প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৩
স্বপ্নের দিগন্তে
উৎসর্গ : প্রিয় কবি ও সাহিত্যিকদের
আমি প্রকৃতি-প্রেমিক,
আকাশ দেখি দিগন্তের নীলে নীলে।
আমি অম্বুর লাবণ্য দেখি,
সাগর নদ-নদী খাল-বিল-ঝিলে।
আমি শ্যামল দেখি, বৃক্ষরাজির পত্র-পল্লবে তৃণের বুকে।
আমি সুখ দেখি, রেললাইনের পাশে বসবাস করা
দম্পতির ঝুপড়ি ঘরে।
আমি মায়া দেখি,
পথশিশু ভাই-বোনের চোখে,
যারা নিজে না খেয়ে আহার তুলে দেয় অনুজদের মুখে।
আমি সাম্য দেখি, পাখিদের দলবেঁধে ছুটে চলায়।
আমি ক্লান্তি দেখি,
কঠোর পরিশ্রম করে ফিরা দিনমজুরের কায়ায়।আমি স্বপ্ন দেখি,
রাত জেগে প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের চোখে।
আমি উচ্ছ্বাস দেখি,
জননীর চোখে যিনি যত্নে লালন করেন প্রিয় সন্তানদের।
আমি স্বপ্ন দেখি, অনাহারীর মুখে দু-বেলা দু-মুঠো পেট পুরে খাওয়ার,
দূর দূরান্তে চলে যায় হাত পাতে মানুষের ধারে ধারে।
আমি প্রেম দেখি,
ব্যর্থ হবে জেনেও
বেহায়া প্রেমিকের বারবার প্রেম নিবেদনে,
স্বপ্ন বুনে যদি একবার সুপ্রিয়া ফিরে আসে।
আমি বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি,
হাসপাতালের বিছানায় কাতরানো মুমূর্ষু রোগীর চোখে,
সুস্থ দেহে প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে থাকবেন আরো কিছুকাল,
সে আশায় সদা বাঁধেন তিনি বুক,
দুঃখীরা স্বপ্ন দেখেন একদিন কেটে যাবে সব দুঃখ।এমন করে স্বপ্নের দিগন্তে ছুটে চলে সবাই,
স্বপ্ন ছাড়া জীবন সাধনা বড্ড নিরুপায়।
স্বপ্নের দিগন্তে ডানা মেলে মানুষ বাঁচে,
বিচরণ করে যার যার আপন রাজ্যে,
পূর্ণতা পাবে স্বপ্নগুলোর সে আশা লালন করে।