প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার, শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদারের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মোঃ আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক আরিফুল ইসলাম জিয়া, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য মোঃ ফারুক হাসান, ড. মো. সাহাদাত হোসেন এবং মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল।
|আরো খবর
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দল উপদেষ্টাকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি বলে তাগিদ দেন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষাখাতে যথাযথ শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের পেশাগত উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও প্রিন্সিপাল নূরে আলম তালুকদার বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসার পর ১০টি কশিশন গঠন করেছে, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, আজ পর্যন্ত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। অথচ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই সবার আগে জাতিকে সুষ্ঠু সবলভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। অনতিবিলম্বে সকল স্টেক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার গত ষোল বছরে শিক্ষা এবং বিচার ব্যবস্থাসহ দেশের সকল সংস্থার অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পেরেছি। তাই এখন সময় এসেছে দেশকে ঢেলে সাজানোর। সরকার যেহেতু ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, তাই কালবিলম্ব না করে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি।
প্রতিনিধি দল উপদেষ্টাকে জানান, বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট গত ২৪ বছর অর্থাৎ দুযুগ যাবত দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। তাই ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিও এ কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সংক্ষেপে গত ২৪ বছরের ট্রাস্টের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ। তিনি ট্রাস্টের জন্যে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দীন আহমেদের বিশেষ ভুমিকার কথা তুলে ধরেন।