সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

নোয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী
অনলাইন ডেস্ক

জ্বর হয়নি এমন মানুষ বিরল। কেউ বলতেও পারবে না জীবনে তার কোনদিন জ্বর হয়নি। কেউ অল্প জ্বরেই কাবু হয় আর কেউ অধিক জ্বরেও দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। কেউ জ্বর হলে প্রলাপ বকে আর কেউ জ্বরে ঠান্ডা পানিতেই গোসল করে। জ্বর আসলে আমাদের দেহে রোগের উপসর্গ। জ্বর কোন রোগ নয়। জ্বরের কারণ বিবিধ। তবে জ্বর নিয়ে গবেষণা কিন্তু আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি আমার এক বন্ধুর কথা বলছি। আমার বন্ধুর নাম নোয়েল। ছোটবেলা হতেই তার ঘন ঘন জ্বর হতো। একটু জ্বর হলেই তার খিঁচুনি হতো। সেই খিঁচুনিতে তার দাঁতে-জিভে কামড় পড়তো। তখন তাকে জ্বর কমানোর সাপোজিটরি না দিলে খিঁচুনি কমতো না। ডাক্তার তার বাবা-মাকে বলে দিয়েছে, নোয়েলকে রাগানো যাবে না। তাকে বেশিক্ষণ কাঁদতে দেয়া যাবে না। রাগলে বা কাঁদলেই তার খিঁচুনি উঠে যেতে পারে। আবার জ্বর উঠলে তাকেও দ্রুত নামাতে হবে। এজন্যে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি তাকে ব্যবহার করতেই হবে। জ্বর আর খিঁচুনি হলে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেত প্রায়ই। তখন তাকে অক্সিজেন দিতে হতো আর নেবুলাইজার দিয়ে ভেন্টোলিন গ্যাস দিতে হতো। ডাক্তার বলেছিল চিন্তা না করতে। বড় হলে আস্তে আস্তে এরকম ফেব্রাইল খিঁচুনি কমে যেতে পারে। বাস্তবে ঘটেছেও তা।

এখন সেই নোয়েল আর আমি দুজনেই ক্লাস ফাইভে। একই স্কুলে। বিগত দুই বছর ধরে তার আর খিঁচুনিসহ জ্বর ওঠেনি। কিন্তু নতুন করে গত মাসে নোয়েলের দিনতিনেক তীব্র জ্বরসহ খিঁচুনি হয়। এ জ্বর হতে পরিত্রাণের জন্যে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে রাতে তাকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসে বাড়ির লোকজন। তারপর যমে-মানুষে শুরু হলো লড়াই। সেই লড়াইয়ে টিকে গিয়ে নোয়েল এখন আমার সহপাঠী-সতীর্থ।

জ্বরের ঘোরে নোয়েল প্রচুর প্রলাপ বকেছে সেই তিনদিন। সেই প্রলাপগুলো সবই নোয়েলের পরিবার কেন্দ্রিক। জ্বরের ঘোরে যখন নোয়েল প্রলাপ বকতো তখন প্রথম প্রথম সবারই ভয় লাগতো। এখন ধীরে ধীরে ভয়গুলো সবই সহ্য হয়ে গেছে। জ্বরের ঘোরে যে প্রলাপ বকেছে তার প্রত্যেকটা বাস্তবে ফলে যেত। অর্থাৎ প্রলাপ নয়,মূলতঃ জ্বরের কারণে সে না ঘটা কাহিনী আগাম বলে দিত। যারা তাকে চিনতো তারা বুঝতো সামনে কী কী হতে পারে তাই-ই আসলে নোয়েলের প্রলাপ। তবে সুস্থ হয়ে গেলে তার আর মনে থাকতো না সে জ্বরের ঘোরে কী বলেছে।

নোয়েলের প্রলাপ হতে এটা বুঝা যায়, মানুষ চাইলে মনকে একাগ্র করে দূরের ভবিষ্যৎও দেখতে পায়। যখন জ্বর বাড়ে তখন নোয়েল চলে যায় ভাবের জগতে। নোয়েলের সাথে তখন সরাসরি কথা হয় নিয়তির। নিয়তিই নোয়েলের মুখে কথা বসিয়ে দেয়। তখন না ঘটা ঘটনাগুলি আগাম জেনে যায় নোয়েলের পরিবার। নোয়েলের জ্বর তাই শংকা নয় সমাধানের পথ বাৎলে দেয়।

