প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩৮
ঈদ সালামি
শৈশবে ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই আমরা তুমুল উদ্দীপনা নিয়ে প্রতীক্ষা করতাম। তখন আমাদের ঈদ মানেই নতুন পোশাক পরা, সেমাই-পোলাও খাওয়া; বাঁশি-বেলুন, খেলনা পিস্তল কেনা, নানুবাড়ি বেড়ানো, ঘুরে বেড়ানোর নিখাদ আনন্দ।
ঈদে সালামি পাওয়াটা ছিল বিশেষ। কার কার কাছ থেকে সালামি পাবো, ঈদের দুদিন আগেই হিসেব করতাম। আমার মা, চাচা, কাকা, কাকী, নানা-নানু, মামা-খালামণিরা, চাচাত ভাই-বোন, বাড়ির সহৃদয় অগ্রজরা সালামি দিতেন। ২০০১/২ সালে দশ টাকা সালামি পাওয়া ছিল আমাদের কাছে অনেক। তখন সালামি হিসেবে কেউ দিতেন ৫ টাকা, কেউ ১০ টাকা, কেউ ২০ টাকাও দিতেন। ঈদের দিনে যা সালামি পেতাম, তাতে আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যেত। কে কত টাকা সালামি পেলো তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হতো। অবশ্য সালামির টাকায় একজন আরেকজনকে খাওয়াতাম আমরা। বড় হওয়া কখনো কখনো বেদনার। শৈশবের দিনগুলো কেবল স্মৃতি হয়ে যায়। দায়িত্বও বেড়ে যায়! বড় হওয়া আবার আনন্দেরও। ঈদ এলে এখন কাকে কাকে সালামি দিবো মনে মনে তার তালিকা করি। অনুজদের খুশি দেখে আপ্লুত হই। ঈদে বাড়িতে গেলে তাদের সঙ্গেই থাকি, আনন্দ করি।
অবশ্য এখনও কেউ কেউ আমাকে সালামি দেন। তাঁদের বলি, বড় হয়েছি। তাঁরা বলেন, আমাদের কাছে তুমি ছোটই আছো। আমি এত খুশি হই, এত...লিখে বুঝানো যাবে না। তাঁরা আমার শৈশব ফিরিয়ে দেন যেন।
আহা, শৈশবের ঈদ কি যে দারুণ ছিলো!