প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:২৫
পরিবারের দাবি : টাকার লোভেই হত্যা করা হয়েছে রিপনকে
|আরো খবর
রিপনের মা রাবেয়া বেগম জানান, আমার ছেলে ভেকু কেনার জন্য গরু বিক্রয় করে টাকা যোগাড় করেছিলো, সে টাকার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনাকে আটক করলেও ফজলুর ভাই হুমায়ূন কবীর টিপু, শ্যালক শাহাদাত, ফুফাতো ভাই ইলিয়াছ ও আদেল হোসেন মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
রিপনের ১১ বছর বয়সী শিশু কন্যা মিতু জানান, ২ মাস হলো বাবাকে দেখি না। সেদিন বিকেলে ছোট বোনের জন্য খাবার আনবেন বলে বের হলেন আর আসলেন না। পরদিন সকালে দেখি মাঠের মাঝখানে কাদার মাঝে বাবার লাশ। মাদরাসায় বাবার খুনীর সন্তানদের সাথে ক্লাস করতে আমার খুব কষ্ট হয়।
রিপনের ভাই মোঃ আক্তার হোসেন ও বোন কোহিনুর বেগম জানান, রিপনের কাছে থাকা অর্থ আত্মসাতের পর খুনীরা পরকীয়ার গল্প সাজিয়েছে। রিপন এ ধরনের লোক না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম জানান, পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পরকীয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।এছাড়া এলাকায় তাদের পরকীয়ার ঘটনায় পূর্বে শালিস দরবার হয়েছে যা মামলা তদন্তকালীন সময়ে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান জানান, আটক আসামীদের স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাঁশ, দড়ি ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ২ জন আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তদন্তের শেষ পর্যায়ে এ ধরনের বক্তব্য রহস্যজনক। ভিকটিমের পরিবারের কাউকে হুমকি-ধমকির বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই শুক্রবার উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর মাঠ থেকে ওই গ্রামের মৃতঃ মৌলভী মকছুদ আলীর পুত্র বেলায়েত হোসেন রিপনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিপন একজন কৃষক। সে মৌসুমে মাটি ও চামড়ার ব্যবসা করতো।
ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, নিহত রিপন বিবাহিত ছিল। তার ২কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে।