প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:১৮
চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস হবে পৃথক ভবনে : অভিভাবকসহ বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ
সরকারের ১৯ দফা নির্দেশনা মেনে প্রায় দেড় বছর পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আজ চলছে করোনাকালীন শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির তোড়জোড় প্রস্তুতি। চাঁদপুর সরকারি কলেজে ক্যাম্পাসে আজ (১১ সেপ্টেম্বর) সারাদিন ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে শিক্ষক কর্মচারিদের। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকারের ১৯ দফার পাশাপাশি কলেজ থেকে নিয়েছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
|আরো খবর
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে কলেজের ৫তলা ভবনে। সেই ভবনে অন্য কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করবে না। নির্দিষ্ট দূরুত্বে জেট ক্রসিং আসন বিন্যাস মেনে আইসোলেশন এনভারমেন্টে ক্লাস পরিচালিত হবে তাদের। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ক্লাস হবে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে কলেজের পশ্চিম পাশের রাজু তোরণ গেট দিয়ে। সাড়ে ১০টায় ছুটির পর তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করবে কলেজের পূর্ব পাশ দিয়ে মূল পাশের গেট দিয়ে। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে যাওয়ার পর একাদশের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে পূর্ব পাশের রাজু তোরণ গেট দিয়ে। তাদের ক্লাস চলবে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এতে এক ক্লাসের স্টুডেন্টের সাথে অপর ক্লাসের স্টুডেন্টের ক্রসিং হবে না।
কলেজ ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই প্রবেশ করতে পারবে কোন অভিভাবক বা বহিরাগতরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। তাই করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনা করা অভিভাবকদের কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে ভীড় না করতে অধ্যক্ষ নিরুৎসাহিত করেছেন।
অধ্যক্ষ চাঁদপুর কণ্ঠকে আরও বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর কলেজ খোলার প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত ক্লাস খুঁজে পেতে মাঠে কাজ করবে কলেজের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি গ্রুপ। শিক্ষার্থীরা তাদের রোল রোভার ও বিএনসিসি সদস্যদের বললেই তারা নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যাবে।
কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া যে সকল শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম নেই বা গত দেড় বছরে ছোট হয়ে গেছে তাদের জন্য ইউনিফর্ম ছাড় দেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীরা সর্বাত্বক চেষ্টা করবে কলেজ ইউনিফর্ম পরে আসতে। যদি একদম কারো ইউনিফর্ম না থাকে তবে কলেজ ড্রেসের কাছাকাছি পোষাক পড়ে আসবে আর যদি তাও সম্ভব না হয় তবে যে কোন মার্জিত পোশাক পড়ে আসলেও আমরা প্রথম কয়েকদিন এলাও করবো। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ইউনিফর্ম বানিয়ে নিতেই হবে। এ জন্য সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ ছাড় দেয়া হতে পারে।
কলেজের অনার্স, ডিগ্রি ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টে নেয়ার জন্যও ডিপার্টমেন্টগুলোতে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চলছে।