প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২২, ১৭:৪৮
মফস্বলের মেধাবী মুখ হাবিবা
হাবিবা আক্তার। আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ছেন হাজীগঞ্জের বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায়। একই মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া দাখিল পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে মেজো সে। স্থানীয় বেলচোঁ বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবার স্বপ্ন এখন হাবিবাকে ঘিরে। মেয়ে যেহেতু পড়ালেখায় বেশ ভালো সেহেতু মেয়ে যতটুকু পড়তে চান ততটুকু পর্যন্ত পড়াবেন।
হাবিবা'র মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা যায়, পিএসসি'তে তার জিপিও ছিলো ৪.৩৩। জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ জিপিএ ৫। পড়ালেখায় ক্লাশে বরাবর সেরা।
মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে হাবিবার সাথে কথা হলে তিনি জানান, পিএসসিতে খারাপ ফলাফলের পর ক্লাশে স্যারের বলতে লাগলেন আমার খারাপ ফলাফলের কারন কি। ক্লাশে পড়া ঠিক মতো দিতে না পারলে স্যারেরা বকা দিত। একটা সময় মাথায় আসলো আমার সহপাঠীরা পড়ালেখা পারলে আমি কেন পারবো না। মূলত স্যারদের বকা দেয়া কথাগুলো আমাকে ভালো করার উৎসাহ জুগিয়েছে। ভবিষ্যতে কি হবো সেটা চিন্তা করবো আলিম পরীক্ষার পর তবে মানুষ হতে হবে আমাকে এটাই বড় কথা।
বেলচোঁ বাজারের ক্ষুদ্র ষ্টেশনারী ব্যাবসায়ী হাবিবা'র বাবা আক্তার হোসেন বেপারী চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, আমার মেয়েটা মেধাবী,তার পড়ালেখা যতদুর পর্যন্ত সে পড়বে ততদুর পর্যন্ত আমি পড়াবো। মেয়ের ভালো ফলাফলের জন্য আমি মাদ্রাসার সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ কারন উনারা উৎসাহ না দিলে মেয়ে হয়তো ভালো ফলাফল করতে পারতো না।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো: মিজানুর আশ্রাফী জানান, হাবিবা পড়ার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ আমাদের সবাইকে হতবাক করে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি তবে এর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর মেধা অসাধারন তার মধ্যে হাবিবা একজন।