প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৫৭
স্বপ্ন
ভোর রাতে স্বপ্ন দেখলাম। কি অদ্ভুত! স্বপ্নে যে সব সম্ভব না দেখলে বিশ্বাস হতো না। দেখলাম প্রকৃতির এক অসম্ভব সৌন্দর্য। না বন না সমভূমি এক অপূর্ব মিশ্রণ। আমাকে সেখানে অবাক করলো একটা বিষয় যে, সেখানে পশু ও মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা একে অপরের ভাষা বুঝতে পারে। ভাষা বুঝার আরেক কারণ হলো তারা তখন একে অপরকে বিশ্বাস করতো। আমাকে দেখে তারা অবাক হলো। তবু আমার সাথে তারা ভাব করলো। দিন ভালোই চলছিলো আমাদের। এক সাথে গল্প করা, গান গাওয়া পরামর্শ করা। দেখতাম বাঘের বাচ্চারা মানুষের বাচ্চার সাথে খেলা করছে, শিয়াল ভায়ার সাথে শলাপরামর্শ করছে। সুখেই কাটছিলো দিনগুলো। কারো কোনো দুঃখ ছিল না। কিন্তু অঘটনটা ঘটলো দু'মাস পর। হঠাৎ একদিন শুনলাম হিটলার গণহত্যা ঘোষণা করেছে। শোনার পর মূহূর্তেই আশে পাশে গুলির আওয়াজ ভেসে এলো। গুলির আওয়াজ ও মানুষের ডাকাডাকি এক ভয়ানক পরিবেশ সৃষ্টি করল। সবাই যার যার মতো পালাতে ব্যস্ত। আমি আর থাকার ভরসা পেলাম না। ছুটে চলালম যে দিকে চোখ যায়। পথে আমার সঙ্গী হলো ২ জন মানুষ ও ১১৪ টি বাঘ। সামনে বিশাল নদী। কি করে যে পাড়ি দেই কিছু বুঝতে পারছি না। শেষে শিয়ল ভায়ার কাছে পরামর্শ চাইলাম। শিয়াল আমাদের নৌকা বানাতে বললো। যেই আমরা নৌকায় চড়লাম অমনি হিটলারের বাহিনী আমাদের কাছে চলে আসলো। তাদের গুলিতে আমাদের ২ জন মানুষ সঙ্গী মারা গেল। আমরা কোনো মতে বঁাচলাম। ভাসতে ভাসতে আমরা একটা বনে এসে পেঁৗছালাম। এত সুন্দর যার কারণে এর নাম দিলাম সুন্দরবন। যাহোক বনে এসে পেঁৗছার পর খেয়াল করলাম পশু মানুষের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। হঠাৎ বাঘ আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সাথে সাথে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙ্গার পর এই অদ্ভুত স্বপ্ন নিয়ে কিছু লিখব ভাবনায় ডুবে গেলাম । সকাল হলো। ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আড়মোড়া দিয়ে বসলাম। হঠাৎ ঐ দিনের পত্রিকার পাতায় চোখ পড়তেই দেখি হেডলাইন 'সুন্দরবনে ১১৪ টি বাঘ