প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১২
কচুয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুজ্জামান এখন মুদি দোকানি
এমপিওভুক্তির আশায় বিনা বেতনে ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা
চাঁদপুরের কচুয়া চাকরি এমপিওভুক্ত হওয়ার আশায় বিনা বেতনে ২০ বছর শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন ১৪ জন শিক্ষকসহ ৩ কর্মচারী। তন্মধ্যে কামরুজ্জামান একজন। তিনি পৌরসভাধীন কোয়া-চাঁদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
|আরো খবর
গত দেড় বছরের বেশি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্ত্রী, সন্তান ও পরিজন নিয়ে না খেয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে গত ১১ মাস আগে নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে মুদি দোকান খুলে বসেছেন। বর্তমানে ওই মুদি দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও বৃদ্ধ মায়ের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
কামরুজ্জামান জানান, করোনার শুরতে একবার প্রণোদনা পেলেও আর কোনো প্রণোদনা পাইনি। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার পালাবদল হলেও নানান কারণে মাদ্রাসাটি আজও এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বেতন ভাতা না পাওয়ায় নিজ গ্রামে কোয়া-চাঁদপুর বাজারে মুদি দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান থেকে যে যত সামান্য বেতন দেয়া হতো তা বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে কষ্টে কোন রকমে জীবন কাঁটাতে হয়েছে। কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে নিকট আত্মীয়দের সহযোগিতায় একটি মুদি দোকান দিয়েছি। তার মতো মাদ্রাসার আরো ১৩ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী এমপিওভূক্ত হয়ে বেতন পাবেন এমন আশার আলো নিয়ে তাঁরাও অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। করোনার রেশ কাটলে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করণের জোর দাবী জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।