণ্ঠ : গল্প কবিতা পড়তে কেমন লাগে?
নিহাল : গল্প কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আমি কবিতার চেয়ে গল্প পড়তে বেশি পছন্দ করি।
শিশু কণ্ঠ : স্কুলের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাও?
নিহাল : স্কুলের ছুটিতে আমি নানা বাড়ি ও দাদা বাড়ি বেড়াতে যাই। নানার বাড়ির মতো মজা আমার আর কোথাও লাগে না। আমার নানুকে দেখলে আমার শান্তি লাগে। নানার বাড়িতে গিয়ে আমি অনেক মজা করি। নানা ভাইয়ার হাত ধরে বাজারে যাই। মামার সাথে ঘুরাঘুরি করি। নানা বাড়ির বড় উঠোন আছে সেখানে খেলাধুলা করতে পারি।
উল্লেখ্য, নওশাদ হোসাইন নিহালের পিতা উজ্জ্বল হোসাইন একজন চাকুরিজীবী, মাতা নাছরিন আক্তার একজন শিক্ষিকা।