শেষ বারের জ্বরে নোয়েলের একটা প্রলাপ ছিল এরকম, ' তুইযা, অন্যখানে চলে যা।' প্রথম দুয়েকদিন একথার কোন মানে বুঝা যায়নি। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে তত এ প্রলাপের মানে খোলাসা হতে থাকলো।

নোয়েলের কাকা পার্থ মাস্টার্স পাশ করে বেকার। বেকার মানে চাকরি-বাকরি খুঁজছে। মাত্র মাস ছয়েক হলো। তাদের পাড়ার গলিটা খুব সরু। দুটো রিকশা পাশাপাশি ক্রস করতে পারে না। ভুলক্রমে যদি দুটো গাড়ি মুখোমুখি হয় তবে যে কোন একটা গাড়িকে অনেকদূর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে হয়। তো একদিন কাকা নিউমার্কেট হতে রিকশায় আসছিলেন বাসার দিকে। চাকরির একটা ইন্টারভিউ দিয়ে মাত্র বের হয়েছে। ভাইবাতে যা জিজ্ঞেস করেছে তাতে তার মেজাজ খিঁচড়ে গিয়েছিল। তাকে প্রশ্ন করেছে ইংরেজি কমিটি বানানে কেন দুটো 'টি'। আচ্ছা এ প্রশ্নের কোন উত্তর হয়? কিন্তু এই প্রশ্নটাই তার ভালো পরীক্ষাটিকে পঁচিয়ে দিলো। এরকম তিরিক্ষি মেজাজ আরো পেকে গেলো বাসার সামনে গলির মুখে এসে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে একটা মোটরকার। মোটরকারের ড্রাইভার নেমে কাকার রিকশার ড্রাইভারকে দিলো ধমক। যা তুই পিছে যা। কাকার এটা সহ্য হলো না। নোয়েলের কাকা রিকশা থেকে নেমে উল্টা ধমকালেন গাড়ির ড্রাইভারকে। তুমি গলিতে গাড়ি রেখে হর্ণ বাজালে না কেন? তুমিই গাড়ি পিছে নাও। এবার আর গাড়ির মালিক গাড়ির ভেতরে থাকলেন না। তিনি বের হয়ে এসে কাকাকে ধমকাতে শুরু করলেন। তুমি কার ছেলে? তোমার বাসা কই? ইত্যাদি। কাকা বললেন, আমি কার ছেলে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার ড্রাইভার কেন হর্ণ বাজায়নি যে এই গলিতে আপনার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এতে গাড়ির মালিক আরো গেলো ক্ষেপে। তোমাকে দেখে নিবো। তুমি কীভাবে এ এলাকায় থাকো।

সারাদিন নোয়েলের কাকা একটা বিমর্ষ সময় কাটালেন। বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলে আর আড্ডা মেরে বাসায় ঢুকে দেখেন, ঐ গাড়ির মালিক আর বাবা বসে আছেন ড্রইং রুমে। গাড়ির মালিক নোয়েলের কাকাকে দেখিয়ে বললেন, এইতো, এই ছেলেটাই বেয়াদবি করেছে আমার সাথে। দেখেন,আপনি যদি এর বিচার না করেন তবে আমিও এর শেষ দেখে ছাড়ব। এই বলে তিনি চলে গেলেন। ঐ লোক চলে যাওয়ার পর নোয়েলের দাদু গর্জে উঠলেন। তিনিতাঁর ছেলেকে ডেকে শাঁসালেন। শোন,তোর জন্যে আজ আমার মাথাকাটা গেলো। ঐ লোক হলো এ এলাকার মাস্তান। তুই তার সাথে টক্কর দিতে গেছিলি? তোকে রাত-বিরেতে পেলে তো হাড় গুঁড়ো করে দেবে। যা তুই অন্যখানে চলে যা। বাবার শাঁসানি খেয়ে নোয়েলের কাকার আরও মন খারাপ হয়ে গেল। বাবাকে নিরীহ পেয়ে ঐ লোক ভয় দেখিয়ে গেছে। নাহ্! এই এলাকাতেই আর থাকবে না। নোয়েলের কাকা এরপর বোঁচকা বেঁধে সেই যে ঘর ছাড়লো, আজও ঘরমুখো হয়নি।

