প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
শিক্ষকের পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষ
‘এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদী না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পরপরই চাঁদপুরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ গুণরাজদী শাখার শিক্ষক নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত জমিকে সবজি বাগানে পরিণত করেছেন। এ শিক্ষকের নাম হচ্ছে মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। তিনি শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিত্যক্ত জমিতে সবজি বাগান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সবজি বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার মতো অনেক মানুষ সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তার নিজ বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত জমিতে সবজির বাগানটি করা হয়েছে।
|আরো খবর
এ শিক্ষক কৃষিকণ্ঠকে বলেন, গত মার্চ মাসে বাজার থেকে ৯০ টাকা কেজি ধরে দুই কেজি পাকা পেঁপে এবং কুমড়া ক্রয় করি। বাসায় পেঁপে খাওয়া শেষে বাসার পাশেই অল্প জায়গায় সুন্দরভাবে বিচিগুলো ছিটিয়ে দিই। অল্প কিছুদিন পরই অনেক চারা গজায়। এর ভিতরে সতেজ চারাগুলো রেখে বাকি দুর্বল চারা এবং পাশের কিছু লতাপাতা কেটে চারাগুলোর যত্ন নেওয়া শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচণ্ডছয় মাসের মাথায় তিনটি গাছে প্রায় ৫৫ টির মতো পেঁপে ধরেছে। পেঁপেতে রং ধরেছে, নিজ হাতে ছিঁড়লাম। কুমড়া গাছও অনেক বড় হয়েছে। আমার বাগানে রয়েছে পেঁপে, বেগুন, বরবটি, শসা, ঝিঙে, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ঢেঁড়স, লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, কচু, হলুদ, আদা, লেবু, পুদিনাসহ প্রায় ২০ রকমের সবজি। পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের ফলের চারাও রোপণ করেছি।
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের ডাঃ মোঃ মোফাজ্জল হোসেন শেখের তৃতীয় ছেলে। শিক্ষকতার দায়িত্বপালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে নিয়মিত সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন। বাগানে সবজি নিজেরাই চাষ করে খেতে পেরে তার ভালো লাগছে। সম্ভব হলে এরকম সবজি বাগান যেন প্রতিটি বাড়ি বাড়ি করা হয়-এমনটাই আশা করেন তিনি।
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।’ এমন নির্দেশনার পরপরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবজি বাগানটি করা হয়েছে। আমার বাবা-মা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আয়শা আক্তার জানান, বাড়ির পতিত ভূমিতে শিক্ষকের সবজির চাষ অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করবে। আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষকের সবজি চাষে সবধরণের পরামর্শ দিতে প্রস্তুত। কৃষি বিভাগ চায় এভাবে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে সবজি চাষে এগিয়ে আসেন। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়।