রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২১, ১৬:০৬

স্কুল-কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা-০৩

মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তা আর হতাশায় রয়েছি, কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?

স্টাফ রিপোর্টার
মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তা আর হতাশায় রয়েছি, কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে আছে তাদের মন। বিশেষ করে ২০২০ সালে এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী যারা অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হয়েছেন তারা এক দিনের জন্যও নিজ কলেজে ক্লাস করতে পারেননি। অথচ তাদের ইন্টারমিডিয়েটের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করলেও তা যে খুব একটা ফলপ্রসূ হচ্ছে না তাও স্বীকার করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বর্তমান মানসিক অবস্থা ও ভাবনা নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের বিশেষ আয়োজন, 'স্কুল-কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা'। এই পর্বে কথা বলা হয় চাঁদপুর বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ জাহিদ হোসেনের সাথে। পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান তার হতাশা আর দুঃশ্চিন্তার কথা।

- করোনায় কেমন চলছে পড়ালেখা? - ব্যক্তির অবস্থানের ভিন্নতায় উত্তরটা ভিন্ন ভিন্ন হবে বলে বিশ্বাস করি। তবে আমার অবস্থা লকডাউন ব্যতিত সময় গুলোতে এভারেজে পড়াশোনা চলে। লকডাউন চলাকালীন খুব অল্প পড়াশোনা হয়। যেহেতু কোচিং পাশাপাশি কলেজের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে উত্তরটা একজন একাদশের শিক্ষার্থী হিসেবে খুবই বাজে অবস্থা পড়াশোনার।।

- মানসিক অবস্থা কেমন? - অনেকটাই হতাশ। ইন্টারমিডিয়েটের মত এমন একটা গুরুত্বপূর্ন সময়ে যেখানে কেমিস্ট্রির বিক্রিয়া, পদার্থের বড় বড় থিউরি শ্রেণীকক্ষে বসে এক মনে জানবার কথা, সেই জাগায় শ্রেণিকক্ষের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমই এখনো শুরু হলো না। পাশাপাশি ভার্সিটি এডমিশনের সামগ্রিক চিন্তাতো আছেই। অনেকটা দুশ্চিন্তা আর হতাশার মধ্যে রয়েছি।

- একাদশে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সবকিছু বন্ধ। কলেজ লাইফটা এখনো উপভোগ করতে পেরেছেন? - কলেজ লাইফের উপভোগের কথা যদি বলতে যাই তাহলে সাধারণত একজন কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট যেমন ভাবে কলেজ লাইফটাকে এনজয় করে যেমন, নবীন বরণ থেকে শুরু করে বনভোজন, বিতর্ক, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পাশাপাশি কলেজের টিউটোরিয়াল, অরর্ধবার্ষিকী কিংবা বার্ষিক পরীক্ষা। এগুলোর কিছু আমাদের এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগই হয়নি। তবে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে অনলাইন ক্লাস আর সপ্তাহিক এ্যাসাইনমেন্টেই আপতত কলেজ লাইফের আনন্দ খুঁজে নিচ্ছি।

- আপনি কি মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সময়ের দাবী? - পর্যান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অবশ্যই সময়ের দাবী।

- প্রায় ৫৩০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আপনার প্রতিক্রিয়া কী? - অনেকটা হতাশ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

- অনলাইন পাঠদান কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে করেন? - যে পাঠদান দেশের সামগ্রিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেই পাঠদানের ব্যাবস্থাটা কি আদৌ সঠিক? তবে অনলাইন পাঠদান ব্যবস্থাটি 'নাই মামার চেয়ে কানা মামা থাকা ভালো' - এই পঙ্কতিটির মতই মনে হয়।

- স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আপনার মতামত কী? - পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি যদি নিয়ম মাফিক উভয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারে বা মানার জন্যে সর্বাত্বক চেষ্টা করার মানসিকতা লালন করে থাকে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে অবস্থা করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়