ঐ বার জ্বরের ঘোরে নোয়েল পাঁচটা প্রলাপ বকেছিল। এই পাঁচটা প্রলাপই ছিল আসলে ভবিষ্যদ্বাণী। এই পাঁচটা প্রলাপেরই সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নোয়েলের সেবারের শেষ প্রলাপ ছিল লটারি নিয়ে। ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিলের লটারি। আরে লটারির টিকেট কিন, টিকেট।এই ছিল তার শেষ প্রলাপ। প্রলাপকে সত্য প্রমাণ করতে নোয়েলের পরিবারের সবাই দশটা,বিশটা করে ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিলের লটারি কিনলো। সবার মুখ ফুরফুরে। নোয়েল যখন বলেছে তখন নিশ্চয়ই কিছু না কিছু হবে। যেদিন ফল ঘোষণা হলো সেদিন চার-পাঁচটা পত্রিকা ঘরে এলো। নম্বর মিলিয়ে দেখা গেলো তৃতীয় পুরস্কারসহ মোট চারটা পুরস্কার নোয়েলের পরিবারের লোকেরা পেয়েছে। নোয়েলের বাড়িতে তাই খুশির হাট বসেছে। আর এভাবেই নোয়েলের জ্বরের প্রলাপ ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে সত্যি হয়ে যায়। নোয়েলদের পারিবারিক আত্মীয় মহলেএকথা চাউর হয়ে গিয়েছে যে, নোয়েলের প্রলাপ আসলে প্রলাপ নয়, না ঘটা ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী।

আমার সেই বন্ধু নোয়েল এক বছরের মাথায় আবারো জ্বরাক্রান্ত। এবার তার জ্বরের সাথে খিঁচুনির মাত্রাটাও বেড়েছে। নোয়েলকে এবারো হাসপাতালে নিতে হলো। ডাক্তার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করালেন। কোন সমস্যা নেই। নোয়েল যথারীতি হাসপাতালে দুদিন কাটিয়ে আবার বাসায় চলে এলো। এবার আর তেমন প্রলাপ বকেনি নোয়েল। যদিও সবাই এসময় তার বেডের পাশে খাতাণ্ডকলম নিয়ে বসেছিল। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে এবার শুধু নোয়েল একটা কথাই বললো, সানাই বাজাও। সানাইয়ের কথা শুনে সবাই একে অন্যের মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু করে দিলো। কার সানাই বাজবে,কীসের সানাই বাজবে? কখন সানাই বাজবে? নোয়েলদের বাড়িতে এ মুহূর্তে বিয়ের যোগ্য কেউ তো নেই। তাহলে কার সানাই বাজবে? সবাই ভাবনায় পড়ে গেলো। সবাই ভয়ের মধ্যে আছে। কার আবার সানাই বাজবে কে জানে! এর মধ্যে মাস দুয়েক গত হয়ে গেছে। সানাই এখনো কারও বাজেনি। সবাই ধরেনিয়েছে, এবারের প্রলাপটা প্রলাপই ছিল।

নোয়েলদের পরিবারে কোন ঝামেলা নেই। ঝামেলা শুধু একটাই। নোয়েলের কাকা দাদুর বকুনি খেয়ে সেই যে ঘর ছাড়লো আর ঘরে ফেরেনি। কোন যোগাযোগও রাখেনি। প্রতিদিন নোয়েলের দাদী তার জন্যে কষ্ট পায়। আহারে! ছেলেটা কী কষ্টটাই না পেয়ে ঘর ছাড়লো। মনে মনে তিনি ঐ গাড়িঅলা লোকটার মুন্ডু চিবাতে শুরু করেন। আজ সকাল থেকেই নোয়েলের দাদীর তার ছেলের কথা মনে পড়ছে। ছেলেটার কোন চাকরি-বাকরি হলো কি না কে জানে! ঘরের অন্য সদস্যরা আস্তে আস্তে মেনে নিয়েছে মন থেকে, নোয়েলের কাকার ঘর ছেড়ে যাওয়া। এর মধ্যে ঘরে নতুন একটা খুশির খবর তৈরি হলো। নোয়েলদের বাসায় যে মেয়েটা ছোটবেলা থেকে কাজ করছিলো তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। মেয়েটা সাত বছরে নোয়েলের দাদীর কাছে এসেছিলো। তার ঘরের কাজে ভালোই সাহায্য করতো। দীর্ঘ পনর বছর ধরে সে এ বাড়িতে কাজ করে আসছে। মেয়েটার এ সপ্তাহের শেষদিনে বিয়ে। বিয়ে আর কারো সাথে নয়। নোয়েলদের প্রতিবেশি বাড়ির দারোয়ানের সাথে। তাদের এ বিয়ে হুট করে পাকা হয়ে গেছে। প্রতিবেশি বাড়ির মালিক ভদ্রলোক নোয়েলের দাদুর কাছে প্রস্তাব পাঠায়। নোয়েলের দাদুও তাদের দারোয়ানকে ভালোভাবে জানেন। ব্যস্ আর কোন ঝামেলাই নেই। নোয়েলের দাদী এ বিয়েতে সহজেই রাজি। কেননা বিয়ের পরও সে তাদের বাড়ির কাজে বহাল থাকবে। ঠিক আগের মতো। যথারীতি ধার্য করা দিনে বিয়ে হয়ে গেলো। উভয়পক্ষে মিলে মোট পঞ্চাশ জন অতিথি। সত্তরজনের খানা হলো। বিয়েতে সানাই না বাজলেও ডিজে-তে গান বাজলো বেশ। বিয়ের পর দারোয়ান তার বউ নিয়ে গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে গেলো।

বিয়েশাদি শেষ করে নোয়েলদের পরিবার একটা স্বস্তি পেলো। যাক তাহলে শেষমেষ নোয়েলের প্রলাপটা সত্যি হলো। এ বিয়েতে নোয়েলের দাদুর একলাখ টাকা খরচ হলো। এ টাকাতে অবশ্য মেয়েটার অর্ধেক বেতনের টাকাও আছে।

নোয়েলদের বাসার সামনের বারান্দাটা বেশ প্রশস্ত। তাতে একটা ইজি চেয়ার আছে। নোয়েলের দাদু তাতে বসে দোল খান আর চা খান। আজও তার ব্যতিক্রম নেই। তার মনটা আজ একটু ফুরফুরা। গতকাল মেয়েটার বিয়ে দিয়ে একটা মহান দায়িত্ব শেষ করেছেন। মেয়েটাও তাকে বড়বাবা বলেই ডাকত। চোখ বন্ধ করে নোয়েলের দাদু গুনগুনিয়ে গান গাইছে। ভাবছে, সানাই শেষমেষ তাহলে বেজেই গেলো। এমন সময় বেরসিকের মতো কর্কশ স্বরে দরজার কলিং বেল বেজে উঠল। নোয়েলের দাদী গেটের দরজা খুলে দিলেন। ও মা! দরজা খুলে দিতেই একটা অপরূপ সুন্দরী নববধু ঘরে ঢুকে ঘর আলো করে দিলো। নববধুটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই নোয়েলের দাদীকে পায়ে ধরে সালাম করল। নোয়েলের দাদী অবাক হয়ে তার দিকে হা করে তাকিয়ে রইল। নোয়েলের দাদু, নোয়েলের মা,জেঠিমা সবাই বারান্দায় এসে ভিড় জমালো। এতো সুন্দর পরির মতো এই নতুন বৌটি কাদের? ভুলকরে নোয়েলদের বাড়িতেই বা কেন? নোয়েলের দাদু মোলায়েম করে জিজ্ঞেস করলো তাকে, মা তুমি কাদের বাড়িতে আসছিলে? তোমার নাম কি? নতুন বৌ কিছু জবাব দিলো না। তার পেছন থেকে একজন পুরুষ মুখ বের করে বললো, মা, এটা তোমার বৌমা। অনেকদিন পরে নিজের ছেলের কণ্ঠ শুনে নোয়েলের দাদী চিৎকার করে উঠলো, খোকা! নোয়েলের দাদু লাফ দিয়ে চেয়ার ছেড়ে নোয়েলকে ডেকে বলে উঠলো, দাদুভাই সানাই বাজাও। আমার ছোট বৌমা এসেছে। সানাই বাজাও, সানাই বাজাও।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়